পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু চোখ চাইতে দেখি তাতো নয়, এ যে এক নতুন লোক। আমার মুখের দিকে কি এক রকম ভাবে চেয়ে আছে । আমিও পেরথোমটা কিছু বোলতে পাবুলুম না। তার পরে সে নিজেই কথা কইলে । পেরথোম কথা, বাঃ তোমার মুকখানি তো বড় স্বন্দর ভাই। শোশুর বাড়ীতে এ কথা দ্বিতীয় বার শুনলুম। কিন্তু ভাই সৈ, বোলতে কি প্রথমবার যার মুখে শুনেছিলুম ভার মুখেও এত মিষ্টি লাগেনি। লজ্জাম্ব আর চাইতে পারুলুম না। তখন মুখটা তুলে নিয়ে বোললে, দেখি রাগ করবে না তো ভাই । কঁচ ঘুমে তুললুম। রাগ আর কি কোরব সৈ। এই চারিদিকের গন্‌জনার মোদ্যে এর আদরের কথা গুনোয় আমার মনে যে কি হোচ্ছিল তা অন্তোজ্জমিই জানেন । আমি বললুম না, কেউ থাকে না, তাই ঘুমুই । আপনার যদি মাঝে মাঝে একটু আসেন । তিনি বেললেন, আমায় আর আপনি বোলে ডেকে না ভাই । তোমায় দেপে আমার বডড ভাল লাগচে । আপনি বোলে ডার্কুলে কেমন পর পর বোধ হয়। আমার ভাই মনে হোচ্ছিল একি এই পৃথিবীর লোক । এক কথায় এত আপণ করে নিতে কেউ তে পারে না। আর কি পিরতিমের মতন চেহারা ভাই। আমার হাতটা মুটোর মোদো নিয়ে বোললেন আমার বাড়ী কাছেই । কদিন থেকে আসবে আসবো কোবৃচি কিন্তু হোয়ে উঠচে না। বোলতে বোলতে চোক ছল ছল কোরে উটুলো । কি একরকম হোঁয়ে গিয়ে খপ কোরে চোখে কাপড দিয়ে বোললেন,এই চোখের জল এক পোড়া আপোদহেীয়েছে। আমি তো একেবারে কিস্তৃত কিমাকার হোয়ে গেলুম। এরকম কক্ষণও দেখিনি। একটা কথাও কইতে পারলুম না । চোখ দুটো মুচে জিগ্যেস কোবুলেনতোমার নামটি কি ভাই। আমি নাম বোললুম। তিনি বোললেন শৈল, তা বেশ নামটি, সৈ বলে ডাকূলে হয় ভাল। তবে তোমায় ওনামে ডাকবো না ভাই। এস আমরা একটা কিছু পাড়াই। আবার সেই আমুদে ভাব দেখে আমার সাহস হোলো। বোললুম বেশ তো আমিও একটা আপনজন পেলে বাচি । একেবারে মন টেকেন । হেসে তিনি বোললেন কেন ভাই লুকুচ্চো । দিনের বেলা যেটুকু কষ্ট হয় রাত্তিরের আগুৰুজন কি সেটুকু গুঞ্জৰাগী-ফাঙ্কজ:৪৪৩১ . १ष्ठश् .७ाश्छुश्चांश्चाङ भूयिदग्न cनञ्च न । श्रांभि लब्झांग्र श्राब्र शं ना किडूहे বোলতে পারুলুম না। হাতটা একটু টিপে মুখটা এগিয়ে তিনি বোললেন উত্তোর দাও ভাই । কথা ন কইলে কি কিছু পাতানো যায়। আমি বোললুম জানেনই তো, সমস্ত রাত ঘুমুতে না দিলে দিনের কষ্ট বাড়ে কি কমে। আমার গলাটা জড়িয়ে ধোরে ভারি আওয়াজে বললেন, আমি জানিলে ভাই, আর এ জন্মে জানবো ও না । তাই নারী জন্মের এই সাথ্যক মুখের কথা দুটো শুনতে তোমার দারস্ত হোয়েচি। আমি বয়েসটার আন্দাজে কথাটা বোলেছিলুম এখন দেখলুম মাথায় সিদ্ধর নেই। আমি ধিক্কারে যেন মাটিতে মিশিয়ে গেলুম। কেন না দেখে শুনে কথাটা বোললুম। কিন্তু কিছু বুঝতে পাবুলুম না। বিয়ে হয়নি দুদিন পরে হবে । কিন্তু অমন কথা বোললেন কেন । তিনি গলাটা ঝেড়ে সামলে বোস্লেন । বেললেন পোড়াকপালি আমি যার কাছে দুদণ্ড বোসি তার কাছেই অশাস্তি আনি । তুমি কিছু মনে কোরো না ভাই । পৃথিবীতে হাসা অনেকেরই কাছে ধায় কিন্তু র্কাদ সবার কাছে ধার না । তোমার ঘুমন্ত মুখখানা দেখে যেন বোধ হোলে৷ তুমি আমার কান্না বুঝবে। তাই আর চোখের জল মান মানচে না । কে জানে কেন এমনটি হয়। আমি বোললুম, কিন্তু আপনার এ কান্না কিসের জন্যে। আমারও বুকের ভেতরটা কি রকম করচে যে। কিছুতো বুঝতে পারুচিনে । তিনি আমার কাধে হাত দিয়ে বোলুলেন “কি বোলবো আর ভাই । যে দয়া কোরে তোমার মিথিটি পিছর দিয়ে রাঙা কোরে দিয়েচে সেই নিষ্ঠুর হোয়ে আমার চোখেজলভোরিয়ে দিয়েচে। কত জল সে দিয়েচে বোলুতে পারিনে। যেন অfর ফুরোতে চায় না ।” আমি আর থাকতে পারলুম না সূৈ । হাত দুটো ধোরে মিনতি কোরে বোললুম আমার বলতেই হবে কি হোয়েচে । আমি কিছুই বুঝতে পাচিনেসৈ। তিনিখানিকক্ষণ ধোরে আমার মুখের দিকে চেয়ে রোইলেন । কি সে আদরমাথা চাউনি ভাই । আমি যে কোথায় আছি তা সে চাউনিতে আমায় ভুলিয়ে দিয়েছিল। তার পর বোল্লেন সে সব কথা তোমার যে ভাল লাগবে না ভাই। আমি জিদ কোবুতে লাগলুম। তিনি বোললেন বেশ বোলবোখন একদিন ।