পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Weboe প্রবাসী—ফান্তন, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড করচি, কিন্তু ওর তুলনায় আমি তো সগগে আছি। জোর কোরে বলালুম বটে কিন্তু শুনে এতই কষ্ট হো’লেী মনে হো’লে, না শুনে ছিলুম ভালো । সৈ পুরষকে তুমি ভাই ভালে বলে। অমন ভালো অতিবড় শত্তরেরও হোয়ে কাধ নেই। ও গরিব বেচারি ছেলেবেলা মা হারিয়ে মামার বাড়ী পোড়ে ছিলো । আর কিছু না হোক মাতাল বাপ আর ডাকিনি সংমার হাত থেকে তো বেঁচে ছিলো। সন্ধান নিয়ে নিয়ে দরদ দেখিয়ে এখানে আনানো হোলে! কেন, আর কেনই বা মিছে আশা দিয়ে ওর এত দুগগতি করা হোলো । তুমিই বিচার কর সৈ ওকি পায়ে পোরে বোলুতে গিয়েছিলো—ওগো আমার আপন বোলতে কেউ নেই। আমায় পায়ে রাখ। তাতো নয়। তোমারই ঘাড়ে ভূত চাপলে, কত নভেলিয়ানা কোবুলে চিটি লিখলে, উপহার দিলে, এমনকি বিয়ের সমস্তে কথা পজন্তু ঠিক হোলে । তারপর অকস্মণং সব উলটে দিলে। তোমার মনের মোধ্যে কি হোলো তুমিই জানে, বাইরে দেখালে আমায়ু দেখে বড় পচন্দে হয়েচে । আমায় না হো’লে আর চোল্‌বে না । এই হো’লে বিচার । পিক তোমার কলেজে পাস করা আর ধিক তোমার পুরষত্ত। সৈ পাস করান যদি আমার হাতে থাকৃতে তো এমন সব লোককে পেরথোম ভাগের গণ্ডি পেরতে দিতুম না। সত্যিই ভাই আমার বড়ই কষ্ট হয়েছিলে। সেদিন গপ্প বলতে বলতে কঁাট। এক একবার তার সেই হাসি হাসে আর আমার বুকের পাজরাগনে। ধেনী খোসে যায়। মনে হয় এই যে আমায় ওর এত আদর অভ্যৰ্ত্তনা এ যেন সবই ভুয়ো । একদিন এও শেষ হোয়ে যেতে পারে । কঁটি উঠে যাবার সময় আমার গলা জড়িয়ে ধোলাল এসব কথা একটিও বরের কানে তুলনা যেন । পুরুষ মানুষের মন কোন দিক দিয়ে ভাঙে বলা যায় না আর বোলেও তে। আমার কোন উবগার কোবুতে পারবে না । বিধির নেকোন। আমার পোড়া কপাল পুড়িয়েছেন, তুমি আর কি কোরূবে বোন। আমার কিন্তু সৈ রাগে শরীর গিস্গিস কোবৃছিলো । মনে মনে ঠিক কোবুলুম এ অন্যায়ের একট। বিহিত কোর্বই তবে আমার নাম শৈলি বাম্নি । রাত্তিরে ঘুমের ভান কোরে পোড়ে রইলুম। ও তাসের আডড থেকে রাত কোরেই আসে । সে রাত্তিরে এসে পেরথোম আস্তে আস্তে ঠেলতে লাগলো তার পরে জোরে নাড়া দিতে লাগলো। কিন্তু সন্ম। জেগে ঘুমুচ্চে তুলবেন কাকে। অনেক্ষণ চেষ্টা কোরে বোধ হয় বুঝতে • পারলে যে এ সোজা ঘুম নয়। তখন খোসামোদ স্বর, কোরে দিলে। ছিছি সে খোসামোদ দেখলে বোধ হয় নেহাত যে বেহায়া তারও লজ্জা হোতো সৈ । আমার তো লজ্জাও হোলো কষ্টও হোলো আবার রাগও হোলো । তখন ঘুম ভাঙার ভান কোরে পাশ ফিরুলুম। ভাবলুম একটা কপট ধমক দি, কিস্ত কইতে লজ্জ করে, পোড়! মুখ হাসি এসে গেলো। ভাই গৈ আমার এই হাসিট। ছোয়েচে কাল । সময় নেই অসময় নেই বেরিয়েই আছে । লোকে স্বথের সময়ই হাসে কিস্ত, রাগে যখন গ| রি রি কোরচে সে সময়ও যে কোথা থেকে আমার এ পোড় হাসি উদয় হয় তা জানিনে। গম্ভির ক্টো’তে গিয়ে ওর কাছে একেবারে খেলে হোয়ে গেলুম। তপন ও ও পেয়ে বোস্লে। আর আমায় ও সব কথা বোলতে হোলো । অামার গল্প শেষ হোয়ে গেলে ও অনেক্ষণ এক ভাবে চুপ কোরে পোড়ে রোঈল । তার পর আস্তে আস্তে উটে গিয়ে বাক্সো থেকে একটা চিটি নিয়ে এসে আমার হাতে দিলে। আলোটা উঙ্গে দিয়ে বোল্‌লে পড়। বোলে বাইরে চোলে গেল । এক নিস্তেসে আমি সমস্তটা পোড়ে গেলুম। পোড়তে পোড়তে আমার গায়ে যেন কাট দিয়ে উটুল। সে-সব কথা আর তোমায় কি লিক্‌বো ভাই । বুঝতে পারলুম ওর কোন দোষই নেই । কঁাটার সংম মিচে কলংক দিয়ে কাটার চিরজন্মট নষ্টে৷ কোরে দিয়েচে । না-হোলে আমি আজ যে যায়গা জুড়ে বসেচি সেখানে কঁাটাই রানি হোয়ে থাকৃতো । একটা ছোট চিটিতে বেচারার মুখের নেশ ভেঙে দিয়েচে রাকুলি। এখন একবারটি চোখের দেখা দেখবার জন্যে যেন কি কেরিতে থাকে । আর একবারটি দেখতে পেলে যেন হাতে সগগ পায়। আমার যেন মনে হোতে লাগলো ওয়ই ধন আমি ' কেড়ে নিয়ে আছি। যেন সত্যিই ওর স্বথের পথে কাট৷ } হোয়ে আছি। মনে মনে বোললুম, হে বিধাতা পুরষ,