পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ఆN8 প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩১ [ २8* छां★, २घ्न थ७ SAMMAAA AAAA AAAAS AAAAA AA S SA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS এবং স্বস্তৃপ্ত হওয়াই চাই, তাহার খরচ এই দরিদ্র দেশ যোগাইতে না পারিলেও আপত্তি নাই। দেশস্থদ্ধ লোকের ব্যবস্থা না-ই হইল, যে ক’জনের হইবে তাহা বিলাতের মাপকাঠিতে প্রকৃষ্ট হওয়া চাই। কাঙালী ভোজনের টাকা যদি কম হয় তবে বরঞ্চ জনকতককে পোলাও খাওয়ানে হুইবে কিন্তু সকলকে মোটাভাত দেওয়া চলিবে না । বৰ্ত্তমান সরকারী ব্যবস্থায় ইহাই দাড়াইয়াছে । একদল পুরাতনকে র্যাচাইবার জন্ত বিজ্ঞানের পথ রুদ্ধ করিয়াছেন ; আর-একদল পুরাতনকে অগ্রাহ করিয়া বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠা করিতে চান। একদিকে অসংস্কৃত স্থলভ ব্যবস্থা, অন্যদিকে অতিমার্জিত উপচারের ব্যয়-বাহুল্য । আমাদের কবিরাজ এবং ডাক্তারগণ যদি নিজ-নিজ পদ্ধতিকে কুসংস্কারমুক্ত এবং দেশের অবস্থার উপযোগী করিতে চেষ্টা করেন, তবে ক্রমশঃ উভয় পদ্ধতির সমন্বয় হইয়া এ-দেশের উপযোগী জীবন্ত আয়ুৰ্ব্বেদের উদ্ভব হইতে পারে । র্যাহারা এই উদ্যোগে অগ্রণী হইবেন তাহাদিগকে দেশী বিদেশী উভয়বিধ পদ্ধতির সহিত পরিচিত হইতে হইবে এবং ভ্রম, প্রমাদ, পক্ষপাত বর্জন করিয়া প্রাচ্য ও প্রতীচ্য পদ্ধতি হইতে বিজ্ঞান-সন্মত বিধান এবং চিকিৎসার যথাসম্ভব দেশীয় উপায় নির্বাচন করিতে হইবে । কেবল উৎকর্ষের দিকেই লক্ষ্য রাখিলে চলিবে না,—যাহাতে চিকিৎসার উপায় বহু প্রসারিত, দরিদ্রের সাধ্যায়ত্ত, স্বদুর পল্লীতেও সহজপ্রাপ্য হয় তাহার ব্যবস্থা করিতে হইবে। .এজন্য যদি নূতন এক-শ্রেণীর চিকিৎসক স্বষ্টি করিতে হয়, এবং ব্যয়লাঘবের জন্য নিকৃষ্ট প্রণালীতে ঔষধাদি প্রস্তুত করিতে হয়, তাহাও স্বীকাৰ্য্য । কবিরাজী পাচন, অরিষ্ট, চূর্ণ, মোদক, বটিকাদির প্রস্তুত-প্রণালী যদি অল্পব্যয়সাপেক্ষ হয়, তবে তাঁহাই গ্রহণ করিতে হুইবে । এ প্রকার ঔযধ যদি ডাক্তারী টিংচার প্রভৃতির মতন standardised অথবা আসার অংশবর্জিত না হয় তাহাতেও আপত্তি নাই। দেশের যে অসংখ্য লোকের ভাগ্যে কোনো চিকিৎসাই জুটে না তাহাদের পক্ষে মোটামুটি ব্যবস্থাও ভালো। ইহাতে চিকিৎসাবিদ্যার অবনতি হইবার কারণ নাই,—যাহার সামর্থ্য ও স্থযোগ আছে সে প্রকৃষ্ট চিকিৎসাই করিতে পারে। অবশু যদি দেশের অবস্থা উন্নত হয় তবে নিম্নস্তরের চিকিৎসাও ক্রমে উচ্চস্তরে পৌছিবে । কবিরাজগণ দেশীয় ঔষধের গুণাবলী এবং প্রস্তুতপ্রণালীর সহিত স্থপরিচিত। ঔষধের বাহ আড়ম্বর বা চাক্‌চিক্যের উপর তাহাদের অন্ধভক্তি নাই । পক্ষাত্তরে ডাক্তারগণের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা অধিকতর উন্নত। অতএব উভয় পক্ষের মত-বিনিময় না হইলে এই সমন্বয় ঘটিবে না। এইপ্রকার চিকিৎসা সংস্কারের জন্ত সরকারী সাহায্য অবিশ্বক। প্রচলিত কবিরাজী পদ্ধতিকে সাহায্য করিলে দেশে চকিৎসা. এভাব অনেকটা দূর হইবে সন্দেহ নাই। কিন্তু তাহাতে উন্ধেগুসিদ্ধি অসম্পূর্ণ হইবে, ডাক্তারীর ব্যয়বাহুল্য এবং কবিরাজীর অন্ধ গতানুবৰ্ত্তিতা কমিবে না। যদি অর্থ ও উদ্যমের সদব্যবহার করিতে হয়, তবে সরকারী সাহায্যে এইপ্রকার অনুষ্ঠান আরম্ভ হওয়া উচিত – ১। ডাক্তারী স্কুল-কলেজে পাঠ্য বিষয়ের মধ্যে আয়ুৰ্ব্বেদকে স্থান দেওয়া । ভারতীয় দর্শনশাস্ত্র না পড়িলে যেমন philosophy শিক্ষা অসম্পূর্ণ থাকে, চিকিৎস-বিদ্যাও তেমনি আয়ুৰ্ব্বেদের অপরিচয়ে খৰ্ব্ব হয় । ২ । সাধারণের চেষ্টায় যে-সকল আয়ুৰ্ব্বেদীয় বিদ্যাপীঠ গঠিত হইয়াছে বা হইবে তাহাদের সাহায্য করা । সাহায্যের সর্ত এই হওয়া উচিত যে, চিকিৎসা-বিদ্যার আনুষঙ্গিক আধুনিক বিজ্ঞান-সকলের যথাসম্ভব শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে হইবে । - ৩ । বিলাতী ফাৰ্ম্মাকোপিয়ার অনুরূপ এদেশের উপযোগী সাধারণ ব্যবহার্য্য ঔষধসকলের তালিকা ও প্রস্তুতবিধি লিপিবদ্ধ করা । ডাক্তারী চিকিৎসায় যদিও অসংখ্য ঔষধ প্রচলিত আছে, তথাপি ফাৰ্ম্মাকোপিয়ায় নিবদ্ধ ঔষধসকলেরই অধিক ব্যবহার। বিলাতে গভর্ণমেণ্ট দ্বারা নিয়োজিত কয়েকজন বিশেষজ্ঞ কর্তৃক এই ভৈষজ্য-তালিকা প্রস্তুত হয়। দশ পনর বৎসর অস্তর ইহা সংশোধিত করা হয়,—যে-সকল ঔষধ অকৰ্ম্মণ্য বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে তাহ বাদ দেওয়া হয়, স্বপরীক্ষিত নূতন