পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిy বর্ণ যথেষ্ট কালো। এইজাতীয় মৌমাছি বন্ত অবস্থায় দেখিতে পাওয়া যায়। 尊 পূৰ্ব্বে এইরকম উপকারী জীবগুলিকে বিনষ্ট না করিয়া মধুচক্র হইতে মধু-নিসারণের কোনো উপায় ছিল না। আধুনিক উন্নত প্রণালীতে মক্ষিকাগুলিকে বাচাইবার স্থব্যবস্থা হইয়াছে। কাঠের ফ্রেমদ্বারা মৌচাকটিকে বেষ্টন করিয়া রাখা হয় এবং প্রয়োজন-অনুসারে তাহা • উঠাইয়া লওয়া যায়। ইহাতে মৌমাছির বা মৌচাকের কোনো ক্ষতি হয় না। ১৮৪৮ খৃঃ ফিলাডেলফিয়ায় মিঃ লেংসষ্ট্রথ নামক এক ব্যক্তি এইরূপ ফ্রেম প্রথম ব্যবহার করিয়াছিলেন এক্ষণে প্রায় সৰ্ব্বত্রই এই প্রণালী অবলম্বিত হইয়াছে। এক পাউণ্ড মধু ধারণক্ষম চতুষ্কোণ ফ্রেম সাধারণতঃ ব্যবহৃত হয়। মধুচক্রে আবদ্ধ অবস্থাতেই মধু বিক্রয় করা হয়, তাহাতে ভেজাল বলিয়া ক্রেতাদের মনে কোনো সন্দেহ আসিতে পারে না । আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে ভেজাল-সম্বন্ধে কঠোর আইনের ব্যবস্থা থাকাতে নিষ্কাশিত মধুও আমেরিকায় বেশ বিশুদ্ধ পাওয়া যায়। মধুচক্র হইতে মধু-নিঃসারণ করিবার সহজ উপায় এক আকস্মিক ঘটনা হইতে আবিষ্কৃত হইয়াছে। ১৮৬৫ খৃঃ একদা মেজর হোরস্কা নামক কোনো ইতালিয়ান তাহার শিশুপুত্রকে এক-টুকরা চক্রমধুখাইতে দিয়াছিলেন । বালক প্রবাসী—ফান্তন, ১৩৩১ [ २8* छांर्ण, २ग्न थ७ উক্তটুকরাটিকে তাহার বাস্কেটে রাখিয়া খেলা ছলে চারিদিকে ঘুরাইতে থাকে। মিঃ হোরস্কা দেখিলেন, বাস্কেটু হইতে মধু নিঃস্থত হইতেছে। তখন তিনি একটি গোলাকার পাত্রে মধুপুর্ণ মৌচাকটি রাখিয়া পাত্রটিকে ঘুরাইতে লাগিলেন। কিছুকাল পরে দেখা গেল সব মধু বাহির হইয় গিয়াছে। অথচ মৌচাকটি অবিকৃত অবস্থায় আছে। হারস্কা তখন বুঝিতে পারলেন, যে, এই প্রণালী অবলম্বন করিলে একটি চক্র বহুবার ব্যবহার করা যাইতে পারে। হোরস্কা-প্রথা অবলম্বনে মিশিগানের জনৈক ব্যবসায়ী ৩০ বৎসরের অধিক কাল যাবৎ কতকগুলি মৌচাক ব্যবহার করিতেছেন। পুরাতন মৌচাকগুলি নূতনগুলির ন্যায় স্বস্তৃপ্ত না হইলেও সেগুলিতে ক্ষতির সম্ভাবনা নাই । এইসকল মৌচাক হইতে মধু নিঃস্থত করিয়া ক্রেতাদের নিকট উপস্থিত করা হয়। মৌচাক রক্ষক ও পোষী মৌমাছির চাক মৌমাছি-রক্ষণ যেমন সৌধীন ব্যবসায়, তেমনি লাভ জনকও বটে। একটি মাত্র রাণী-মক্ষিক একসঙ্গে সহস্ৰাধিক ডিম্ব প্রসব করিয়া থাকে। মক্ষি-মধু বেশ স্বস্বাছ। বর্তমানে কৃত্রিম ঔষধ-পথ্যাদির বিরুদ্ধে আমেরিকায় বেশ আন্দোলন চলিতেছে। প্রকৃতি-জাত দ্রব্যাদি অধিক স্বাস্থ্যপ্রদ বলিয়া বিশেষজ্ঞেরা মত প্রকাশ করিতেছেন । প্রাচীন ধৰ্ম্মগ্রন্থেও আমরা মধুর উল্লেখ দেখিতে পাই। ইহা একটি পুষ্টিকর স্বপেয় । একদা অগষ্টস্ পমিলিয়াসকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন—মন ও শরীর স্বস্থ রাখিবার উপায় কি ? তদুত্তরে পমিলিয়াস বলিয়াছিলেন—মধু দ্বারা