পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] এখন আমাদের পাতানোট হোয়ে যাক । বোলে রাঙা মুখটা আর চোখ দুটো আঁচল দিয়ে মুচে একবার আমার দিকে চেয়ে হাস্লেন। যেন সে মায়যই নয়। আমি ধোললুম বেশ তো। তিনি বোললেন তুমি ভাই আমার পথের কাটা, আমিও তোমার তাই, কেননা তোমার স্বথের পথে মাঝে মাঝে ফুটুবো—বোলে হাস্তে লাগলেন। কিন্তু সে হাসি কি কান্না ঠিক কোৰ্বতে পাৰ্বলুম না। এমন সময় আমার শাশুড়ি অfর কে একজন দোর গোড়ায় এসে দাড়ালেন । দুজনেই বোলে উঠলেন এই ধে । আর আমরা সমস্ত বাড়ী এক কোরে বেড়াচ্ছি। তার পরে শাশুড়ি আমায় বোললেন, বোলি বড় মানুষের ঝির নিন্দ্রে হো’লো। এ সব অলুঙ্গুনে ওব্যেস গুনো ছাড়ো বাছা । কি বেয়াড়া রীত দেখতে ভাই । বাপ মা কি নাকে ভেল দিয়ে ধুমুচ্ছিল। এগুনে ও শেকাতে পারেনি। শেষের কথাগুনে সংগির দিকে চেয়ে বোললেন । সংগি বললেন কে জানে দিদি আজকালকার মেয়েদের ধাত বুঝতে নারি। তবে এ-বাড়িতে থাকৃলে সব মৃদরে যাবে। কিন্তু ভয় হয় আমাদের উনি আবার জুটেছেন। বোলি হ্যাল ছিষ্টির পাট সব পোড়ে রয়েচে আর দিব্যি নিশচিন্দি হোয়ে কোনে বউয়ের সংগে কোনে-বউ সেজে বোসে আছিস । আমার যে অfর সয়ু না । হাড় ভাজা ভাজা হোয়ে গেল । আমার তো সৈ মনে ২োচ্ছিল ম| ধরনি দিধা হও । আমার পথের কাটা কিন্তু হেসে বোললে চল আমি যাচ্চি। ওরা দুজনে রাগে গন গন কোবৃতে কোবৃতে চোলে গেলেন । আমার গলাটা জরিয়ে চুমো পেয়ে পথের কাট বোললে, কিছু দুঃখ কোরো না, এ আমার অংগের ভূষণ । আজ তবে এখন আসি ভাই । তিনি চোলে গেলেন। সমস্ত দিন আমার মনটা কি রকম যেন হোয়ে রোইল। আমি ঠিক কিছুই বুঝতে পাৰ্বলুম না। তবে মনে নানান রকমের কথা উটুতে লাগলো। রাত্তিরে সমস্ত কথা বোলে তোমাদের বাড়জেকে জিগ্যেস কোরলুম। সে একটু যেন কি রকম হোয়ে গেল। অন্য মনস্কো হোয়ে হাতের ফুটন্ত গোলাপ ফুলের পাপড়িগুলো ছিড়তে লাগলে তার পর একটা নিস্যেস ফেলে হঠাৎ পাপড়িগুনো আমার মুখে ছড়িয়ে 9 بن عســون مb “নবোঢ়ার পত্ৰ” ۹۹ هوا বোললে, ও কিছু নয়। তুমি ছেলে মানুষ শুনতে নেই। সে রাত্তিরে কিন্তু সবই যে বিসাদ লাগতে লাগলো। হাজার চেষ্টা কোরেও জমাতে পারলে না। কথায় কথায় কেবলই ভুল হোতে লাগলো। একবার বোললে আঙ্গ একটা ভালো গোলাপ ফুল এনেচি। তোমার মুখের কাচে ধরে দেখবো কোনটা বেশী স্বন্দর। বোলে বিছানাটা হাংড়াতে লাগলো। আমি বোল্লুম সেটা তে৷ ছিড়ে আমার মুখে ছড়িয়েচে, আর পাবে কোথায় । অপ্রোস্তুত হোষে বোল্‌লে হ্য। ঠিক কথা । ভ। যাই হোক - তোমার মুথের কাচে কিছুতেই মানাতে না । সৈ এবার আমার চিটি বন্দ করি ভাই । পেরকাণ্ডে হোয়ে পোড়লো । এখন এক আনার ৬াকে গেলে বাচি । আমর। এখানে ভাল আছি। তোমরা সব কেমন আছ লিখিবে । তুমি আমার ভালবাসা জেনে আর মিনি বিড়ালটাকে আমার হোয়ে গুনে গুনে একশোটা চুমে পেও । সেটার জন্যে বড়ই মন কেমন করে ভাই । ইতি—তোমার সৈ । ভাই সই, নম্বর w আজ বারো দিন হোলে নদীতে বান এসে সমস্ত দেশ ভাসিয়ে দিয়েচে । ও বোল্‌লে এখন চিটি পত্তর যাওয়া বন্ধ। কাধেই তোমার পেরথোম চিটিটাও পাঠানো হয়নি । এইখানেই পোড়ে রয়েচে । আর চিটির লিখনেওয়ালারই যাওয়া হোলো না তে চিটির । এই গেল সোমবার যাওয়ার দিন হোয়েছিলো। কিন্তু কথায় বলে “বিধি যদি হোলো বাম কেই ব| পুরে মনোস্বাম” । কয়েক যায়গায় নাকি রেলের লাইন ভেংগে গেছে । গাড়ি বন্দ । তা যেখানে চিরজম্মট থাকৃতে হবে সেখানে পেরথোমবার না হয় দুদিন বেশিই থেকে গেলাম তাতে দুঃখু নেই। কিন্তু ভাই ঠাটা না কর তো বোলি। আজি আট দিন হোলো তোমাদের বাড়ুজ্জে চোলে গিয়েচেপজ্জন্ত মনটা যেন আইঢাই কোবৃচে । আমি ভাই তোমাদের ভালোবাসা না বাসা অতশত বুঝিনে। তবে এ বাড়িতে ওরই মুখে একটু হাসি দেখতুম। আর সব যেন তোলা হাড়ি নামিয়ে বোসে আছেন। বিশেষ কোরে ননোদটি। বাবা বাবা বাবা সাজ্জন্মে কারুর যেন ননোদ না হয় ।