পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৯e ७वर बत्रज्ञाथ-यूर्डि दिब्रांबयान । यहे ऋण श्वृश्९ भाथबैौলতা-পরিবেষ্টিত একটি প্রাচীন বটবৃক্ষতলে বঙ্কিমদেে cश्राद्वैदिशब्र इद्देब्र थां८क । @ বীরভঞ্জের বারোশত চেলা খুষ্ঠীদ্বারা শ্বেতগঙ্গা পুষ্করিণী খনিত করে । কেহ-কেহ এই পুষ্করিণী জাহ্নবা দেবীর আদেশে, নেড় বৈষ্ণবগণ কত্ত্বক খনিত হওয়ার কথা বলিয়া থাকেন। এই শ্বেত গঙ্গার পূৰ্ব্বে অমলীতলা ( একটি অতি প্রাচীন তেঁতুল বৃক্ষ ) ; এই বৃক্ষ-সম্বন্ধেও অদ্ভুত প্রবাদ আছে, কিন্তু তাহার উল্লেখ করিতে সাহসী श्हेंलांभ ना । ( ২ ) কদমখওঁী—একটি অতিক্ষীণকায় স্রোতস্বতী । প্রবাদ, এই ৰুদমখণ্ডীর ঘাটে বঙ্কিমদেবের প্রমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণোপযোগী দারু উজানে ভাসিয়া আসিয়াছিল— ঐনিত্যানন্দ প্ৰভু তাহ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । কন্দরের এই স্থলে একটি বাধা ঘাট রহিয়াছে। ঘাটের উপরে - বৈষ্ণবগণের সমাধি এবং নিতাই দুই হস্ত প্রসারণপূর্বক ভক্তগণের স্বাগত প্রতীক্ষা করিতেছেন, গৌরাঙ্গ প্ৰভু উদাম নৃত্যশীল । -(৩) অদূরে বিশ্রাম-তলা—এই স্থানে চৈতন্য মহাপ্রভু আসিয়া বিশ্রাম করিয়াছিলেন। এখানে ঐবলরামের বিগ্রহ-মূৰ্ত্তি বিরাজমান আছেন। ( s ) পদ্মাবতী পুষ্করিণী—এখানে নিত্যানন্দ-জননী প্রসবের একবিংশ দিবস গত হইলে স্বান করিয়াছিলেন। ( e ) গর্ভবাস—শ্ৰীমন্দিরের প্রবেশ-দ্বারে অবস্থিত একটি অশ্বপ্ন বৃক্ষের শাখায় মহাপ্ৰভু শ্রীচৈতন্যদেব মালা রাখিয়াছিলেন। এই বৃক্ষটি "মালা তোলা” নামে খ্যাত, মূল বৃক্ষটির প্রকাণ্ডের একাংশ মাত্র দৃষ্টিগোচর হয়, বাকী কালক্রমে লয়প্রাপ্ত হইয়াছে। প্রাঙ্গণের পূর্বপার্থে ঐনিত্যানন্দ প্রভূর স্থতিকাগার। এই স্থানে একটি মন্দির অধুনা কোনো ভক্ত কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। অপর পার্থে ঐনিত্যানন্দ ও গৌরাঙ্গ দেবের বিগ্রহ-মূৰ্ত্তি। একজন বৈষ্ণব মোহান্ত কর্তৃক সেবাদি পরিচালিত হইয়া থাকে। নির্দিষ্ট আয়ের সম্পত্তি আছে। (৬) সিদ্ধবকুলতলা—এই প্রাচীন বকুলবৃক্ষ একটি প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩১ [ २8* छांग, २ब्रे ५७ সমগ্র বৃহৎ প্রাদণ জুড়িয়া শাখা-প্রশাখায় ভূমি পৰ্য্যন্ত স্পর্শ করিয়া দণ্ডায়মান রহিয়াছে। এই বকুলতলে উপবেশন করিলে মনঃপ্রাণ শীতল হয় এবং অন্তরে স্বভাবতঃ এক অপূর্ব অমিয়-ভাবের উদয় হইয়া থাকে। এই বকুলতলায়নিত্যানন্দ প্রভু বাল্যলীলা করিয়াছিলেন । ভক্তগণ এই বৃক্ষগাত্রে তাহার অজুলি-স্পর্শের চিহ্ন দেখিতে পান। সপক্ষণাকার শাখা-প্রশাখা অনেকগুলি দেখিতে পাওয়া যায়। এই স্থানে ঐরাধাকান্ত দেবের বিগ্রন্থমূৰ্ত্তি বিরাজমান, সেবা-পরিচালনের বিষয়ের অভাব নাই। একজন নির্দিষ্ট মোহান্ত বর্তমান আছেন ; কিন্তু শ্ৰী-অঙ্গের অঙ্গরাগের প্রতি বহুদিন হইতে যেন তাহারা হতশ্রদ্ধ হইয়াছেন। -. (৭) হাটুগাড়—এক চতুঃসীমা-অন্তর্গত বারবিঘা ভূমির মধ্য-স্থলে এই গৰ্ত্তটি অবস্থিত। এই কুগু-গর্তে জল-বেষ্টিত একটি ক্ষুদ্র ইষ্টকময় মন্দির আছে। প্রবাদ যে, ভূমি নিড়াইবার ছলে শ্ৰীবঙ্কিমদেব এই স্থানে হাটুগাড়িয়াছিলেন এবং তদবধি এই গৰ্ত্ত হইয়াছে। বঙ্কিমদেব পরে হঠাৎ অদর্শন হইয়া দারুমুক্তি পরিগ্রহণাস্তর উজান বাহিয়া কদমথওঁীর ঘাটে প্রকটিত হন । এই গৰ্ত্ত বা কুগুটি “জাহ্নবী কুও”নামে খ্যাত। এখানে ভক্তগণ গঙ্গাস্বানের ফললাভ করিয়া থাকেন। নিত্যানন্দ প্ৰভু দাতন করিয়া যে নিম্বশাখা প্রোথিত করিয়াছিলেন, তাহা বৃক্ষরূপে পরিণত হইয়াছিল-কালবশে তাহা লয় পাইয়াছে ; তাহার মূল হইতে একটি অপর নিম্ববৃক্ষ জন্মিয়াছে বলিয়া স্থানীয় লোকে নির্দেশ করিয়া থাকে। (৮) পাগুবতলা—এই স্থানে যুধিষ্ঠিরাদি পঞ্চপাণ্ডব কতিপয় দিবস অজ্ঞাত বাস করিয়াছিলেন। এখানে দুইতিনটি অতি প্রাচীন নিম্ববৃক্ষ বর্তমান আছে। কালক্রমে এইসমস্ত স্থানের অনেক বন-জঙ্গল কৰ্ত্তন করিয়া ধেনে৷ জমি প্রস্তুত হইয়াছে। এইসকল স্থানে আসিয়া মানব মনে অপূৰ্ব্ব আনন্দ পায়। এইসমস্ত স্থান নানারূপ বৃক্ষলতা-গুল্মদ্বারা পরিশোভিত। প্রকৃতির এই লীলা-নিকেতন বাস্তবিকই এক অপরূপ জিনিষ।