পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆఆe প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৬৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড আলোচনা করিব । হাকিমী পদ্ধতি ভারতের অন্তর কবিরাজীর মতনই জনপ্রিয়, কিন্তু বাংলাদেশে তেমন - প্রচলিত নয়, সেজন্ত তাহার আলোচনা করিব না। তবে কবিরাজী-সুম্বন্ধে যাহা বলিব, হাকিমী-সম্বন্ধেও তাহা প্রযোজ্য । যাহারা প্রাচ্যপদ্ধতির ভক্ত র্তাহীদের প্রবল আন্দোলনে সরকার একটু বিদ্রুপের হাসি হাসিয়া বলিয়াছেন— বেশ ত, একটা কমিট করিলাম, ইহারা বলুন প্রাচ্যপদ্ধতি সাহায্যলাভের যোগ্য কি না, তার পর যা হয় করা যাইবে । এই কমিটী দেশী-বিলাতী অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির মত লইতেছেন । এযাবৎ যাহা লইয়া মতভেদ হইয়া আসিতেছে, তাহা সাধারণের অবোধ্য নয়। সরকারী অর্থসাহায্য যাহাকেই দেওয়া হোক, তাহ সাধারণেরই অর্থ, অতএব সাধারণের এবিষয়ে উদাসীন থাকা অকৰ্ত্তব্য । অর্থ ও উদ্যম যাহাতে যোগ্য পাত্রে যোগ্য উদ্দেশ্যে প্রযুক্ত হয় তাহা সকলেরই দেখা উচিত। প্রাচ্যপদ্ধতির বিরোধীরা বলেন,—তোমাদের শাস্ত্র অবৈজ্ঞানিক । বাত, পিত্ত, কফ, ইড়া, পিঙ্গল, স্বযুম্ন, এসকল কেবল হিং টিং ছট্‌। তোমাদের ঔষধে কিছু-কিছু ভালো উপাদান আছে স্বীকার করি, কিন্তু তার সঙ্গে বিস্তর বাজে-জিনিষ মিশাইয়া অনর্থক আড়ম্বর করা হইয়াছে। তোমাদের ঋষিরা প্রাচীন আমলের হিসাবে খুব জ্ঞানী ছিলেন বটে, কিন্তু তোমরা কেবল অন্ধভাবে সেকালের অমুসরণ করিতেছ, আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্য লইতে পারো নাই। E তোমরা ভাবে যাহা শাস্ত্রে আছে তাহাই চুড়ান্ত, তার পর আর কিছু করিবার নাই। অথচ তোমরা আয়ুৰ্ব্বেদবর্ণিত অস্ত্রচিকিৎসার মাথা খাইয়াছ । চিকিৎসায় পারদর্শী হইতে গেলে যেসব বিদ্যা জানা woots, ol anatomy, physiology, botany, chemistry ইত্যাদি, তার কিছুই জানো না । মুখে যাই বলে, ভিতরেভিতরে তোমাদের আত্মনির্ভরতায় শোয় ধরিয়াছে, তাই লুকাইয়া কুইনীন ব্যবহার করে । তোমাদের সাহায্য করিলে কেবল কুসংস্কার ও ভণ্ডামির প্রশ্ৰয় দেওয়া হইবে। এইবার আমাদের কথা শুন —আমরা কোনো প্রাচীন যোগী-ঋষির উপর নির্ভর করি না । হিপোক্রোটিস গালেনের আমরা অন্ধ শিষ্য নহি । আমাদের বিদ্যা बिज्रा ऐब्रउिनैन । भूनिष्काब्र यश्वनि फूल बजिब्रो भन्न করি, তৎক্ষণাৎ তাহু স্বীকার করি । বিজ্ঞানের যেকোনো আবিষ্কারের সাহায্য লইতে আমাদের দ্বিধা নাই। ক্রমাগত পরীক্ষা করিয়া নব-নব ঔষধ ও চিকিৎসা-প্রণালী আবিষ্কার করি। আমাদের কেহু-কেহ মকরধ্বজ ব্যবহার করেন বটে, কিন্তু প্রকাশ্যে । আমাদের কুসংস্কার ও আত্মম্ভরিতা নাই। অপর পক্ষ বলেন,—আচ্ছা বাপু, তোমাদের বিজ্ঞান আমরা জানি না, মানিলাম । কিন্তু আমাদের এই যে বিশাল আয়ুৰ্ব্বেদীয় বিজ্ঞান, তোমর। কি তাহা অধ্যয়ন করিয়া বুঝিবার চেষ্টা করিয়াছ ? বাত পিত্ত কফ না বুঝিয়াই ঠাট্টা করে কেন ? আমাদের অবনতি হইয়াছে স্বীকার করি, এখন আর আমাদের মধ্যে নূতন ঋষি জন্মান না। অগত্যা যদি আমরা পুরাতন ঋষির উপদেশেই চলি, সেটা কি মন্দের ভালো নয় ? তোমাদের পদ্ধতিতে অনেক ব্যয়। তোমাদের স্কুলে একটা হাতুড়ে ডাক্তার উৎপন্ন করিতে যত খরচ, তার সিঞ্চির সিকিতে আমাদের বড়বড় মহামহোপাধ্যায় গুরুগৃহে শিক্ষালাভ করিয়াছেন । তোমাদের ঔষধ সরঞ্জাম পথ্যাদি-সমস্তই মহার্ঘ্য । বিদেশের উপর নির্ভর না করিলে চলে না । বিজ্ঞানের অজুহাতে তোমরা চিকিৎসায় বিলাতী কুসংস্কার ও বিলাসিত আমদানি করিয়াছ । আমাদের ঔষধ-পথ্য সমস্তই সস্তা, এ-দেশেই পাওয়া যায়, গরীবের সাধ্যায়ত্ত । আমাদের ঔষধে যতই বাঙ্গে জিনিষ থাকৃ, স্পষ্টই দেখিতেছি উপকার হইতেছে । তোমাদের অনেক ঔষধে মুরাসার আছে। বিলাতী উদরে হয়ত তাহা সমুদ্রে জলবিন্দু, কিন্তু আমাদের অনভ্যস্ত পাকস্থলীতে সেই অপেয় অদেয় অগ্রাহ্য জিনিষ ঢালিবে কেন ? আমাদের দেশবাসীর ধাতু তোমাদের বিলাতী গুরুগণ কি করিয়া বুঝিবেন ? তোমাদের চিকিৎসা যতই ভালো হোক, এই দরিত্র দেশের কজনের ভাগ্যে তাহা জুটিবে ? যাদের সামর্থ্য আছে, তার ডাক্তারী চিকিৎসা করা’ন, কিন্তু গরীবের ব্যবস্থা আমাদের হাতে দাও । বড়-বড় ডাক্তার যাকে জবাব দিয়াছে এমন