পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀԵ বৃদ্ধ-দুটি আশ্চৰ্য্য হ’য়ে গেলেন, এইটুকুন মেয়ের এত দরদ, আর এত বিবেচনা দেখে’ । o নতুন কাপড়খানা পরিয়ে ফোট দিয়ে সাম্বন যখন কানাইকে তা’র পাশে বসিয়ে খাওয়াচ্ছল, কানাইয়ের মা তখন কিছুতেই কারা চাপতে পারছিলেন না। একান্না শুধু দুঃখের নয়, শুধু মুখের নয়, দুঃখ ও স্বখের যুগপৎ এ কান্না তার হৃদয় মথিত করে উঠছিল। (কানাইয়ের খাওয়া শেষ হ’লে, তিনি বললেন, “হ্যারে কানাই, ভোর সাত্বনা দিদিকে তুই কি দিয়ে প্রণাম কবি ?” তার ঘরে এমন-কিছু ছিল না, যা ধনীর দুহিতা সত্বেনাকে দেওয়া যায়, কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না; কারণ কোন ধনীর গৃহেই বা কি আছে, যা দিয়ে এই ছোট্ট মেয়েটর মমতা ও সমবেদনার সমুচিত প্রতিদান দেওয়া যায় ? তিনি চাইছিলেন শুধু জানতে, তার ছেলের মনে আজ কি তরঙ্গ ছুটেচে। মায়ের কথা শুনে কানাইলালের যেন হুস হ’ল, যে এই নতুন-পাওয়া দিদিকে তা’রও ত কিছু দেওয়া চাই। সে তখুনি ঘরে থেকে খুব যত্নেরক্ষিত কাগঙ্গে মোড় একটি পুরানো ইংরেজী ছবির বই এনে সাস্বনার পায়ের কাছে রেখে তা'কে প্রণাম করলে। সাস্বনা তাড়াতাড়ি তা’কে উঠিয়ে নিলে ; তার পর ছবির বইটা তুলে নিয়ে কানাইকে বললে, “আমি তোমায় আবার দিচ্চে, তুমি এটা ফিরিয়ে নাও কানাই ।” কানাইলাল যেন এতে একটু ব্যথিত হ’ল, সে ক্ষুন্ন হ’য়ে বললে, “নেবে না ?” সাস্বনার আর আপত্তি কবৃব’ব উপায় রইল না । বইখানা নিয়ে কানাইয়ের মা ও ঠাকুমাদের প্ৰণাম করে যখন বেরিয়ে এল, তা’র যেন মনে হ’ল, সে যা দিয়ে এসেচে তা'র চেয়ে নিয়ে এসেচে ঢের বেশী । এই ছবির বইখানাকে সে অনেকবার তাদের দালানের জানাল দিয়ে দেখেচে, এটা কানাইয়ের বাবা আসি থেকে এনে তা’কে দিয়েছিলেন—বোধ হয় থ্যাকার স্পিস্কের গুদাম-ঝাটাই মাল থেকে কুড়িয়ে এনেছিলেন । এই বইখানি কানাইয়ের এত প্রিয় ছিল, ষে প্ৰাণ ধরে’ এমন-কি রাধারাণীৰ হাতেও সে দিতে পারত না । সাত্বনা কতবার দেখেচে, যে রাধারাণীকে পাশে বধিয়ে কানাই ছবির বইটিকে নিজের কোলে রেখে কত আস্তে সত্তপণে প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩১ [ २8*.डॉ१, २ग्न थ७ ছবি দেখাচ্চে ; এই দাগ-ধর। পুরানে। বইটার প্রতি এ মায়া দেখে সাৱনা আগে কত হেসেচে, কারণ তাদে বাড়ীতে ওর চেয়ে কত ভালো নতুন-নতুন ছবির বই পড়ে গড়াগড়ি যায়। কিন্তু আজ সেই পুরানো ছবির বইটা তার কাছে পরম সম্পদ বলে মনে হচ্ছিল। এখন তার কেবল এই চিন্তা হচ্ছিল, কি করে’ এই বইটিকে তা’র মা ও দিদিদের শ্লেষ-বিদ্রুপ থেকে বঁচিয়ে রাখে। বইখানাকে সে কাপড়ে ঢাকা দিয়ে বাড়ী ঢুকূল। তা’র বাবার সামনে দিয়েই সে ভেতরে চলে গেল ; কিন্তু তিনি তা’কে আর ডাক্লেন না। আজ তার অন্তর পূর্ণ হ’য়ে উঠেছিল ; মেয়ের জন্তে র্তার গৰ্ব্ব ও আনন্দ দুই इष्छ्णि । সাম্বন এত লুকিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তা’র উদেশ্ব সিদ্ধ হয়নি। সে যখন কানাইকে ফোট দিচ্ছিল, তা’র বড়দি তৃপ্তি কি জানি কি ভেবে দালানের সেই জানলায় এসে একবার দাড়াতে যা দেখল তা'তে সে একেবারে অবাকৃ হ’য়ে গেল ; আশ্চর্ষ্য হ’ল এই ভেবে, যে তারই হাতে একইরকমে মানুষ ঐ সাম্বনটাকে এতদিন সে মোটেই চিনত না ; এত ছোট বুকে যে এভটা দরদ বাসা বেঁধে আছে তা’র কিছুই ত সে জানত না। তা’র সকলে মিলে এই মেয়েটাকেই আবার “ভদ্র” করবার জন্তে “স ভ্য” করবার জন্যে কতই না চেষ্টা করেচে ; নিষেধ অগ্রাহ করে’ এই জানলায় দাড়িয়ে রাধারাণীৰ সঙ্গে গল্প কবুত বলে’ তাকে কত তিরস্কার, কত ল স্থনা তা’র করেচে। আজ তাই সে-সব আত্ম-মানি নতুন হ’য়ে তৃপ্তির মনে ফিরে’ আসূচি। সে যেন হঠাৎ কোন-এক নতুন জগতের সামনে এসে পড়েচে । “সম-বেদন.”, এই সমাসে বাধা কথাটার অর্থ যেন সে আজ প্রথম বুঝলে । উচ্চ-নীচ, পণ্ডিত মূৰ্খ ধনী-দরিদ্র, এসব শত ব্যবধানের মধ্যে ও মহিষের সঙ্গে মামুষের হৃদয়ের যোগ কেমন সহজ সরল-ভাবে হ'ডে পারে তা কেভাবে দুচার-বার পড়ে’ তারিফ কমে’থাকৃলেও কখনো এমন করে প্রাণ দিয়ে অনুভব করবার সৌভাগ্য তা’র হয়নি। তৃপ্তি জানলায় দাড়িয়ে-দাড়িয়ে ফোট দেওয়া থেকে সাঙ্কণার ফিরে আসা পৰ্য্যন্ত সমস্তই দেখলে । ठा'द्र इंयश् क्वृछ्नि भाzक ८छ८क चाcन, क्ङि fउनि