পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] মৌমাছির ব্যবসায় や8> গ্রীষ্মকালে তাহাদের জন্য জল ও লবণের স্বব্যবস্থা করিয়া দেওয়া ভালো । ভারতে অল্পবায়ে এবং অল্পপরিশ্রমে ব্যবসায় করিতে হইলে মৌমাছির ব্যবসায় মন্দ নয়। রাণী-মক্ষির কক্ষ সৌধীন দ্রব্য এবং ঔষধ এই দুইরূপেই মধু ব্যবহৃত হইয়া থাকে। এজন্য ইহার মূল্য অত্যন্ত অধিক। আধুনিক স্বাস্থ্য-রক্ষণ ও অল্পশ্রমসাপেক্ষ প্রণালীতে মৌমাছিব্যবসায় করিলে বেশ দু’-পয়সা লাভ হইতে পারে,বিশেষত: দশ জনের উপকার ভিন্ন অপকারের সম্ভাবনা নাই। ফ্রেমে-আঁটা রাণী মক্ষির কক্ষ ভারতের অধিকাংশ স্থানেই বিবিধ সময়োপযোগী পুপ পাওয়া যায় । পুষ্পবহুল প্রতিগ্রামে অন্ততঃ একটি করিয়া মধুচক্র থাকিলেও এ দরিদ্র দেশবাসীর অনেক উপকার হইতে পারে। খাদ্য-হিসাবে চিনি অপেক্ষা মধু S AASAASAA AAAS অধিকতর স্বাস্থ্যপ্রদ ও পুষ্টিকর, ইঙ্গ বিশেষজেরালমান করিয়াছেন। অধিকাংশ চিনিই বিদেশ হইতে আসে, স্বতরাং চিনির আমদানি হ্রাস পাইলে দেশের সৌভাগ্য বলিতে হইবে। অন্যদিকে, এই নৃতন ব্যবসায় স্থপ্রচারিত রাণী-মক্ষির কক্ষের অপর একটি দৃষ্ঠ হইলে বেকার-সমস্যার অন্ততঃ কিঞ্চিৎপরিমাণে সমাধান হইতে পারে। আর র্যাহারা পূৰ্ব্ব হইতে পশু-পাখী-পালন, ফলাদির বাগান অথবা অন্য কোনো কৃষি-ব্যবসায়ে লিপ্ত আছেন, তাহারা সঙ্গে-সঙ্গে এই নূতন ব্যবসায়টিতেও অনায়াসে ভাগ্য পরীক্ষা করিতে পারেন। ব্যবসায়ীদের জ্ঞাতব্য কয়েকটি কথা সংক্ষেপে বলিয়াই এই প্রবন্ধ শেষ করিব – মৌচাক-ধারক ফ্রেমের একটি অংশ (মৌচাক আসিবার পূর্বে ) ১। নির্জনতাপ্রিয় ও মিশুক এই দুইপ্রকার মৌমাছি সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায়। এই শেষোক্তজাতীয় মৌমাছিই আমাদের ব্যবসায়ের উপযোগী । ইহাদিগকে চক্রমক্ষিকা বলা হয় । উহারা অত্যন্ত পরিশ্রমী ও কাৰ্য্যপট ।