পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\; \ [ २8* छांनं, २घ्र थ७ অংশই প্রকাশ পায় ; কিন্তু মধ্যে-মধ্যে আদালতে " cभोंककमl छ्७प्लांब नांनांविश्व खेौ५१ श्रख्Tांकां८ब्रञ्च 6यंथ জানা পড়ে। সচরাচর কিন্তু অত্যাচারিতার লোকচক্ষুর অন্তরালে অত্যাচার সহ করিতে-করিতেই মৃত্যুমুখে পতিত হন । ” ঘরের বাহিরে অত্যাচার রেলগাড়ীতে, মাঠে ঘাটে, , পথে, সৰ্ব্বত্র হয়। দুবৃত্ত পশুর অধম লোকেরা দল বাধিয়া গৃহস্থের বাড়ী হইতে, কখন-কখন পুরুষ আত্মীয়ের সম্মুখেই, নারীদিগকে ধরিয়া লইয়া গিয়া তাহাদের উপর পৈশাচিক অত্যাচার করে। কখন-- কখন প্রতিবেশীরা বাধা দেয়, কখন-কখন ভয়ে বাধা দেয় না। অত্যাচারিতার প্রাণপণ করিয়া বাধা দিয়াছেন, এরূপ ঘটনার কথা কখন-কখন শুনা যায় ; কিন্তু অনেক স্থলেই তাহারা ভয়ে বাধা দানে অসমর্থ হইয়া পড়েন। অত্যাচারীদের মধ্যে হিন্দু মুসলমান দুইই আছে ; কিন্তু মুসমানের সংখ্যাই খুব বেশী। মুসলমান অত্যচারীরা মুসলমান স্ত্রীলোকদের উপরও অত্যাচার কথন • কখন করিয়া থাকে, কিন্তু তাহীদের দ্বারা সাধারণতঃ হিন্দু স্ত্রীলোকদের উপর অত্যাচারই হইয়া থাকে। দুবৃত্ত হিন্দু দ্বারা মুসলমান নারীর নির্য্যাতনের কথা उन! युग्ननां । ভারতবর্ষের মধ্যে এইপ্রকার অত্যাচার বাংলাদেশে যত হয়, অন্ত কোথাও তত হয় না। তাহার একটা কারণ এই যে, বাংলাদেশে মুসলমানদের সংখ্যা সৰ্ব্বপেক্ষা অধিকু, এবং তাহীদের মধ্যে 'অশিক্ষিত লোকেরু ংখ্যাও খুব বেশী। হিন্দু সমাজের দোষের কথা আগে কিছু বলিয়াছি, পরে আরও বলিব । হিন্দুরা হিন্দুসমাজের এবং মুসলমানেরা মুসলমান . সমাজের দোষ দেখাইয়া তাহার সংশোধনের চেষ্টা করিলেই ভাল হয়। কিন্তু সমগ্র দেশের মঙ্গলের জন্য আমাদিগকে উভয় সমাজের কথাই লিখিতে হইতেছে। ইহাতে আমাদের কোন ভুল হইলে কতটাই বা শুধু কেতাবে আবদ্ধ থাকে, তাহ বলিতে পারি না। কেতবে যাহাই থাকু, কয়েকটি কারণে মুসলমান সমাজে নারীদের অবস্থা হীন হইয়া আছে, এবং সেই জন্ত নারী-সম্বন্ধে ধারণ ও পুরুষ ও নারীর পরস্পরসম্পর্ক-সম্বন্ধে ধারণা হীন হইয়া আছে। তাহার কয়েকটির. উল্লেখ করিতেছি । (১) শিক্ষার অভাব, (২) অবরোধ: প্রথা, (৩) একপুরুষের বহুপত্নী ও উপপত্নী গ্রহণ। এই তিনটি যে মুসলমান সম্প্রদায়ের অবনতির কারণ, তাহ বৰ্ত্তমানে প্রবলতম মুসলমানরাষ্ট্র তুরক্ষ কাৰ্য্য দ্বারা স্বীকার করিয়াছেন। তুরস্কে নারীদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার দ্রুত বিস্তার হইতেছে, এবং অবরোধ প্রথা ও বহুবিবাহ লুপ্ত হইয়াছে। মুসলমান সমাজে স্ত্রীলোকদের সহিত পুরুষদের সম্পর্ক-সম্বন্ধে হীন ধারণার আর-একটি কারণ উপপত্নীর আধিক্য। মুসলিম ব্যবস্থা-অমুসারে পত্নীর ও উপপত্নীর পুত্রের পিতার ধনে সমান অধিকারী। যাহারা উপপত্নীর পুত্র, তাহারা যে বৈধ পুত্র নহে তজ্জন্ত দায়ী ও দোবী তাহারা নহে ; সুতরাং তাহাদিগকে পিতৃধনে সমান অধিকারী করা ন্যায়সঙ্গতই হইয়াছে। অধিকন্তু উপপত্নীদের ও তাহাদের পুত্রদের অস্তিত্ব মানিয়া লইয়া তদন্থরূপ ব্যবস্থা করায় ভূমিষ্ঠ হইবার পূৰ্ব্বে বা অব্যবহিত পরে শিশুহত্যার একটা কারণ দূরীভূত হইয়াছে—যদিও তাহ অন্য ও উচ্চতর উপায়ে দূরীভূত হইতে পারে এবং কোথাওকোথাও হইতেছে। - কিন্তু সমাজে উপপত্নীদের স্থান হীন না হওয়ায় * মুসলমান-সম্প্রদায়ের যে নৈতিক অবনতি ঘটিয়াছে, তাহা অস্বীকার করা যায় না। এই অবনতির অন্যতম প্রমাণ, নারীর উপর অত্যাচার-ঘটিত কোন-কোন মোকদ্দমায় পাওয়া গিয়াছে। ঘটনার বৃত্তাস্তে দেখা গিয়াছে, যে অত্যাচারীরা কখন-কখন মুসলমান আত্মীয়বন্ধুপ্রতিবেশীর বাড়ীতে তাহাদের পরিবারের মেয়েদের মধ্যে অপহৃত ও ধর্ষিতা নারীকে রাথিয়াছে, এবং উক্ত তাহার সংশোধন ও তাহার জন্ত ক্ষমা চাহিতেছি। মুসলমান ধৰ্ম্ম কোন-কোন বিষয়ে অন্যান্য সম্প্রদায় অপেক্ষ নারীদিগকে অধিকতর অধিকার দিয়াছেন । কিন্তু তাহারা এই অধিকার কার্য্যতঃ কতটা পান, এবং

  • “Under Muslim law the sons of are entitled to their patrimony equally with sons born in wedlock, and they occupy no inferior position in society.” IIistory of Aurangzil, by Prof. Jadunath Sarkar, Wol. V, page 459.