পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե»Պաֆ6 ‘রক্তরঙের ফসল ফলে তাড়াতাড়ির বীজে, . বিনাশ তা’রে আপন গোলায় বোঝাই করে নিজে । বাহুর দম্ভ, রাহুর মত, একটু সময় পেলে নিত্যকালের সূৰ্য্যকে সে একগরাসে গেলে । নিমেষ পরেই উগরে দিয়ে মেলায় ছায়ার মত, সূৰ্য্যদেবের গায়ে কোথাও রয় না কোনো ক্ষত । বারে বারে সহস্রবার হয়েছে এই খেলা, নতুন রাহু ভাবে তবু হবে না মোর বেলা।. ' কাণ্ড দেখে পশুপক্ষী ফুকরে ওঠে ভয়ে, অনন্ত দেব শাস্ত থাকেন ক্ষণিক অপচয়ে ॥ টুটুল কত বিজয়-তোরণ, লুটুল প্রাসাদ-ছুড়ে, কত রাজার কত গারদ ধুলোয় হ’ল গুড়ে । আলিপুরের জেলখানাও মিলিয়ে যাবে যবে তখনো এই বিশ্ব-স্থলাল ফুলের সবুর সবে। রঙীন কুৰ্ত্তি, সঙীন মূৰ্ত্তি রইবে না কিছুই, তখনো এই বনের কোণে ফুটবে লাজুক জুই । ভাঙবে শিকল টুকরো হয়ে, ছিড়বে রাঙা পাগ, চূৰ্ণ-করা দৰ্পে মরণ খেলবে হোলির ফাগ। পাগলা আইন লোক হাসাবে কালের প্রহসনে, মধুৰ আমার বঁধু রবেন কাব্য-সিংহাসনে। সময়েরে ছিনিয়ে নিলেই হয় সে অসময়, ক্রুদ্ধ প্রভুর সয় না সবুর, প্রেমের সবুর সয়। প্রতাপ যখন চেচিয়ে করে হুঃখ দেবার বড়াই, জেনে মনে, তখন তাহার বিধির সঙ্গে লড়াই। হঃখ সবার তপস্তাতেই হোক বাঙালীর জয়, ভয়কে যারা মানে তারাই জাগিয়ে রাখে ভয় । মৃত্যুকে যে এড়িয়ে চলে মৃত্যু তা’রেই টানে, মৃত্যু যারা বুক পেতে লয় বঁাচতে তারাই জানে।