পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*е ә প্রমাণ না করিতেন। যুদ্ধ শেষ হুইবার পর প্রধানতঃ এই কারণেই ইংরেজ নারীর রাষ্ট্ৰীয় অধিকার পাইয়াছেন। . ইংরেজরা যেমন যুদ্ধের সময় ও যুদ্ধের দরুন নারীদের কদর বুৰিয়াছিল, আমাদের দেশেও তেমনি, নারীদের যে শ্রদ্ধা ও আদর স্বভাবতঃই পাওয়া উচিত, তাহা আমরা তাহাদের প্রাপ্য বলিয়া বুঝিতে পারিব হয়ত তাহাদের বিশেষ কোন সামাজিক কাৰ্য্যকারিতা দ্বারা । কিন্তু সেই কাৰ্য্যকারিত তাহীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং উাহাদের সর্বাঙ্গীণ স্বশিক্ষার উপর নির্ভর করে। তাহাঙ্কের এইপ্রকার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা লাভ করিতে হইলে উহাদের অগ্রণী:দিগকে খুব চেষ্টা করিতে হইবে, এবং দেশের পুরুষ নেতাদিগকে সৰ্ব্বপ্রকারে তাহাদের সহায় হইতে হইবে। কি-কি উপায় অবলম্বন করিলে বঙ্গনারীগণ দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্য লাভ করিতে পারির্বেন এবং তাঁহাদের শিক্ষাও সৰ্ব্বাঙ্গীণ হইবে, তাহার সম্যক আলোচনা করা এখানে অপ্রাসঙ্গিক হইবে। এখানে ইহা বলাই যথেষ্ট হইবে, যে, বাল্যবিবাহ ও বাল্যমাতৃত্ব দূরীভূত না হইলে, বঙ্গনারী স্বস্ব দেহমন এবং সৰ্ব্বাঙ্গীণ সুশিক্ষা লাভ করিতে পারিবেন না। জাঙ্গনারী বলিতে আমাদিগকে হিন্দু মুসলমান খৃষ্টিয়ন বৌদ্ধ প্রভৃতি সকল সম্প্রদায়ের নারীদিগকেই বুঝিতে হইবে। নারীদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতি হইয়া তাহাদের সামাজিক কাৰ্য্যকারিতা বৃদ্ধির সঙ্গে-সঙ্গে তাহাদের লাঞ্ছনা ও নির্ধ্যাতন যে কমিবে, তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু ইহা তুময়-সাপেক্ষ। আপাততঃ অত্যাচার হইতে র্তাহাদিগকে রক্ষা করিতে হইলে বিশেষ চেষ্টা করিতে হুইবে এবং বিশেষ উপায় অবলম্বন করিতে হইবে । এইরূপ কোন-কোন উপায় ‘নারী-রক্ষা-সমিতি” অবলম্বন করিয়াছেন, এবং “মাতৃমঙ্গল ও শিশু-সহায়-সমিতি”ও কিছু করিয়াছেন। কিন্তু ইহাদের শাখা সৰ্ব্বত্র স্থাপিত হওয়া কৰ্ত্তব্য এবং অর্থ-সাহায্যও ইহাদের আরও অনেক পাওয়া উচিত। . আমাদের দেশে একদল লোক আছেন, যাহারা নারীদের শিক্ষার কথা উঠিলেই পাশ্চাত্য নানা দেশের স্থনীতির কথার উল্লেখ করিয়া স্ত্রী-শিক্ষাকেই তাহার মূল 4बांगै-*ीक्षन, २००५ { ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড কারণ বলিয়া প্রমাণ করিতে চান। এ বিষয়ে এখন তর্ক করিতে চাহি না । কিন্তু বাহারা পাশ্চাত্য দেশের নারী-সমাজের নিম্বা করিয়া পরোক্ষভাবে আমাদের দেশের সমাজের অবস্থা উৎকৃষ্টতর বলিয়া প্রমাণ করিতে চান, তাহাদিগকে আমরা বাংলাদেশে বিধবা সধবা, কুমারী নারীদিগকে দল বাধিয়া দুৰ্বত্তের ধরিয়া লইয়া গিয়া তাহাদের উপর যেরূপ অভ্যাচার করে, उांशद्र भडन ७कलैि भाख छूटेखि কোনও পাশ্চাত্য দেশের আধুনিক খবরের কাগজ হইতে উদ্ধৃত করিতে আহবান করিতেছি। আমরা এরূপ একটিও দৃষ্টাস্তের বিষয় অবগত নহি । এরূপ ৰহু দৃষ্টান্ত ত নাই-ষ্ট। এই কারণে আমাদের ধারণা, এই যে, অন্য যে-ষে বিষয়েই পাশ্চাত্য পুরুষ ও নারী-সমাজ আমাদের দেশের সমাজ-অপেক্ষা নিকুষ্ট হউক না কেন, নারী-নির্ধ্যাতন ও পাশব বল দ্বারা নারী-ধর্ষণ-বিষয়ে বঙ্গীয় হিন্দু ও মুসলমান সমাজ পাশ্চাত্য সমাজ অপেক্ষা নিকৃষ্ট । এই কথা স্পষ্ট করিয়া বলিতেছি বলিয়া বিস্তর লোকের ক্রোধ-ভাজন হইব জানি । ” র্তাহাদের নিকট বিনীতভাবে নিবেদন করিতেছি, যে, আমাদের ভ্রম হইয়া থাকিলে তাহা দেখাইয়া দিলে অমুগৃহীত হইব এবং তাহা স্বীকার করিব। নারীদের উপর অত্যাচারের সাক্ষাৎ কারণ যে দুবৃত্ত পুরুষদের কুপ্রবৃত্তি, তাহা সকলেই অবগত আছেন, কিন্তু পরোক্ষ কারণ নানাবিধ । আগে তাহার কোন-কোন কারণের আভাস দিয়াছি। আরও কিছু বলিবার আছে । যে-কোন প্রথা, রীতি, কুসংস্কার, প্রভৃতি নারীদের । সম্বন্ধে হীন ধারণা জন্মায়, তাহাই পরোক্ষভাবে মানুষকে তাহাদের প্রতি অন্যায় ব্যবহার করিতে প্রবৃত্ত করে কিন্ধ৷ অন্যায় ব্যবহারের প্রতিকার হইতে নিবৃত্ত রাখে। হিন্দুসমাজে ররপণ-প্রথা প্রচলিত থাকায় লোকে কন্য-সন্তানের জন্ম-গ্রহণকে পূৰ্ব্বজন্মের পাপের ফল বলিয়া মনে করে, কস্তাদিগকে গলগ্রহ মনে করে, পুত্ৰ কামনা করে কিন্তু কঙ্কা কামনা করে না । কন্যাদায় কথাটাই তাহার প্রমাণ । অবস্থাটা এইরূপ দাড়াইয়াছে, যেন কন্যাগুলা মরিলেই লোকে বঁাচে । এ অবস্থা নারীদের সম্বন্ধে হীন ধারণার