৫ম সংখ্যা ইতালীতে রবীন্দ্রনাথের অভ্যর্থনা রবীন্দ্রনাথ দক্ষিণ আমেরিকায় সম্বৰ্দ্ধিত হইবেন ইতালীতেও সম্বন্ধিত হইবেন, ইহা ত বলিয়াই রাখিয়াছিলাম। তথাপি খবরের কাগজে তাহার সম্বৰ্দ্ধনার বৃত্তাস্ত পড়িয়া আহলাদিত হইলাম। ইতালীর লোকের তাহাকে অসামান্য সম্মান প্রদর্শন করিয়াই নিবৃত্ত হন নাই। তাহারা বিশ্বভারতী লাইব্রেরীতে ইতালীয় উৎকৃষ্ট গ্রন্থসমূহ উপহার দিবেন, এবং বিশ্বভারতীতে ইতালীয় ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষা দিবার জন্য দুই বৎসরের জন্ত একজন ইতালীয় অধ্যাপককে নিজ ব্যয়ে নিযুক্ত রাখিবেন। ইতালীয় অধ্যাপকের নিকট শিক্ষালাভ করিবার জন্য যথেষ্ট-সংখ্যক যোগ্য ছাত্র পাঠাইয়া ভারতীয় জনগণ ইতালীবাদীদের এই প্রীতি ও শ্রদ্ধার সম্মান রক্ষণ করিলে ও নিজের লাভবান হইলে আমরা সন্তুষ্ট হইব। নতুবা দুঃখের বিষয় হইবে। হিন্দু মহিলার উচ্চ উপাধি লাভ কাশীর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিদান সভায় সম্প্রতি তথাকার অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত ফণিভূষণ অধিকারী মহাশয়ের জ্যেষ্ঠ কন্যা শ্ৰীমতী আশা অধিকারী সংস্কৃতে এম্ এ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করিয়া এমএ উপাধিলাভ করিয়াছেন। ইনি অন্যান্য পরীক্ষাতেও বিশেষ পারদর্শিত প্রদর্শন করিয়াছিলেন । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ পরীক্ষায় পরলোকগত আনন্দকৃষ্ণ বস্ব মহাশয়ের পৌত্রী শ্ৰীমতী নিৰ্ম্মলাবালা বস্ব ইংরেজীতে প্রথম বিভাগের প্রথম স্থান অধিকার করিয়াছেন। আনন্দকৃষ্ণ বস্ব বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সমসাময়িক এবং স্বপণ্ডিত বলিয়া পরিচিত ছিলেন। তিনি সভাবাজারের মহারাজা রাধাকান্ত দেবের দৌহিত্র বংশোদ্ভব । বাংলার অর্ডিন্যান্স, g সম্প্রতি ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় মাম্রাঞ্জের অন্যতম সভ্য শ্ৰীযুক্ত ডোরাইস্বামী আয়েঙ্গার এই প্রস্তাব উপস্থিত করেন যে, “বাংলাদেশে বড়লাট যে অর্ডিন্যান্স জারী বিবিধ প্রসঙ্গ—বাংলার অডিন্যান্স, १०७ করিয়াছেন ( যাহার বলে অনেক লোক ধৃত হইয়া বিনা বিচারে বন্দী আছেন ), তাহা রদ করিবার জন্য অবিলম্বে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় এক আইন প্রণীত হউক।” এই প্রস্তাব অধিকাংশ সভ্যের মতে ধাৰ্য্য হইয়াছে। অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে প্রস্তাবক, শ্ৰীযুক্ত বিপিনচন্দ্র পাল, শ্ৰীযুক্ত পণ্ডিত মোতালাল নেহরু, প্রভৃতি সভ্যগণ বক্তৃতা করেন। প্রস্তাবক-মহাশয় বলেন, মহাত্মা গান্ধীর অহিংসাত্মক উপদেশ ও চারিত্রিক প্রভাবে বিপ্লববাদপ্রস্থত খুন-জখম বন্ধ হইয়াছিল। গবর্ণমেণ্ট তাহাকে, বন্দী করায় তাহার প্রভাব আর কার্ধ্যকর ছিল না ; এই হেতু আবার বিপ্লববাদ-প্রস্থত অপরাধের পুনরাবির্ভাব হইয়াছে। এই কারণ দেখাইয়া প্রস্তাবক বলেন, গবর্ণমেন্ট মহাত্মা গান্ধীর উপর বাংলা দেশের ভার অর্পণ করিয়া দেখুন, ফল কিরূপ হয়। তর্কবিতর্কের মধ্যে ভারতগবর্ণমেণ্টের স্বরাষ্ট্রসচিব স্তার আলেকজাণ্ডার মাডিম্যান বলেন, যে, গবর্ণর জেনার্যাল যেরূপ অভিন্যান্স বাংলা দেশে জারী করিয়াছেন, তদ্রুপ ব্যবস্থা দ্বারা আগে-আগে ফল পাওয়া গিয়াছে এবং এবারেও তাহার দ্বারা কাৰ্য্য সিদ্ধি হইবে, তিনি পুনৰ্ব্বার খুব জোর দিয়া বলেন, গবর্ণমেণ্ট অর্ডিন্যান্স জারী করিয়া অনেক লোককে গ্রেপ্তার করিয়া আটক করিয়া রাখায় ইতিমধ্যেই বিপ্লবপন্থীরা এমন একটা প্রকাণ্ড আঘাত ও ধাক্কা পাইয়াছে, যে, তাহাতে তাহারা ছত্রভঙ্গ হইয়া পড়িয়াছে, এবং তাহাদিগকে প্রায় পিষিয়া ফেলা হইয়াছে । এ-বিষয়ে পরে আমাদের বক্তব্য কিছু বলিব । যখন মাডিম্যান্ সাহেব বক্তৃতা করিতে-করিতে বলেন, “যাহার কিছু আক্কেল আছে এমন কোন লোক কি মনে করিতে পারেন, যে, অবিলম্বে বিপ্লবপন্থীদের এইসব যড়যন্ত্রের উচ্ছেদ-সাধনের বন্দোবস্ত না করিয়া, গবর্ণমেণ্টের তৎপূর্বে ব্যবস্থাপক সভায় এই বিষয়ের প্রকাশ্য আলোচনা করা উচিত ছিল”, তখন ঐযুক্ত রঙ্গস্বামী আয়েঙ্গার জিজ্ঞাসা করেন, “মহাশয়, ইংলণ্ডে এইপ্রকার অবস্থায় কিরকমে কাজ করা হয় ?” তাহার উত্তরে মাডিম্যান বলেন, “সেখানে এরূপ ঘটনা কচিৎ घृह;ि /*
পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।