পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ত্রিসংসারে তোমার এমনি কি কোন বিধান নেই যাতে কোরে ওর জিনিষ ওকে ফিরিয়ে দিতে পারি। এইসব ভাবচি এমন সময় ও ফিরে এলো। ওমা দেখি কেঁদে চোখদুটো এরই মোদ্যে রক্তজবা কোরে তুলেচে। আমি তো দেখে অবাক হয়ে গেলুম। এত কড়া এরা আবার এত নরম । বুকে ধক কোরে একট। চোটু লাগল। সে মুখ যদি দেখতিল সৈ । কিন্তু, তস্থনি মনকে কড়া কোর্লুম—ন পুরুষ মানুষের এত দুর্বল হোলে চলে না তো । আমি ওকে দেখিয়েই হাতের চিটিটা ছুড়ে ফেলে দিলুম আর জিগ্যেস কোরলুম। দেখি ওর চোখদুটো আবার জলে ডব ডব কোরে উটুল। আমার গলাটা জড়িয়ে বোলে, দেখ আমি বিস্তেস করিনি বড় একটা । তবে ভয় হো’লে| যদি একে বিয়ে করি তে এ রাঙ্কুপি এইসব কলংক রটাতে ছাড়বে না। সত্যি বলতে কি পেরথোম পেরথোম চিটি টা পেয়ে আমি থে কি কোর্ব কিছুই ঠিক কোরে উটুতে পারিনি । এক দিকে ওর ভালবাসা আর একদিকে এই অগদি কলংকের ভয় । এই দেটিানায় পোড়ে আমি হাবুড়ধু পাfচ্চ এমন সময় একদিন তোমায় দেখলুম। শনচি তোমাদের মোধ্যে পথের কাট-না কি একট। পাতানে গুয়েচে । ত৷ ঠিকই হোস্থেচে কেন না তোমায় যদি না দেখতুম তে। শেষ পঞ্জন্তো ওই ছোট চিটিটার ভয় থাকৃতে । কিনা বলা যায় না । সৈ শোন সোয়ামির কিন্তু, একথাগ,নে আমার তেমন ভালো লাগলে না । খুব মুখ ভার কোরে বোল্লুম ত৷ পথের কঁাটা সৰ্বতে আর কত দেরি হয়। বেস্ বুঝতে পাৰ্বলুম কথাটা শুনে ও মনে মনে চম্কে উটু’ল। আমার বুকের মদ্যে চেপে ধোরে বোললে, ছিঃ ওকথা বলে না। যা হবার হোয়ে গেচে । আর তো ফিরবে না । আমি মনে মনে বোললুম একবার দেখবো ফেরে কিনা । সৈ এখন তোমায় বলি সেই থেকে আমার মনে পাপ ঢুকূলে । ভাবলুম যাকে এত ভালবেসেচি তার জন্যে যদি তুচ্ছ জীবনট যায়ই তো খেতি কি । অামি তে। সরি তারপর পুরুষের মন,—উনি নিশ্চয় কাটাকে তুলে নেবেনথন। ভাবলুম যা হোক আমার নারী জন্ম তো সার্থক হোয়েচে । “নবোঢ়ার পত্র’ وہ سbرا\ এখন আমার এ দেবতার কোলে ও অভাগিনীকে তুলে দিয়ে ওর নারী জন্মটা সার্থক কোরে দি। য। কোবুতে যাচ্চি তাতে অশেষ পাপ বটে। কিন্তু যিনি এত সব দেখচেন বুঝচেন সেই অন্তোজ্জামি আমার এ তুচ্ছ অন্তরের কথা কি বুঝবেন না। অনেকক্ষণ এই রকম ভেবে মনটাকে শক্ত কোরে ওর বুকের মোধ্যে থেকে মুখটা বার কোরে নিলুম। কিন্তু ওর মুথের দিকে চেয়ে বুকটা গুম্রে উটুতে লাগলে । মনে হো’তে লাগলো এ অমূল্য রত্ব আর বেশি দিন দেখতে পাবে না তো । তাই এসব কথা ভুলিয়ে মস্ত রাত ধোরে ওকে কত গল্প বলালুম। যত চুমে চাইলে যেন শেষ দেওয়ার মতন দিলুম । বেহায়ার মতন আমিও গোট কতক চেয়ে নিলুম। তারপর শেষ রাত্তিরে মগন ঘুমিয়ে পোড়ল জন্মের সোধ পাদুটো জড়িয়ে পোড়ে রইলুন । মনে মনে বোললুম দেবত। আমার তুমি । মেয়ে মানুষ ধম্মের জন্তে পরের জন্যে চিরকাল আত্ত-জলাঞ্জলি দিয়ে এসেচে, তাই আমিও চোললুম। অপরাধ নি ৪ না । ওর বোধ হয় সন্দেহ হেয়েছিলো । পরের দিন আমায় চোখে চোখে রাখতে লাগলে । আমার ছুখুও হো’লো আধার হাসি ও পেলে । দুকুর বেলা যখন সবাই শুয়েচে আমি বিছানায় শুয়ে রোইলুম আর ঝি এলে বোললুম ঝি কপালট। ধোরেচে একটু আপিন কিনে এনে দিতে পারিস । পোড়ারমুখি বেলিলে কি-কিনতে হবে কেন মা, খান তো চেয়ে এনে দিগে । আমি ব্যাপ্ত হয়ে বোললুম, না না, নতুন মানুষ আমি, একটা জানাজানি হবে । তার চেয়ে তুই চুপি চুপি এনে দে বাছা । এই আড়াই টাকার নোটটা নে। আমায় টাক। খালেক এনে দিয়ে বাকিটা তুই রেখে দিস ড়ে মাছুষ এতটা পথ যাধি। টাকার লোভ বড় লোভ । ঝি চোলে গেল । সমস্ত ঘরটার দিকে চেয়ে যেন আমার কান্না আসতে লাগলো। এ সগগো ছেড়ে যাওয়া কি শক্তো সৈ । এক একটা জিনিয-বুকের এক একটা পাজরা যেন টেনে ধোরেচে। যে শশুর-বাড়ি অজগরের মত ই কোরেছিল সেটা এই টুকুতে মার মত কোলে জড়িয়ে ধোরে রোইল । মনে হো’তে লাগলে মুখে হোগ দুঃগে হোগ নারী জন্মের এই বৈকুণ্ঠ । ননোদট,