পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] যদি ৰিমুখ হন এই ভেবে সে এক্লাব দাড়িয়ে দেখতে লাগল । - বইটা দিয়ে সাত্বনাকে প্ৰণাম কবুলে, তখন প্রথমে তৃপ্তির হাসি আসছিল, কিন্তু এর ভেতর কানাইলালের কতটা আনন্দ কতটা কৃতজ্ঞ ও যে লুকিয়েছিল তা তা’র বুঝতে বেশী দেরী হয়নি। আজ ঐ “ছোটোলোকদের” ছেলে কুানাইকে তা’র ছোটো মনে হ’ল না। সাধন যখন চুপে-চুপে ঘরে ঢুকে' ছবির বইটা তার কাপড়ের দেরাজের মধ্যে পূরে ফেলেচে তখন তৃপ্তি এসে তা’কে কোলে টেনে নিয়ে বললে, “তোর সব দেখেচি রে সান, তুই মনে করেচিস আমাদের চোখে ধূলো দিবি।” সাম্বনার মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেল, যেন কিএক অন্তায় কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেচে । তৃপ্তি তা’র মাথায় চুমু দিয়ে বললে, আমি ভারি খুশী হ.েচি সাম্বন, তুই কেন আমায় বললিনি কানাইকে আমাদের বাড়ী নিয়ে আসতুমু।" সাত্বনার যেন প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না, মনে হচ্ছিল বড়দি বুঝি বা বিদ্রুপ করছেন ; কিন্তু দিদির আদর-আপ্যায়নে তার ভুল ভেঙে গেল । তখন তৃপ্তিকে দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে’ সে আস্তে আস্তে জিজ্ঞেস করলে “মা জানেন বড়দি ?” তৃপ্তি বললে, “ন। কেউ জানে না। মা জানলে কিন্তু খুলী হবেন।” সাম্বন৷ বললে, “না দিদি, তুমি বোলো না বাবা কারুকে, তা J ". . कानाइंजाण वथन ময়লা ছবির ; ৭২৯ হ’লে আমাকে সকলে যা ক্ষাপাৰে ! বাৰা সৰ জানেন , তাকে বলেই ত কাপড়খান আনিয়েছিলুম সকালে ।” পাচ-ছ দিন যেতে না যেতে তা’র মা ও অন্ত সকলে কি করে সবই জানতে পেরেছিলেন। সাত্বনার প্রথমে রাগ আর অভিমান হচ্ছিল, “ভারি অন্তায় কিন্তু এ বাবার আর বড়দির।” কিন্তু তা’র বড় আশ্চর্ধ্য ঠেকৃছিল, ষে কেউ তা’কে তিরস্কার বা বিদ্রুপ কিছুই করলে না। বরং মনে হ’ল তা’র মাও যেন তার উপর একটু স্বল্পী হয়েছেন। সাত্বনার এতে ভারি লজ্জা করতে শঙ্গিল ; এমন কি ছ'তিন দিন সেই দুষ্ট চপল মেয়ে সাম্বনকে আর চেনবারই জো ছিল না, সে একেবারে বাঙালীদের আদর্শ মেয়ে শাস্তশিষ্ট গৌরীটি হয়ে উঠেছিল । இ. এসব গেল বছর-ষোলো আগেকার কথা । কানাইরা অনেক-দিন রেঙ্গুনে না কোথায় চলে’ গেচে । সাত্বনাও এগন খুকটি নেই, তা’রই এক ছোটে। ফুটুফুটে খুকী তা’কে মা বলে ডাকে । তা’র স্বামী কলকাতার এক বড় ডাক্তার। বিয়ের আগে থেকে আরম্ভ করে’ আজ পর্য্যন্তু কত দামী-দামী গয়না, কত স্বন্দর-স্বন্দর উপহার সে পেয়েচে ; fক ও তাদের ভিড়ে কানাইলালের দেওয়া সেই অতি তুচ্ছ ছবির বইটাকে সে হারিয়ে ফলেনি। অজাতশত্রর ব্রহ্মবাদ মহেশচন্দ্র ঘোষ অজাতশত্ৰু কাশীদেশের রাজা ছিলেন । কথিত আছে, একসময়ে বালাকি-নামক গর্গবংশীয় একজন ব্রাহ্মণ পণ্ডিত র্তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিয়াছিলেন, যে, আমি আপনার নিকট ব্ৰহ্মতত্ত্ব ব্যাখ্যা করিতে চাই, রাজাও ছিলেন একজন ব্রহ্মবিখ ; তিনি আতি আনন্দের - وتم اعتحسسوني وح সহিত তাহাকে ব্ৰহ্মতত্ত্ব ব্যাখ্যা করিবার অনুমতি প্রদান করিলেন । ইহঁifদগের মধ্যে ব্রহ্মতত্ত্ব-fবষয়ে খে-আলোচনা হইxাছিল, তাহা বৃহদারণ্যক উপনিষৎ ( ২১ ) এবং কৌষীতকি উপনিষদে ( ৪র্থ অধ্যায়ে ) বর্ণিত আছে । আমরা প্রধানত: বৃহদারণ্যক উপনিষং অবলম্বন করিয়াই