পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গে নারী-নিৰ্য্যাতন e উদ্ভব অবশ্বভাবী। যাহার হেয় বিবেচিত হয়, তাহাদের প্রতি অত্যাচার খুব গায়ে না-লাগিলে তাহাতে বিস্মিত इंदेंश्वङ्गि किछु नiं । মুসলমান-সমাজে বহুপত্নীগ্রহণের প্রথা থাকায় যে নারীদের অবস্থা হীন হইয়াছে ও তাহাঁদের সম্বন্ধে হীন ধারণ জন্মিয়াছে, তাহ পূৰ্ব্বে বলিয়াছি । হিন্দু সমাজে বহুবিবাহ আগে খুব প্রচলিত ছিল, বিশেষতঃ কুলীন ব্রাহ্মণদের মধ্যে। ইহাতে যে সামাজিক নানা দুৰ্নীতির এবং নারীদের হীন অবস্থার কারণ হইয়াছিল, তাহ স্নবিদিত । বিদ্যাসাগর মহাশয় বহু বিবাহের বিরুদ্ধে কলম চালাইয়াছিলেন ; তাহাতে কিছু স্বফল ফলিয়াছিল। রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়ও ইহার বিরুদ্ধে নানা-প্রকারে আন্দোলন করিয়াছিলেন । দীনবন্ধু মিত্রের বিদ্রুপ-বাণও এই কুপ্রথার প্রতি নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল । ইহা ব্যতীত ইংরেজী শিক্ষা দ্বারাও বহু বিবাহ অনেকটা নিবারিত হুইয়াছে । তথাপি ইহা এখনও নিমূল হয় নাই। নারী-শক্তি জাগ্রত হইলে ইহা নিমূল হইবে । মুসলমানদের শাস্ত্রে যাহাই থাক, মুসলমান নারীশক্তি জাগিলে তাহাদের সমাজ হইতেও ইহা দূর হইবে। তাহার দৃষ্টাস্ত তুরক। তুরষ্কের নারীশক্তির নিকট মোল্লা মৌলানাদিগকে পরাজয় স্বীকার করিতে হইয়াছে—বস্থবিবাহ ও অবরোধ-প্রথা তথায় লোপ পাইতে বসিয়াছে। মুসলমানদের মধ্যে উপপত্নীগ্রহণ-কুরীতির কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। হিন্দুদের মধ্যেও ইহা এক সময়ে খুব প্রচলিত ছিল, এবং অনেক স্থলে ইহা সম্বাস্ততার লক্ষণ বিবেচিত হইত। এই কুরীতি ও দুনীতি অনেকটা কমিয়াছে, কিন্তু নিমূল হয় নাই। নারীশক্তি সমাজের সকল স্তরে জাগিলে ইহা নিমুল হইবে। এই কুরীতি সম্বন্ধে হিন্দু সমাজ ও মুসলমান সমাজে কিছু প্রভেদ আছে। হিন্দু সমাজে নারীর পদস্খলন হইলে সে হয় “পতিভা" নারী, ভদ্র-সমাজে তাহার এবং সস্তান জীবিত থাকিলে তাহার, স্থান থাকে না, তাহাদের ভবিষ্যৎ আঁধার হয় ; কিন্তু তাহার পাতিত্যের সহচর ও কারণ দুশ্চরিত্র পুরুষের কোন অসুবিধা হয় না, তাহার পাতিত্য ঘটে না । ۹ نه س-- سb মুসলমান-সমাজে এই প্রকার পুরুষ ও নারীর মৰ্য্যাদা বা অমৰ্য্যাদার এতটা আকাশ-পাতাল পার্থক্য হয় না, এবং তাহাদের সন্তানদেরও প্রাণ সংশয় বা জন্মগত অস্ববিধ হিন্দু সমাজে যেরূপ হয়, সেরূপ হয় না। এ বিষয়ে বক্তব্য এই যে, পুরুষ ও নারীর মিলন কেবল বিবাহ-সম্বন্ধের ভিতর দিয়াই হওয়া উচিত, এবং অন্তবিধ মিলন ঘটিলে তাহার জন্য পুরুষ ও নারী উভয়েরই উপর সামাজিক শাসন সমানভাবে হওয়া উচিত ; কিন্তু তাহাদের সন্তানদের পিতৃমাতৃধন লাভে বাধা হওয়া উচিত নহে, তাহাদের স্বশিক্ষা-সৎসংসর্গ-অাদির বন্দোবস্তs সরকার পক্ষ হইতে হওয়া উচিত । 尊 হিন্দু সমাজে অল্পবয়স্ক ও নিঃসন্তান বিধবাদেরও বিবাহ সচরাচর না হওয়ায় তাহাদের লাঞ্ছনা, নিৰ্য্যাতন ও দুর্দশ নানা-প্রকারে হয়, এবং তাহীদের উপর অত্যাচারও হয়। এই কারণে সামাজিক দুনীতিও বৃদ্ধি পায় । উক্তপ্রকার বিধবাদের বিবাহ প্রচলিত হইলে অন্যান্য স্বফল যাহা হইবে, এবং অন্যান্ত কুফল যাহা নিবারিত হুইবে, তাহার উল্লেখ এখানে করিব না। কিন্তু একটি স্বফল এই হইবে, যে, নারীর উপর অত্যাচার অনেক কমিবে । সধবা ও কুমারীদের উপর অত্যাচার হয় না, এমন নহে, কিন্তু অধিকাংশ স্থলে বিধবাদেরই উপর অত্যাচার হয় । ভারতে বিধবাদের দুরবস্থা বহু শতাব্দী হইতে চলিয়া আসিতেছে । যখন বিধবা-বিবাহের প্রচলন ছিল, তখনও বেশী প্রচলন হয়ত ছিল না । সেইজন্য বৌদ্ধ-যুগেও বিধবাদের দুৰ্দ্দশার বর্ণনা দেখা যায়। একজন লেখক মডান রিভিউ-মাসিকে বৌদ্ধযুগে সামাজিক জীবনের বর্ণনাপ্রসঙ্গে একটি বৌদ্ধ জাতকের অম্বুবাদ হইতে বৈধব্যের নিম্নলিখিত বর্ণনাটি উদ্ধৃত করিয়াছেন – “Torrible is widowhood ; the incanest harries her about; she eats the leavings of all ; a man may do her any hurt; unkindly speeches never cease from brother or friend ; a widow may have ten brothers, and yet is a naked thing; oh terrible is widowhood.” তাৎপৰ্য্য—“বৈধব্য বড় ভয়ানক দ্বীনতম লোকেও বিধবাকে আক্রমণ ও উত্যক্ত করে : সে পরিবারের সকলের ভুক্তাবশেষ ভোজন করে ঃ মানুষ তাহার যে-কোন-রকম অনিষ্ট করিতে পারে ; ভাই বা