পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা বিশুদ্ধ বায়ু আমাদের দরকার, কিন্তু ভাবনা ভাবছে তা’র মিউনিসিপাল অফিস নয় ডাক্তার বাৰু। টেলিফো আফিস ভাবছে আমি কি করে ঘরে বসে’ দূরের খবর পেয়ে নির্ভাবনা হই—ছুটে গিয়ে কারো খবর নিয়ে আসার ভাবনা নেই! টাকা পৌছে দিতে হবে বিদেশে চুরি না হয় বাটপাড়ি না হয় পথে এ ভাবনা নেই, কি করে টাকা সামূলাই—পোষ্ট আফিস আছে ! হঠাৎ মরে যাই ত coofofg.of oto, a strate cat, Royal Insuranco সে ভাবনা ভাবছে আমার জন্তে, দিল্লীশ্বরও হিংসা করে এমন নির্ভাবনায় জীবনধাত্রা চলেছে আমাদের ! আকবরসা থেকে সবাই ভেবে গেল,বিধাতা তিনি ভাবছেন স্বষ্টির ভাবনা, আমাদের মতো এত বড় এমন চমৎকার নির্ভাবনা নিয়ে জীবন যাপন কেউ করতে পার্বুলে না । আমাদের ঋষি, ঋষি-বালক—তাদেরও কি ভাবনার অস্ত ছিল—হোমের অা গুণ জলে কি না জলে তা’র ভাবনা, জললে। যদিবা তবে-রাক্ষস এসে যজ্ঞ নাশ না ক’রে তা’র ভাবনা, যজ্ঞের শেষে দেবতার কাছে আহুতি পৌছায় কি না তা’র ভাবনা এবং তা’র উপরে রাজ্যে অনাবৃষ্টি, অজন্ম না হয়, গোধন চুরি না যায়, এমনি ভাবনার সীমা ছিল না । এখনকার দিনে এসব উৎপাত, ভাবনা-চিন্তা নেই, থাকৃলেও তা’র ভাবনা ভাবতে লোক আছে, ছুটি হ’লে বাড়ী ফিরতে হবে চটু-ট—আগে আমাদের ভাবনা হ’ত গাড়ি পাই কি না, নৌকো পাই কি না এখন দরজায় ট্যাক্সী অপেক্ষা কবৃছে, উড়োকল সেও হয়তো উড়ে এল বলে তুলে’ নিতে আকাশ-পথে, বাড়ীর মধ্যে কার উঠোনে একেবারে পৌছে দিতে । চীন এককালে কি বিষম ভাবনাই ভেবেছিল নিজকে বঁাচাতে ! কত প্রাচীর এবং তা’র মতলবনিয়ে মাথা ঘামাতে হয়েছিল তা’কে ! এখন একখান চালাঘর বাধারও ভাবনা আমাদের করতে হয় না—নতুন চুনকাম করা ফার্ণিশডংসার পেতে রেখেছে আগে থাকৃতে ভেবে সহরের বাড়ীওয়ালার। বিষ্টি হ’লে বাড়ীর গিল্পিদের বাড়ীর কৰ্ত্তাদের জল আনা, মাছ কেনার ভাবনা নেই, ঘরের মধ্যে কল-জল, টিনের কোঁটোয় মাছ, মায় ইচ্ছা করলে মাছ চচ্চড়ি, তা পৰ্য্যন্ত আগে থেকে ভাববার লোক প্রস্তুত করে’রেখেছে— নির্ভাবনার দুর্ভাবন ዓ›ዓ আমাদের পাছে ভাবতে হয় সেজন্যে । এও কোং-র পয়সা করতে পাছে আমাদের ভাবতে হয় তার জন্তে বছরে বছরে অৰ্দ্ধমূল্য সিকিমূল্য নিলেম পৰ্য্যস্ত ডেকে জিনিষ ভালো অথচ সস্তা বস্তা বেধে ঘরে-ঘরে বিলিয়ে গৃহস্থদের পয়সা বিষয়ে, অনটন-বিষয়ে কি নির্ভাবনাই করে দিয়েছে । আমাদের নিজের মান বজায় কি করে’ হয় তাও ভাবার লোক মজুং, আমাদের ধৰ্ম্ম রক্ষা হয় কিসে তা’রও ভাবনা ভাবছে এমন লোক আছে । পুরাকীৰ্ত্তি রক্ষর জন্যে ভাবনা আমাদের ভাবতেও হয় না, মন্দিরে-মন্দিরে ঘাটিতে-ঘাটিতে ভূত-তত্ত্বের পাহারা বসে গেছে একখানি ইট না খসে, সে ভাবনা তাদের ভূততত্ত্ব আফিস ভাবছে, ফসলের ভাবনা, গুপ্ত ধনের ভাবনা । ঝড়ে পাছে চাল উড়ে যায়, তা’র ভাবনা ভাবছেন আমাদের প্রশান্ত মহলানবিশ, আলাদিনের প্রদীপ ফিরে” পেয়ে গেছি আর কি ? আর শুধু একটু খুৎ রয়ে গেছে, সেটা হচ্ছে চাকুরির ভাবনা ; ওইটে হ’লেই সব ভাবনার পারে অলসপুরের দরজায় গিয়ে ধাক্ক মেরে বলি, open sesame আর অম্নি দরজা খুলে’ যায়। অলস-পুরের আলসে বেশে বকম পায়রা মাথার উপরে আমাদেরকেবলিপুষ্পবৃষ্টি,রত্ববৃষ্টি, খই, মুড়কি, বাতাসা কত কি বর্ষণ করতে থাকে তা’র ঠিক নেই। নবৎখানায় ভূতকালের রস্কনচেীকী ফুকুরে বলে’ চুকিল ভাবনা চুকিল নালিশ আলিস করিতে পাইয়া বালিশ, হইল ইরিশ । সভাপতি হ’য়ে যেটুকু আজ ভাবতে হ’ল সেটুকু ভাবনাও কাধ থেকে তুলে’ নেয় তখন ভাববার লোক এসে । আমি কেবল সভা জমকে বসে থাকি, নির্ভাবনায় বসেই থাকি, নয়তো শুয়েই থাকি আর দেখি ছেলেপুলে, নাতি-নাতনী হাউ টু প্লে, হাউ টু সিং, হাউ টু রিড, হাউ টু রাইড, এম্নি সব হাউটু’র মধ্যে হাটুগেড়ে হামাগুড়ি দিতে-দিতে মানুষ হচ্ছে, কোনো ভাবনা নেই—কোনো কিছুর জন্তে দুর্ভাবনা নেই—হবু যা, হতে পাৰ্বতে যা, তা হয়ে গেছে—পাখার বাতাস সে হয়ে গিয়ে শরীর জুড়িয়ে দিয়ে গেছে, গরম আসার