পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●8 ( ২ ) এজগৎ সত্য এবং আত্মা “সত্যের সত্য’ ( ৩ ) এজগতের বাস্তব সত্তা আছে কিন্তু স্ব-তন্ত্র প্রবাসী—ফাঙ্কন,১৩৩১ [ २8* डॉर्ण, २ञ्च थ७ সত্তা নাই। যাহা-কিছু আছে, সমুদ্রায়ই আত্মা হই:ে छे९°ब्र श्ब्र ७ब६ चांग्रां८ङ जौन झछ । বাংলা ভাষার দৈন্য শ্ৰী সত্যভূষণ সেন বঙ্গ ভাষা ও সাহিত্যের আলোচনা করিলে বহু প্রাচীন কাল হইতে বাংলা ভাষার প্রচলনের সাক্ষ্য পাওয়া যায়— কেহু-কেহ নজীর দেখাইয়াছেন, যে একসময়ে বুদ্ধদেব ংলা লিপি শিক্ষা করিতেছিলেন। বঙ্গভাষা-তত্ত্ববিদদের গ্রন্থে দেখিতে পাই, যে, প্রথমে সংস্কৃত এবং প্রাকৃত ভাষা হইতে উদ্ভূত হইয়া বাংলা ভাষা নানা-প্রকার অবস্থান্তরের মধ্য দিয়া বিবিধভাবে অভিব্যক্ত হইয়া আসিতেছে । প্রথমে সংস্কৃত সাহিত্যের অনুকরণে দেবদেবীর স্তুতি বন্দন, নানা-প্রকার কথা-কাহিনী, ডাক ও খনার বচন ইত্যাদি রচনা ; পরে বৈষ্ণব সাহিত্যের স্বর্ণযুগ। তা’র পরে আবার রামায়ণ-মহাভারত এবং অন্যান্ত সংস্কৃত কথাসাহিত্যের অনুবাদ । সাহিত্য কখনও লোক-সমাজ হইতে বিশ্লিষ্ট হইয় গড়িয়া উঠিতে পারে না। আমাদের দেশে এক-সময়ে হিন্দুধৰ্ম্ম নিস্তেজ হইয়া পড়িলে বৌদ্ধধৰ্ম্ম আসিয়া তাহার স্থান অধিকার করিল ; আবার বৌদ্ধধর্মের পতন অবস্থায় হিন্দুধর্শের পুনরভুখান হইল, তার পরে বৈষ্ণবধর্মের প্লাবনে একবার দেশ ছাইয়া গেল ; বাংলা সাহিত্যে এই ধৰ্ম্মবিপ্লবের ইতিহাস, ভিন্ন-ভিন্ন যুগের বিশিষ্ট ধারার শতচিহ্ন বর্তমান রহিয়াছে। এইরূপে গড়িয়া উঠিডে-উঠিতে বাংলা সাহিত্য এমনএক যুগে আসিয়া পড়িল যখন প্রাচ্য জাতির সহিত পাশ্চাত্যের সংঘাত বা মিলন আরম্ভ হইল। এই সংঘাতের ফলে জাতীয় জীবনে যে একটা নব জাগরণ আসিল, সাহিত্যেও তাহার ছাপ স্থম্পষ্টভাবেই ফুটির উঠিল । शृथन ब्रांछी ब्रांभ८भांश्न ब्रां★ नबTङॉब्रटङ <वंडांड নক্ষত্রের স্কায় উদিত হইয়া এক নবযুগের প্রবর্তন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন, তখন তাহার বাণী ঘোষণা করিতে গিয়াই বাংলার গদ্যসাহিত্য অসাধারণরূপে সম্প্রসারিত হইল । তাহার পরে অসাধারণ ধীশক্তিসম্পন্ন দুই কৃতী পুরুষ সাহিত্য-জগতে আবিভূত হইয়া ধাংলার সাহিত্যধারা নূতন পথে প্রবাহিত করিলেন । পূর্বের ধারা ছিল “কাহ বিনা গীত নাই।” গীত বা কবিতা হইলেই বৈষ্ণব সাহিত্যের সেই রাধ। আর কৃষ্ণ । আর কথা-কাহিনী বিবৃত করিতে হইলেই সেই রামায়ণ, মহাভারত বী পুরাণাদির উপাখ্যানের অনুবাদ বা চৰ্ব্বিত চৰ্ব্বণ। বঙ্কিমচন্দ্র যখন নব্যবাংলার কথা-সাহিত্য স্বষ্টি করিলেন, তখন সেই অভিনব স্বষ্টি দেখিয়া সকলে মুগ্ধ এবং বিস্মিত হইলেন। কাব্য-সাহিত্যে মধুসূদন রামায়ণ-মহাভারত হইতে আখ্যানভাগ গ্রহণ করিয়া থাকিলেও তিনি তাহার রচনাভঙ্গীতে যে ওজঃশক্তির পরিচয় দিলেন, তাহাতে সাহিত্য এক নূতন আস্থপ্রেরণা লাভ কfরল । তার পরে হেম-নবীনের কাব্য প্রতিভায়, কালীপ্রসন্ন ঘোষের গদ্যসাহিত্যরচনায় এবং গিরীশ ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল প্রভৃতির নাট্য-সাহিত্যে প্রভূত-পরিমাণে বাংলা সাহিত্যের শ্ৰীবৃদ্ধি সাধিত হইল। সৰ্ব্বোপরি রবীন্দ্র-প্রতিভার নব-নব উন্মেষে বাংলা সাহিত্য যেমনই অলঙ্কত হইল, তেমনই বিশ্বসাহিত্যেও ইহার আসন প্রতিষ্ঠিত হইল। বাংলা সাহিত্যসভার বিশ্লেষণ করিলে দেখা যায় যে, বাংলাভাষার শ্ৰীবুদ্ধিসাধনে কাহার প্রতিভা কিরূপভাবে কার্ধ্যকরী হুইয়াছে । এইসব বিবেচনা করিয়৷ দেখিলে বাংলা সাহিত্য লইয়া আমাদের গৌরব করিবার যথেষ্ট হেতু