পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-૭૧ના তা ভাই এক হিসেবে আমার কোনো দুঃখু নেই, কেননা উনি গেচেন খুব ভাল কাযে । ৰয়েতে যাদের ঘর বাড়ি পোড়ে গেচে,গোরু বাছুরভেসে গেচে,খাবার পর্বার সংস্থান নেই, তাদের দেখতে শুনতে ওঁরা সব দলবেঁধে গেছে । আমি গোড়ায় এত জলের কথা শুনে শিউরে গিছসুম ! ওঁর পাছটাে জড়িয়ে বোলেছিলুম কোন মতেই যেতে পারবে না। কিন্তু ভাই এমন কোরে গরিবদের কথা সব বোলতে লাগলেন যে আমা হেন পাষাণেরও চোখে জল এল। পা দুটো ছেড়ে দিলুম। মনে কোল্লুম, মা জগদম্বা যদি ইচ্ছে করেন তো আমার সিথির সিদ্ধর বজায় রাখবেনই। ভাল কাযে বাধা দিতে নেই। যাবার সময় মার দেওয়া ছিখেত্তোরের ফুল আর পেরসাদ পকেটে রেখে দিলুম। না ভাই আর যাই বলে পুরুষদের একটা বড় দোষ । ঠাকুর দেবতায় মোটেই বিস্তেস নেই। এ ফুলে কি হবে বোলে হাসতে লাগলো। আমিও তেমনি কড়া মেয়ে। খুব কোসে এক ধমক দিয়েচি । তুমিই বিচার কর দৈ কিছুর ঘরে এত বাড়াবাড়ি কি ভালো। ঠাকুর দেবতার কাছে অপরাধ কোরে কি একটা বিগ্নি ঘটাতে হবে শেষে ? আমার দিনগুনে যে কি কোরে যাচ্চে তা আমিই জানি । আজ আট দিন গিয়েচে । কোন একটা খবর নেই। পথের কাটার শরীরটা তেমন ভাল না। তবুও বেচারি পেরায় রোজ দুপুর বেলায় আসে । ঐটুকু সময় যা একটু অক্টোমনস্কো থাকি । ওর পেট থেকে কিন্তু সেই কথাট বের কোবৃত্তে পারুচি না । বোললেই বোলে নিরিবিলি পেলে একদিন বোলবোখন। সেদিন চেপে ধোবৃতে আমার গাল দুটো টিপে ধোরে বোললে,এক তোমার বিরহের কষ্ট তার ওপর দুঃখুর কথা সইবে কেন কাটা, এই তো কোচি বুকখানি। আমি বোললুম বেশ তো বিষে বিষ খোয় যাবে যাবেখন। বল তুমি । আমার গলা জড়িয়ে বোলাল তোমীর বরের নামে নালিস । আগে আসামি আমুগ, জজসাহেব । তবে তো মকদ্দমা হবে । আমি সৈ কিছু বুঝতে পাচি লা। উনি তো অমন লোক নন। তবে কেন পথের কাটা আমন অমন কথা বলে। আমার বুকটা ভাই বড় ভারি হোয়ে থাকে। ইচ্ছে করে ছুটে গিয়ে প্রবাসী—ফান্তন, ১৩৩১ [२8न छाश, २घ्रं थ७ সৈ তোমার গলাটা জড়িয়ে তিনঘণ্টা ধোরে কাদি কাদি আর কাদি । কাল কেঁদে কেঁদে বালিস ভিজিয়েচি, তৰু মনটা হালকা হয়নি। একবারটি ভাব ত লৈ কি কঠিন না প্রান আমার । ওর কোন খবর নেই। পথের কাটাও রোজ আসেন । ননোদিনি কাল-সাপিনির তো ঐ দশা । বাড়ীতে কেউ একটু আদর করে না। তার পর ওঁদের ছেলে খবর পাটান ন—সেও আমারই দোষ। কাল দিদিশাশুড়ি আমায় শুনিয়ে-শুনিয়েই বোললেন বোধ হয় বউ পচন্দ হয়নি বোলে বিবাগি হোয়ে গেচে । অমংগলের কথা শুনে আমার বুকটা ধড়াস কোরে উটুল। আগে এই দিদি-শাশুড়ি কাচে ডেকে কখনো কখনো ঠাট্ট তামাসা কোবৃতেন একথা সেকথা রোজ জিগ্যেস কোবৃতেন ; কিন্তু এদাস্তি এরও ধরন বদলে গেচে । তা সৈ সত্যিই কি আমি এতই কুচ্ছিত ? শুনেচি আজকাল টাকা না ঢাললে রূপ হয় না। তা ভাই বাবা কমই বা কি দিয়েচেন । বলতে কি কিচ্ছতেই যশ নেই। কাল সন্দের সময় ননোদ এসে বোললে, কিগে দাদার কোন চিটি-পত্তর এসেচে ? আমরা তো পর হোয়েগেচি। বোঝে সৈ কথাটার ধরন বোঝে। তাই বোলছিলুম, পোড়া প্রাণ এতেও বেরোয় না। রূপকথার কোন ভোমরার বুকে আমার এ প্রাণ গচ্ছিত আছে বলতে পারিস সৈ। আজ কাল রোজ এইরম কোরেই কাটুচে। সমস্ত দিন হতচ্ছেদা লাঞ্ছোনা সই। রাত্তিরে সবাই যখন শোয় তোমায় বোসে বোসে একটু কোরে লিকি । এইটুকু আমার শাস্তিতে কাটে। তবুও ভয়ে ভয়ে লিকতে হয় ভাই । মেঝেতে ঝি শুয়ে রয়েচে আর বিছানায় আমার সেই ননোদ । সাক্ষাৎ যম । কেউ উটুলেই আমার মাথায় বজ্ৰাঘাত। তবে ভগবান দয়া কোরে দুজনের চথ্যেই কুম্ভকর্ণের ঘুম দিয়েচেন । আর নয় ভাই, শুইগে। চোখ ঢুলে আসচে, কাল আবার লিক্‌বে অখন। শনিবার। লৈ ভগবান মুখ তুলে চেয়েচেন। আজ ওর একখানা:চিটি এসেচে। একখানা কেন বলি দুখন চিটি এসেচে। একখানা বাড়িতে দিয়েচে আর একখানা আমায় । না ভাই আমার বড়ই লজ্জায় লজ্জায় দিনটা কেটেচে। ঝি পোড়ারমুখী আবার সবার সাম্নে চিটিটা দিয়ে