পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳչԵ՝ প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩১ [ २8* छांग, २घ्र थ७ ७ांदन! ७ांबदांब्र श्रारभाझे छल cन जांtश्रृंख्ां८१ ठेi७l २'cब्र আছে তেষ্ট পাবার আগেই, ছবি আঁকা হয়ে গেছে— ডিজাইন মাথায় আসার আগেই Designoscope o' একটা চমৎকার দূরবীন বাজারে হাজির হয়েছে যার বিজ্ঞাপন বলছে—তোমার আর ভেবে কিছু নক্সা করতে হবে না, এইটার মধ্যে দেখ আর বসে-বসে নকল ওঠাও, না পারো ক্যামেরাকে হুকুম করে সে এসে একাজ করে’ দেবে, আধ সেকেণ্ডও লাগবে না। গান গাইতে হবে ওস্তাদের খোজে যাবার দরকার হচ্ছে, গ্রামোফোন বলবে কিনে’ বলে’ যাও শিখতে,— কিনতেও যেতে হবে না, v.P:তে এসে যাবে এবং তুমিও এমন ওস্তাদ বনে যাবে দেশী-বিলাতী দুই সঙ্গীতে যে বুকের কপাট দুখান সোনারপোর মেডেলে নিরেট হ’য়ে যাবে একদম । ভাষা শিখতে চাও, তাও W. P-তে এসে যাচ্ছে lessono, o lesson, D. I.it...Włoto CoCo, I Wofoil সিমূলের ধুতি, ঢাকাই সাড়া কি করে বোনা যায়, কেমন করে’ই বা পরা যায়, তা’র জন্য আগে ভাবনা ছিল, এখন টোলের ব্যবস্থা পাওয়া গেছে—ও দুটোই ষে বোনে এবং ষে পরে তাদের ভদ্রলোকের স্বর্গ থেকে পতন অবশুম্ভাবী স্বতরাং সেদিক দিয়ে নিশ্চিন্ত হ’য়ে গেছি। প্রজাপতি সভা হ’য়ে গেছে, ঘটকালির ভাবনা নেই, বিয়ের রাতে কতখানি কবিত্বরস বরকনে, আত্মীয়কুটুম্ব, বন্ধুবান্ধবের জাগতে পারে, তা’র সঠিক পরিমাপ ಆr-Tಡ ಇಡ್' প্রজাপতি আফিস নানা-ওজনের বিয়ের কবিতা ছাপিয়ে রেখেছে, রঙীন কাগজে যত খুলি চাই পাই। সৎকার-সমিতি—তারাও সব ঠিক করে’ রেখেছে ! ছেলের নাম-করণ, ছবির নাম-করণ, এব ভাবনা এখন আর ভাবিনে, লোক আছে নামের ফর্দ ডিকৃশনারী ইত্যাদি নিয়ে ফরমাস খাটুতে । আমি যে আছি এও ভাবিনে এখন, লোক আছে যে কানে বলছে—তুমি আছ তুমি আছ, আমি যখন নেই তখনও স্থতিসভা করে’ বলছে—সে আছে, সে अॉ८छ् ! ইচ্ছে করলে তবে আগে স্বষ্টির জিনিষ হ’তে পারতেl, এখন সে নিয়ম উলটে গেল,ইচ্ছা করার ভাবনা ও পরিশ্রম চুকে গিয়ে এখন আগেভাগেই যে হুকুম বলে’ সৰ এনে হাজির আরব্য-উপস্কাসের দৈত্যটা—কখন নেতা লেজে, কখন চিত্রকার সেজে, কাব্যকার সেজে, গিট্‌কিরি দিয়ে গীতকার সেজে টিটকিরি দিয়ে শ্রোতাসেজে এবং চিৎকার করে’ বক্তৃতা দিয়ে সভাপতি সেজে । এই নির্তাবনার অভাবনীয় স্বর্গ দেবদুল্পর্ত জিনিব, তারি জন্তে গত তিন মাস আমি হিমালয়ে বসে’ তপস্তা করে ফিরে’ এসে দেখছি, এখনো তপশু-সিদ্ধির ব্যাঘাত আমার অনেক । ছেলের দল তাদের মাঝে বসে’ সভাপতিত্ব করা ভাবনার বিষয় হ’তে পারে না, কিন্তু আমি ভাবি—এখনো কি বলবো কি লিখবো,হয়তো কিছু ৰেফাস কথা বলবো, যাতে করে’ পরে ভুগতে হবে, সত্যি বলছি বড় খারাপ দিনকাল, এখন লেখা, বক্তৃত। এসব ভাবনা ছাড়তে পারলেই মঙ্গল নিজের এবং পরেরও । ছেলেরা ছবির Exhibition করবে, দেয়ালে খাটিয়ে দিলেই হয় ছবি-কখানা, লোক এসে দেখে যায়, কিন্তু আমি এখনো ভাবি প্রত্যেক ছবির সামনে দাড়িয়ে এটা চলবে না, চলবে না, আমি এখনো ভাবি কোন ছবির পাশে কোন ছবিটা দিলে ঘরখানা মানায়। আমি সঙ্গীত সমাজে গিয়ে এখনো ভাবি, গানের উন্নতি করতে হ’লে, সোনার মেডেল না শোনার আকাঙ্ক্ষা, কোনটা বড়। আমি এখনো ভাবি ভূতপূৰ্ব্ব কালের রাগরাগিণী ভেঁজে চলা, না একালের স্বরে গেয়ে যাওয়া স্বাভাবিক আমাদের কাছে । আমি এখনো বাইরে যেতে হ’লে চাদরখানার কথা ভাবি, শুধু ধুতির উপরে একটা হাপকোট কি কলারওয়ালা কামিজ পরে’ বা’র হাতে আমার ভাবনা হয়,ঠাও লাগবে। আলখাল্লা ছেলে-বেলা থেকে পরে আসছি, কিন্তু তবু এখনো ভাবনা হয়, বুঝি বা যারা ধুতি পরে তা’র উপরে কোট পরে, তা’র উপরে কলার পরে, অথবা ষার খদ্দর পরে’ তার নীচে বিলিতি ঘড়ি টেকে পরে বিলিতি জুতোর বানিশ দিশি জুতোর উপরে লাগিয়ে পরে, তারা আমার বেশকে ছদ্মবেশ বলে ঠাওরায় বুঝি বা !