পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१०२ প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩১ { ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড वङ्कब्र निकहे इश्ठ ७शंद्र चैछि निब* कष कषन षोप्न मा ; विषबाब झलs छहेि थांकिण्ठ गांप्ब, यथछ cग नभ्रं (जर्षी९ जब्रक्छि) जीव ? जरहाँ ! cवषया अठि उब्रांनक " সামাজিক রীতি ও প্রথা-আদির পরিবর্তন সময়, সাপেক্ষ ; নারীদের দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিধান, এবং ঝুঁশিক্ষার দ্বার স্বফল-লাভও সময়-সাপেক্ষ ; তাহার জন্য নারীদের প্রতি অত্যাচার নিবারণ অপেক্ষা করিতে পারে না । যে-দেশে রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনের জন্ত যুবকের প্রাণ দিতে প্রস্তুত এবং অনেকে প্রাণ দিয়াছেনও, সেই দেশে নারী রক্ষার জন্য প্রাণপণ করিতে লোকের অভাব হওয়া উচিত নহে । অত্যাচার হইতে অসহায় ও দুৰ্ব্বলকে রক্ষা করা রাষ্ট্র-নীতি ও সেবানীতি উভয়েরই অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য । সেই উদ্বেগু সাধিত না হইলে, আমাদের রাষ্ট্রীয় উন্নতি হইবে না ; তথাকথিত রাষ্ট্রীয় উন্নতি যদি কিছু হয়, তাহার মূল্য বেশী হইবে না, এবং তাহা স্থায়ী হইবে না । রেলে “ইউরোপীয়ে”র বিনিপয়সার বিশিষ্টতা লোপ ভারতে রেলওয়ের প্রবর্তনের সময় হইতে এযাবৎ কোন-কোন শ্রেণীর গাড়ীর এক-একটি কাম্রা “ইউরোপীয়”দিগের জন্য স্বতন্ত্র রক্ষিত থাঙ্কিত। অন্য সব কাম্রায় ভয়ানক ভীড় হইলেও এই “ইউরোপীয়” কাম্রাগুলিতে দেশীলোক ঢুকিতে পারিত না ; “ইউরোপীয়ু" কাম্রা হয় খালি থাকিত, কিম্বা তাহাতে একটি পয়সাও বেশী ভাড়া না দিয়া দুই-একজন মাত্র ইয়োরোপীয় পরিচ্ছদ-পরিহিত লোক আরামে ভ্রমণ করিত। সম্প্রতি শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতীশচন্দ্র নিয়োগী ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় এইরূপ বৈষম্য-লোপের জন্ত রেলওয়ে আইনের সংশোধক একটি-বিল উপস্থিত করেন। তাহ অধিকাংশের মতে পাস হইয়াছে। এই বিলটি গবর্ণমেন্টের বাণিজ্য-মেম্বর ইংরেজ প্রভু “সিলি” অর্থাৎ আহাম্মাকপ্রস্থত বলিয়াছেন। তাহা ত বলিবেনই । বিজ্ঞ ও বিচক্ষণ কেবল র্তাহার জাতভাইরা। ইণ্ডিয়া আফিস লাইব্রেরী ও “প্রবাসী” লগুনে ভারতবর্ষের ব্যয়ে ইণ্ডিয়া আফিসে যে লাইব্রেরী আছে, তাহাতে নানা ভারতীয় ভাষার পুস্তক ও মাসিক পত্রাদি রক্ষিত হয়। ঐসকল বহি ও মাসিক পত্রিকার তালিকা খণ্ডে-খণ্ডে প্রকাশিত হয়। তাহার দ্বিতীয় ভলুমের ৪র্থ খণ্ড “মডান রিভিউ” কাগজে সমালোচনার জন্ত পাওয়া গিয়াছে। এইখণ্ডে বাংলা বহি ও মালিকাদির তালিকা আছে। মাসিক কাগজগুলির মধ্যে “প্রবাসীর” নাম নাই। তালিকা-প্রণেতার ইহাতে কোন দুরভিসন্ধি আছে, মনে করি না ; বরং সদভিপ্রায় থাকাই সম্ভব। অথবা, কোনপ্রকার অভিপ্রায়ই না থাকিতে পারে। এদেশে পুস্তক, মাসিক পত্র প্রভৃতি যাহাকিছু ছাপা হয়, সৰ্ব্বগুলিরই তিনখণ্ড সরকার-বাহাদুরকে জরিমান-স্বরূপ দিতে হয় । তাহার এক-এক খণ্ড লণ্ডনে ইণ্ডিয়া আফিস লাইব্রেরীতে থাকিবীর কথা। এই জরিমান আমরা বরাবর দিয়! থাকি । সম্ভবতঃ গধর্ণমেণ্ট “প্রবাসী” বিলাতে পাঠান না, কিম্ব পাঠাইলেও তাহা ইণ্ডিয়া আফিসে রাখা হয় না ; কিম্বা রাখা হইলেও ক্যাটালগভুক্ত করা হয় নাই। ক্যাটালগে “প্রবাসী’র নাম না থাকার জন্য দায়ী যিনিই হউন, তাহার বুদ্ধিমত্তা, দূরদর্শিতা ও মিতব্যয়িতার প্রশংসা না করিয়া থাকা যায় না। ইহা সকলেই জানেন, যে, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথের নাম থাকিবেই, এবং তা ছাড়া রবীন্দ্রনাথের গ্রন্থাবলী-সম্বন্ধেও বহি লিখিত হুইবেই। তাহাতে সম্ভবতঃ ইহাও লিখিত হইবে, যে, তাহার “জীবনস্মৃতি”, “গোরা”, “অচলায়তন”, “মুক্তধারা,“রক্তকরবী”, “পশ্চিমযাত্রীর ডায়েরী” প্রভৃতি প্রথমে “প্রবাসী’তে বাহির হইয়াছিল ; সুতরাং “প্রবাসীর নামটাও কোনপ্রকারে থাকিয়া যাইতেই পারে। অতএব ওটা ইণ্ডিযা আফিস লাইব্রেরীর ক্যাটালগে ছাপিয়া অনর্থক উহার কলেবর-বুদ্ধি ও মুদ্রণব্যয়-বৃদ্ধি করিবার প্রয়োজন কি ? এমনই ত ক্যাটালগটির পৃষ্ঠার সংখ্যা ৫২৩। রাজনৈতিক কারণে “প্রবাদী’র নাম কোনপ্রকারে বাদ পড়িয়াছে, ইহা মনে করিলেও রাজদ্রোহ হুইবে ।