পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

՞ԳՀ8 স্বদ্বীৰে জিজ্ঞেস করে দেখবেন; তিনি স্বীকার করিয়ে ছাড়বেন, যে ই্যা সত্যই তাদের এত কাজ ! বীরেজনাথ ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখতে শুধু স্থবিধাই দিয়েছিলেন তা নয়, তাদের একরকম বাধ্য করেছিলেন ; এৰুি দিয়ে তিনি ভারি কড়া ছিলেন। তার বড় দুই মেয়ে তৃপ্তি ও প্রতি বেথুনে আই-এ পড়ত ; ছোটো-দুটি কল্পনা ও সাত্বনা পড়ত ভিক্টোরিয়াতে, কল্পনা বুঝি তৃতীয় শ্রেণীতে ছিল, আর সাম্বন পড়ত সপ্তম কি অষ্টম শ্রেণীতে। সে ছিল পাশের বাড়ীর রাধারাণীর সমবয়সী। ছেলে-ছুটির নাম শোভন ও মোহন, তা’র সাম্বনার চেয়ে ছ-এক বছর করে” ছোটো । মাষ্টারের কাছে বাড়ীতেই তা’রা পড়ত ! • সাম্বন মেয়েটি ছিল ভারি জেদী ও একগুঁয়ে ; এই ধরুন না কেন, তা’র মা আর দিদিরা তা’কে কতদিন বারণ করেচেন—ঐ খোলার বাড়ীর ছোটোলোকদের সঙ্গে কথা বলিসনে, কিন্তু সে-কথা তার কানেও ঢুক্ত না। সকাল নেই, বিকেল নেই, যখন খুলি সে দালানের জানালায় দাড়িয়ে খোলার ঘরের গরীব গৃহস্থটির ঘরকরার কাজ দেখবে, কখন বা রাধারাণীকে ডেকে গল্প জুড়ে দেবে। রাধারাণী কিন্তু একটু ভয়ে-ভয়েই যেন কথা বলত। খানিক পরেই সে বলে উঠত, “না ভাই, তুমি যাও তোমার দিদির যদি রাগ করেন।” সাত্বনা তাতে ঠোঁটুটা উলটিয়ে বলত, “ও রাগ করলে আমার ভারি বয়েই গেল কিনা|” এই দরিদ্র পরিবারটিকে সাম্বন ধ্রুব কি চোখে দেখেছিল, তা জানিনে। দিনের পর দিন সে দেখে এসেচে এই পরিবারটি ঠিকৃ একইভাবে চলেচে ; এক দিন থেকে আর-একদিনের প্রভেদ কিছু ছিল না ; তবুও তা’র জানূলায় দাড়ানোর এক দিনের তরে কামাই ছিল না। সাত্বনাদের বাড়ীর মধ্যে সকলের চেয়ে ভোরে ঘুম থেকে উঠত সাত্বনা ; তা’র জন্যে তা’র দিদিরা তাকে ঠাট্টা করে বলতেন, "ওটা নিশ্চয়ই গেল-জন্মে মোরগ ছিল।” কিন্তু মোরগের মতন ভোরে উঠে’ও সে দেখত ষে তা’র উঠবার কত আগে রাধারাণীর মা বাসন-কোসন মেজে স্বান-আহ্নিক সেরে রান্নার জোগাড় কবৃচেন । প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩১ { ২৪শ ভাগ, ২য় খং যেদিন শুধু তার কোনো বেশী অস্থখ করত, সেদি সাত্বনা দেখত রাধারাণী কলতলায় বসে বেশ নিবি মনে বাসন মেজে চলেচে। একবার শীতকালে খু ভোরে সাত্বনা গরম জাম-মোজা পরে’ একটি আলোয়া মাথা পৰ্য্যন্ত মুড়ি দিয়ে ঢেকে জানলায় এসে দেখলে রাঁধ রাণী এই ঠাণ্ডাতে শুধু আঁচলের কাপড়টা গায়ে দিে বাসন মাজচে ; একটু আশ্চর্ঘ্য হয়ে রাধারাণীকে জিজ্ঞে कद्रप्न, “शा डाझे, uहे कन्रूटन ४७iब cउॉब्र cवन শুধু গায়ে জল ঘাটুতে তোমার কষ্ট হয় না ।” রাধারণ গিল্পীপনা করে বললে, “কষ্ট হ’লে চলবে কেন ভাই । বাবার ত নটার সময় ভাত চাই। তার পর শীতবে ভাই যত ভয় করে' চলবে, তত তোমাকে পেয়ে বসবে । প্রথমটা জলে হাত দিতে যা একটু কষ্ট, তার পর কৈ মনেই ত হয় না জলে রয়েচি ; ঠাণ্ড বাতাস এলে অবিশ্যি হি হি করতে হয়, তা ভাই উপায় ত নেই।” তার পর সে ব্যস্ত-ভাবে ধোয়া বাসনগুলি রান্নাঘরের দিকে নিয়ে গেল । এই রাধারাণী মেন্থেটিকে ভারি অস্তুত লাগত সাত্মনার, আর সেইজন্তেই বোধ হয় সে এত ভালোবাস্ত তাকে। রাধারাণীকে ঘরকন্নার কাজ কিছু-কিছু করতে হত, কিন্তু তবুও ইস্কুল থেকে সে বছরবছর কত প্রাইজ এনেচে। আর সাত্বনা কৈ কখন কোনো প্রাইজ এনেচে বলে’ ত তা’র মনে হয় না। এতে তা’র আত্ম-মধ্যাদায় ঘা লাগত, তাই সে ভাবত, তার দিদিরা যা বলে নিশ্চয় তা ঠিক, “রাধারাণীর ইস্কুল আবার একটা ইস্কুল! আমন ইস্কুলে আবার কেউ পড়ে, কি না ছিরি, চার আনা ত মাসে মাইনে!” ওখানে পড়লে সেও অমন কত প্রাইজ পেত। কিন্তু তখুনি তার মনে হ’ত রাধারাণী কেমন ভালো সেলাই জানে, পুরোনো কাপড়ের পা'ড় থেকে স্বতো নিয়ে কেমন স্বন্দর-স্বন্দর ফুল তুলতে পারে ; কানাইলালের জামা-টাম ত ওই করে। তখন লাঞ্ছনা এই বলে’ নিজের মনকে প্রবোধ দিতে থাকৃত, আমাকে ত আর দজী হতে হবে না! রাধারাণীর কথা আলাদা, বেচারীর } বড় গরীব যে, না শিখলে চলবে কেন ? কিন্তু এসবে