পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QXe জীবনে যে ধর্শের প্রভাব সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক, বঙ্গের জাতীয় জীবনেও তাহার প্রভাব অধিক। বস্তুত উভয়ের ধৰ্ম্মবিকাশের ইতিহাস অনেকটা এক । অল্প * অনেক বিষয়ে বাংলাদেশ ও উৎকলে যত সাদৃশ্ব ও সংস্পর্শ আছে, অন্য কোন প্রদেশের সহিত উৎকলের তাহা নাই । তাহা হইলেও আমরা উৎকলের একটি-স্বতন্ত্র প্রদেশ হওয়াই বাঞ্ছনীয় মনে করি। শ্ৰীহট্ট জেলাকে বাংলাদেশের সামিল করিবার প্রস্তাবও আসাম ব্যবস্থাপক সভায় পাস হইয়াছে। শ্রীহট্টের ভাষা ংলা, এবং ইহা ত মোটামুটি পঞ্চাশ বৎসর ব্যতীত বরা বরই বাংলাদেশের অন্তর্গত ছিল । ইহাকে বঙ্গের অস্তুভূত করাই উচিত । আর-একটি জেলাকেও বাংলার সহিত যুক্ত করা উচিত ; কারণ উহা বরাবরই উহার সহিত যুক্ত ছিল । এই জেলা ভূতত্ত্ব, ভাষা, নৃতত্ত্ব, প্রভৃতি সব দিক দিয়া পশ্চিম বঙ্গের বাঁকুড়া জেলার মত ও তাহার অব্যবহিত সান্নিধ্যে অবস্থিত। ইহার অধিকাংশ লোক বাঙালী এবং আদিম নিবাসীদের অনেকেও নিজ-নিজ আদিম ভাষা ছাড়িয়া দিয়া ক্রমশঃ অধিকতর সংখ্যায় বাংলা বলিতেছে। বঙ্গের বাঙালীদের এবং মানভূমের বাঙালীদের মানভূমকে বাংলার সামিল করিবার জন্য প্রবল আন্দোলন করা উচিত । “ভারতবর্ষের প্রতারণা” মান্দ্রাজের শ্ৰীযুক্ত বেঙ্কটপতি রাজুর প্রস্তাব-অম্লসারে চারতীয় একটি মুদ্র-কমিটি-ৰিয়োগ ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভা কর্তৃক ধাৰ্য্য হইয়াছে। উহার অধিকাংশ সভ্য ভারতীয় ও বেসরকারী হইবেন, এবং সভাপতিও একজন ভারতীয় হইবেন । এই প্রস্তাব-সম্পর্কে যেসব বক্তৃত৷ হয়, তাহার মধ্যে বোম্বাইয়ের শ্ৰীযুক্ত যমুনাদাস মেহতা নিজের বক্তৃতায় গবর্ণমেণ্টকে প্রতারণার অপরাধে অপরাধী বলেন। তিনি বলেন, “কোন ব্যক্তি প্রতারণা করিলে জেলে যায়, কিন্তু যে রাজস্বসচিব ভারতবর্ষকে চল্লিশ কোটি টাকা ঠকাইয়াছেন, তিনি এখন একটি প্রাদেশিক শাসনকৰ্ত্তার গদিতে আরূঢ় । মেহতা মহাশয়ের ইংরেজী কথাগুলির রিপোর্ট এই – প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড “---------in a ringing voice he declared, much the dismay of the Treasury Benches, that Government was committing a fraud on India wh under pressure from Whitehall they spent 40 cro by the sale of reverse councils. A person w committed fraud went to jail, but the finance Memb who committed the fraud to the extont of 40 crol was now on a provincial gad1!” ● ইংলণ্ডের উদারনীতিক দল পালে মেণ্টের গত সভা-নিৰ্বাচনে বিলাতের উদা নীতিক দল প্রায় লোপ পাইয়াছে বলিলেও চলে। কি উদারনীতিকের তাহাতে নিরুৎসাহ না হইয়া আগা নিৰ্ব্বাচনের সময় সৰ্ব্বত্র সভ্যপদপ্রার্থী খাড়া করিয়া লড়ি বার জন্য দেড় কোটি টাকা তুলিতেছেন । তাহার দ্বার ভোটারদিগকে রাজনৈতিক শিক্ষা দিয়া নিজের দ:ে র্তাহীরা টানিতে চান । ইহাই ত মানুষের মতন কাজ হার মানা কখনও উচিত নয়। রক্ষণশীলের চেষ্টা করিতেছেন, দেশের সর্বত্র যত স্বায়ত্তশাসক সমিতি আছে, তাহার প্রত্যেকটিতে যাহাতে প্রতি সাত জনে চারিজন করিয়া প্রমজীবি-শ্রেণীর লোব রক্ষণশীল দলের পক্ষ হইতে ঢুকিতে পারে। এইপ্রকাঃে রক্ষণশীল দল শ্রমজীবী দলকে পরাজিত প্লাধিতে চাহিতেছে । দেবোত্তর-সম্পত্তি-সম্বন্ধে আইন বঙ্গে যেমন তারকেশ্বরে, চন্দ্রনাথে, তেমনি ভারতবর্যের সর্বত্র বহু মন্দিরের প্রভূত সম্পত্তি ও আয় আছে। এই আয়ের সদ্ব্যয় হয় না বলিলেই চলে ; অধিকন্তু ইহার সাহায্যে অনেক স্ত্রীলোকের সর্বনাশ হয়, সামাজিক অপবিত্রতা বাড়ে, এবং নানাবিধ অত্যাচার হয়। মান্দ্রীজে এইরূপ সম্পত্তির সদ্ব্যবহারের জন্ত আইন হইয়াছে । তাহার দ্বারা যাহাদের স্বার্থে আঘাত লাগিয়াছে, তাহারা উহার বিরুদ্ধে আন্দোলন করিতেছে ও করাইতেছে। কিন্তু উহার সামান্ত দোষ-ত্রুটি ছাড়িয়া দিলে, ওরূপ আইন প্রণয়ন ঠিকৃই হইয়াছে।