পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ডাক্তারী ও কবিরাজী جولاb\ রোগীকেও আমরা আরাম করিয়াছি, বিদ্বান সন্ত্রান্ত লোকেও আমাদের ডাকে, আমরাও মোটর চালাই। কেবল কুসংস্কারের ভিত্তিতে কি এতটা প্রতিপত্তি হয় ? মোট কথা, তোমাদের বিজ্ঞান এক-পথে গিয়াছে, আমাদের অল্প পথে গিয়াছে। কিছু তোমরা জানে, কিছু আমরা জানি । অতএব চিকিৎসা বাবদ বরাদ্ধ টাকার কিছু তোমর’লও, কিছু আমরা লই । আমার মনে হয় এই স্বন্দ্বের মূলে আছে ‘বিজ্ঞান শবের অসংযত প্রয়োগ এবং ‘চিকিৎসা-বিজ্ঞান ও ‘চিকিৎসা-পদ্ধতি’র অর্থ বিপৰ্য্যয় । eastern system, western system—এসকল কথা প্রায়ই শুনা যায়। পরিষ্কার করিয়া বুঝিয়া দেখা ভালো। "বিজ্ঞান’ বলিলে যদি ভ্রান্তিহীন সিদ্ধান্ত বুঝায় তবে তাহা দেশকালপাত্রনিৰ্ব্বিশেষে সত্য । অতএব প্রাচ্য ও প্রতীচ্য বিজ্ঞানের এরূপ অর্থ হইতে পারে না যে,একই সিদ্ধান্ত কোথাও সত্য কোথাও মিথ্যা। কু-তার্কিক বলিতে পারে—শ্রাবণ মাসে বর্ষ হয় ইহা এদেশে সত্য বিলাতে মিথ্যা ; মশায় ম্যালেরিয়া আনে, ইহা একালে সত্য সেকালে মিথ্যা। এরূপ যুক্তির খণ্ডনের আবশ্বকতা নাই। অতএব প্রাচ্য ও প্রতীচ্য বিজ্ঞানের অর্থ দাড়াইতেছে—বিভিন্ন দেশে আবিষ্কৃত সত্য সিদ্ধান্ত । . বিজ্ঞান কেবল বৈজ্ঞানিকের সম্পত্তি নয় । সাধারণ লোক ও বৈজ্ঞানিকের এই মাত্র প্রভেদ যে, বৈজ্ঞানিকের সিদ্ধাস্ত অধিকতর সূক্ষ্ম, শৃঙ্খলিত ও ব্যাপক। আমরা সকলেইশবজ্ঞানের উপর নির্ভর করিয়া জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করি। অগ্নিপক দ্রব্য সহজে পরিপাক হয়, এই বৈজ্ঞানিক সত্য অবলম্বন করিয়া রন্ধন করি, দেহ-আবরণে শীত নিবারণ হয়, এই তথ্য জানিয়া বস্ত্ৰধারণ করি। কতক সংস্কারবশে করি, কতক দেখিয়া শুনিয়া বুঝিয়া করি । অসত্য সিদ্ধাস্তুের উপর নির্ভর করিয়াও অনেক কাজ করি বটে, কিন্তু জীবনের যাহা কিছু সফলতা তাহা সত্য সিদ্ধান্ত দ্বারাই লাভ করি । চরক বলিয়াছেন— সমগ্ৰং দুঃখমায়াতমবিজ্ঞানে দ্বয়াপ্রয়ং সুখং সমগ্ৰং বিজ্ঞানে বিমলে চ প্রতিষ্ঠিতং । br8ー>。 Eastern science, Western কথাগুলি science, AASAASAASAASAA AAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS শারীরিক মানসিক সমগ্র দুঃখ অবিজ্ঞান-জনিত । সমগ্র মুখ বিমল বিজ্ঞানেই প্রতিষ্ঠিত। গাড়ীতে চাকা লাগাইলে সহজে চলে এই সিদ্ধাত্ত কোন দেশে কোন যুগে কোন মহা বৈজ্ঞানিক কল্পক श्रादिकृङ झहेग्रांझिल छांना यांग्र नांझे, किड़ नभरठ छञ९ নিৰ্ব্বিরোধে ইহার সদব্যবহার করিতেছে। চশমা ক্ষীণ দৃষ্টির সহায়তা করে, এই সত্য পাশ্চাত্য দেশে আবিষ্কৃত হইলেও এদেশের লোক তাহা মানিয়া লইয়াছে। বিজ্ঞান বা সত্য সিদ্ধান্তের উৎপত্তি যেখানেই হউক, उाश* জাতি-দোষ থাকিতে পারে না, বয়কট চলিতে পারে না । কিন্তু কি করিয়া বুঝিব অমুক সিদ্ধান্ত বৈজ্ঞানিক কি না ? বৈজ্ঞানিকগণের মধ্যেও বিস্তর মতভেদ আছে। আজ যাহা অভ্রান্ত বলিয়া গণ্য হইতেছে ভবিষ্যতে হয়ত তাহাতে ক্রটি বাহির হইবে । স্বতরাং সিদ্ধান্তেরও মর্যাদা-ভেদ আছে। মোটামুটি সকল বৈজ্ঞানিক সিদ্ধাস্তকে এই দুই শ্রেণীতে ফেলা যাইতে পারে— ১ । যাহার পরীক্ষা সাধ্যায়ত্ত এবং হইয়াছে । ২ । যাহার চুড়ান্ত পরীক্ষণ হইতে পারে নাই অথবা হওয়া অসম্ভব, কিন্তু যাহা অনুমানসিদ্ধ এবং যাহার সহিত কোনো স্নপরীক্ষিত সিদ্ধান্তের বিরোধ এখন পৰ্য্যন্ত मृहे হয় নাই । বলা বাহুল্য, প্রথম শ্রেণীরসিদ্ধান্তেরই ব্যাবহারিক মূল্য অধিক । এই দুই শ্রেণীর অতিরিক্ত আরো নানা-প্রকার সিদ্ধান্ত প্রচলিত আছে যাহা এখনো অপরীক্ষিত অথবা কেবল লোক-প্রসিদ্ধি বা ব্যক্তি-বিশেষের মতের উপর প্রতিষ্ঠিত। এপ্রকার সিন্ধান্তের উপর নির্ভর করিয়া আমরা অনেক কাজ করিয়া থাকি, কিন্তু এগুলিকে বিজ্ঞানের শ্রেণীতে ফেলা অকুচিত । চিকিৎসা একটি ব্যাবহারিক বিদ্যা । ইহার প্রয়োগের জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞানের সহায়তা লইতে হয়। কিন্তু এইসমস্ত বিজ্ঞানের সকলগুলি সমান উন্নত নয়। কৃত্রিম যন্ত্রের কার্য্যকারিত অথবা এক-দ্রব্যের উপর অপর দ্রব্যের ক্রিয়া-সম্বন্ধে যত সহজে পরীক্ষা চলে এবং পরীক্ষার ফল বার-বার