পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বকুসিস চায়। আহা কি উবগারই করেচো তার আবার বকৃলিল। যদি খেমতা থাকৃতে তো এরম কোরে লজ্জা দেবার দরুন হেঁটোয় কাটা সিয়রে কাটা দিয়ে পুততুম তোমায়। কিন্তু কি কোরূবে ভাই, শেষ পজন্ত একটা টাকা আদায় কোরে ছেড়েচে। আবার ভয় হচ্চে কাউকে বোলে না দেয়। আচ্ছা আমায় তোমাদের বাড়ুজ্জের এরম কোরে বিব্রত করা কেন ভাই। কে মাথার দিব্যি দিয়ে ঢং কোরে চিটি লিকুতে বোলেছিলো আবার। সে আবার কাব্যি দেখে কে । সেখানে খাবার দাবার কষ্ট, সেকথা সোজা কোরে বোললেই হয়। তা নয়। তোমার অধরস্বধা আমায় অমর করিয়া রাখিয়াছে নহিলে এ কঠোর কেলেশ এ জীবন সহিতে পারিত না । বেশ বেশ বাবু বুঝেচি, এখন তুমি ফিরে এস। না হয় সে স্বধা আরও একটু দেওয়া যাবে। কি বল সৈ । সেখানে বোসে বোসে খালি পেটে কাব্যি লিকৃত হবে না। হ্যা ভাই সৈ, মৃণাল , মানেই বা কি আর ভুজ মানেই বা কি ভাই । কতকগুনে পদ্ধের ডাটা ভেসে যাচ্ছিল দেখে নাকি আমার মৃণাল ভুজের কথা মনে পোড়ে যাওয়ায় মশায়ের ঘুম হয়নি। আমার তো বিস্তেস কিছু ঠাট্ট করেচে। ওসব লোককে পেত্তয় নেই। তাই যদি হয় তো নিজের ঘাড়েই উণ্টে পড়বে। কেননা আমিতো বুঝতে পারুচি না । কি বল সৈ। ধাহক ভাই শিগগির শিগগির ফিরে আসবে লিকেচে এই আমার পুণ্যির বল। এলে যার ভাই তার হাতে সপে দোবো। আঁচলে বেঁধে রাখবেখন। আর বোলুতে পারবে না যে আমি পর কোরেচি। • ভাই পথের কাট। আজ দুদিন আসেনি কেন । কাকে যে জিগ্যেস কোরি। প্রাণটা তার জন্তে বড় উতলা হোয়েচে । আহা বেচারার মা নেই। সৎমার হাতে কি শাসনটাই না ভোগ করে । এখন ভাই আসি তবে | সোমার। গৈ ন-দিন পরে আবার কলম ধরেচি। কিন্তু লিকৃতে কলম আর সরেনা ভাই। সৈ সত্যি আমার সেরা কপাল ভাই। নৈলে আজন্ম শিবপুজো কোরে পাওয়া এমন সাদের শোশুরবাড়িই বা এমন শত্তরপুরি হেয়ে “নবোঢ়ার পত্র’ ՆԳ:Տ দাড়াবে কেন। আর কেনই বা ভগবান যা একটু হাত তুলে দিয়েছিলেন তাও কেড়ে নেবেন। কি কোরে কথাটা তোমায় বোলবো সৈ। আমার ধেন সব এলোমেলে৷ হোয়ে আস্চে । ও আজ ৫ দিন হোলো এসেচে। সকালে এল । বিকেল বেলা ঘরে বোসে আমার সংগে গল্প কোরূবে এমন সময় পথের কাটা দোরে এসে দাড়ালো । ওর গল্পসল্প একেবারে বন্দ হোয়ে গেল। আমি ঘোমটাটা টেনে দিয়ে ভেতর থেকে দেখতে লাগলুম কাটা ঢলঢ়লে চোখ দুটি দিয়ে আমাদের দিকে চেয়ে আছে। আরও মাথাটা নামিয়ে আমার বালাট আস্তে আস্তে ঘুরুচ্চে । আমার একটু হাসি পেলে । তিনজনকেই কে যেন মস্তোর পোড়ে পাথর কোরে দিয়েচে । আমি ওর হাতটা টিপে দিলুম, দিতেই ওর যেন সাড় হোলো। তাড়াতাড়ি উটে কাটাকে বোললে, এসে বসে। এই দুটি কথা বোলতে আওয়াজ এত জড়িয়ে যেতে আর কথন আমি দেখিনি । ও চোলে যেতে কাটা এসে বোসলে। আমার ঘোমটাট খুলে দিলে। গালদুটো টিপে বললে, দুজনের মুখদুটি এক সংগে দেখলেও একটু তৃপ্তি হোতে। তাতেও বাদ ! মুখটি ঢেকে রাখলে। তোমার পথের কাটা নাম দেওয়াই ঠিক হোয়েচে । আমি বোললাম এদিন কোথায় ছিলে ভাই । যখন ভোলো তখন একসংগে সকলেই ভোলো । এদেশের কি ধরনই এই । কাটা ঝোপে তোমার বিমর্ষ শুকনো মুখখানির দিকে আর আমি চাইতে পারতুম না ভাই। আর আস্সাসের কথাও সব ফুরিয়ে এসেছিলো । তা-ভিন্ন আমার শরীটাও ভালো থাকৃতো না। অবিপ্তি সেটা কিছু নয় তেমন । আমি বোললুম কি হোতে আবার । শরীরকে যে শরীর বলোনা তুমি তা আমি জানি। সে বোললে বিশেষ কিছু নয় মুধু তোমার বিরহরোগের আঁচ লেগেছিলো। ওলাউটোর মতন এটাও ছোয়াচে কিনা। বোলে তার সেই হাসিকান্নার হাসি হাস্তে লাগলো, আমি চেপে ধোবুলুম। বোললুম না ভাই আজ আর ছাড় নেই।- তোমাদের মধ্যে একটা কিছু হোয়েচে নিশ্চয়ই। বোলতেই হবে আজকে। তখন মিরুপাম্বের কাট। তার দুঃখের জীবনের কথা বোলতে লাগলো । কিসের দুঃখু ভাই। আমি নিজের কথাই পাচ কাহন