পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ? “নবোঢ়ার পত্র” আনন্দবাজার পত্রিক নিম্নলিখিত খবরটি দিতেছেন – “সরস্বতী পূজা” “পটুয়াখালি গবৰ্ণমেন্ট সাহায্যপ্রাপ্ত উচ্চইংরেজী বিদ্যালয়ের ছাত্রবৃন্দ গত বৎসরের মতন এবারও স্কুল-প্রাঙ্গণে সরস্বতী পুজার আয়োজন করিতেছিল, কিন্তু ঐ বিদ্যালয়ের মুসলমান ছাত্রবৃন্দ উহাতে আপত্তি করিয়া মহকুমা মাজিষ্ট্রেটের নিকট একখানা দরখাস্ত দেয় । মহকুমা মাজিষ্ট্রেট জাতিতে মুসলমান এবং উক্ত বিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট। তিনি মুসলমান ছাত্রগণের জন্মূখীপ্ত পাইয়া বিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজা বন্ধ করিবার আদেশ দেন। উক্ত আদেশ পাইয়া হিন্দুছাত্ৰগণের মন অতীব ক্ষুণ্ণ হইরা পড়ে। তাহারা ঐস্থানের মিউনিসিপাল সেমিনারী স্কুলের ছাত্রগণের সহিত যোগদান করিয়া একসঙ্গে সরস্বতীপুঞ্জীর আয়োজন করিতে থাকে, কিন্তু এদিকে স্থানীয় মুসলমান নেতাগণ স্থানীয় অঞ্জুমান কর্তৃক এই মর্শ্বে একটি প্রস্তাব পাশ করিয়া লন যে, মিউনিসিপাল সেমিনারীতে কোনো প্রকার পূজা করিতে দেওয়া হইবে না। ঐ প্রস্তাবের একখণ্ড আকুলিপি জেলা মাজিষ্ট্রেট এবং অ (র একখণ্ড মিউনিসিপাল সেমিনারীর কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানে হয় ; কিন্তু সেমিনারী কর্তৃপক্ষ ভাহীদের কথায় কোনো প্রকার কর্ণপাত করেন নাই। ইতিমধ্যে মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেট র্তাহার পুত্রের কঠিন পীড়ার সংবাদ পাইয়৷ হইয় যান এবং বাড়ীতে পোছিয়াই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক । করিবার অনুমতি প্রদান করিয়া এক পত্র লিখেন। কিন্তু তিনি ' अश्ब्र बांख्नेौcङ cशरश शाइब्रि ॐछ भश्कूमtब्र खांब वर्निउ शच्च ठिनिe মুসলমান এবং তিনিও মহকুম ম্যাজিষ্ট্রেটের পরবত্তী আদেশের বিরোধী হইয় দাড়ান। কাজেই বিদ্যালয়ের ছাত্রগণকে মিউনিসিপাল সেমিনারী স্কুলের ছাত্ৰগণের সহিত একযোগে পূজা করিতে হয়। এদিকে মুসলমাল ছাত্রগণ সহরে এবং সহরের পাশ্ববৰ্ত্তী গ্রামে এই মৰ্ম্মে সংবাদ প্রচার করে যে, সরস্বতী পুজার দিবস মিউনিসিপাল সেমিনারী-প্রাঙ্গণে “মৌলদ সরীফ" ও "কোরবাণী’ হইবে । উক্ত সংবাদ পাইয়া মুদমানগণ নিৰ্দ্ধারিত দিবসে ঐ স্থানে সমবেত হইতে থাকেন ; কিন্তু স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ ব্যাপার বুঝতে পারিয়৷ পূৰ্ব্ব হইতেই সতর্কত অবলম্বন করায় বিশেষ কোনো গোলমাল হইতে পারে নাই। তবে প্রকাশ, হিন্দু এবংs মুসলমান ছাত্ৰগণের মধ্যে সামান্ত বিবাদ হইয়াছিল।” এই ব্যাপারটি পড়িয়া মনে হয় ইহার পিছনে বয়স্ক লোকের আছেন। এমন লোকও হয়ত আছে যাহারা “প্যাক্ট প্যাক্ট” বলির চীৎকারও সভ্যস্থলে করিয়া থাকে। হিন্দুমুসলমানের মিলনের জঙ্কও যাহার প্রচুর চেষ্টা করিয়া থাকে। ম্যাজিষ্ট্রেটের ব্যবহারও চমৎকার। স্বধৰ্ম্ম-প্রীতি তার প্রশংসনীয় মাত্রায় আছে । “নবোঢ়ার পত্ৰ” শ্ৰী বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় নম্বর এক সৈ, তোমায় চিঠি লিখতে কেমন বাধ বাধ ঠেকৃছে ভাই । কথায় বলে “হেলে ধো’ত্তে পারে না কেউটে ধো’ত্তে যায়” । আমারও হোয়েচে ভাই । দাদার অভ মার কানমলা থেয়েও আমার দ্বিতীয়ভাগ শেষ করা হোলো না অথচ তোমার মত ইস্কুলে পড়া মেয়েকে এই প্রকাণ্ড চিঠিখান লিখচি। তা তোমারই দোষ । কেন অমন হাতে ধরে বোলেছিলে । আমি যত মুস্কিলে পড়ি বানান নিয়ে ভাই। তা প্রথমভাগ আর দ্বিতীয় ভাগে যতটুকু পড়েচি তার মোছে ভুল হোলে রাগ কোরো । না হোলে কোরো না ভাই । বিয়ের রাত্তিরে আমার মনে যা যা হয়েছিলো তোমায় তো বোলেইচি, আর বাসর ঘরের কথা তো জানই । তার পর কি হো’লো বলি শোনে । না ভাই, তোমাদের বাড় জে বড় বেহায়া লোক ভাই । ভিড় হোয়েছিলো বলে আমরা মেয়ে গাড়ীতে উঠেছিলুম। ও প্রোত্তেক ইষ্টিশানে চা খাবার কি জল থাবার নাম করে নেমেচে । তুমি বোধ হয় বোলবে এ আর কি বেহায়াপান হো’লে । বেটাছেলে কি আমাদের মতন ঘোমটা টেনে থাকৃবে । কিন্তু ভাই ঠিক মেয়ে গাড়ির সাম্নেই কি যত রাজ্যির সব BB BB BBBS BB BBBBBS BBB B BBBB না দাড়িয়ে আর ডাকা ধায় না। তা আমিও সেয়ান মেয়ে । ‘যেমন বাঘ ওল তেমনি বুনো তেঁতুল’ । ইষ্টিশান আসচে বুঝতে পারার সংগে সংগে এক গলা ঘোমটা টেনে দিয়ে বোসে আছি । দেখো কাকে দেখবে । ৪ ভাই না পেরে শেষকালে কোষ্ট্রে কি জানো ? একটা ইষ্টিশানে এসে এক্কেবারে আমার জানলাটির কাছে এসে দাড়ালে । বোল্পে, ঝি দেখতো তোমাদের টারাণকে আমার কোটটা ভুলে চোলে গেচে কি না। আমার ভাই বডডই হাসি পেয়েছিল কিন্তু । আচ্ছা তুমিই বিচার করে৷ ওর জামা আমার