পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

,خه Qob এইসকল মৌলিক গবেষণ-পূর্ণ গ্রন্থসমূহও বাংলা ভাষাতেই রচিত হইয়া বাংলা সাহিত্যকে বিদেশীয়দের নিকট অবশ্যপঠনীয় বলিয়া সম্মানের আসন প্রদান করিবে । ভারতবর্ষের কংগ্রেস আদি জাতীয় সমিতির ইতিহাস, অধিবেশনের কার্য্য-প্রণালী এবং রাজনৈতিক বক্তৃতাসমূহের বাংলা অম্বুবাদ প্রকাশ করিতে হইবে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশের এবং জেলার বিবরণ ( Gazetteer ) ইংরেজী ভাষাতেই রচিত হইয়াছে। বাংলা ভাষায় এইসকল তথ্য প্রচার অবশ্যকরণীয়। থ্যাকার্স ডিরেক্টরীতে ভারতবর্ষের যাবতীয় তথ্য বৎসর-বৎসর প্রচারিত হয় । ইহার অনুরূপ কোনো তথ্য-পুস্তক বাংলা ভাষায় সঙ্কলিত হওয়া আবশ্যক । সংস্কৃত ভাষার কাব্য-সাহিত্য, দর্শন, বেদ, উপনিষদ, পুরাণ ইত্যাদির বঙ্গান্থবাদ কতক-পরিমাণে হইয়াছে সত্য, কিন্তু এগুলি সৰ্ব্বাঙ্গ-সম্পূর্ণ হওয়া আবশু্যক। যে-পৰ্য্যস্ত না এমন কথা বলা যায় যে, সংস্কৃত ভাধায় এমন একখানা পুস্তকও নাই যাহার বঙ্গানুবাদ হয় নাই, সেপৰ্যন্ত একাৰ্য্য সমাপ্ত হইয়াছে বলা চলিবে না। তার পরে চীন, জাপান, তিব্বতের সাহিত্যে এবং মুসলমানদের কাব্য-সাহিত্যে, পুরাণে, ইতিহাসে এবং ভারতের বিভিন্নপ্রাদেশিক ভাষায় প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩১

[ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড অম্বুবাদের অতি বিস্তৃত ক্ষেত্ৰ পড়িয়া রহিয়াছে। অম্বুবাদসাহিত্য রচনার এরূপ গুরুভার বহন করা কোনো ব্যক্তিবিশেষ বা ক্ষুদ্র অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের কৰ্ম্ম নয় । বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎকেই এবিষয়ে একটা কাৰ্য্যতালিকা গঠন করিয়া এইরূপ অবশুপ্রয়োজনীয় কাধ্যে হস্তক্ষেপ করিতে হইবে । ● ইংরেজী সাহিত্যে যাহা হইয়াছে, তাহাই যে সৰ্ব্বাঙ্গস্বন্দর আদর্শ এমন কথা বলবার আবশ্ব কত নাই । আবগুকমত আমাদের নিজেদেরই নৃত্তন-নূতন পন্থা উদ্ভাবন করিয়া বাংলা সাহিত্যের প্রবৃদ্ধি-সাধনে ব্রতী হইতে হইবে । পরিশেষে দিনে-দিনে বাংলা সাহিত্যের নানাদিকে কিরূপ শ্ৰীবৃদ্ধি সাধিত হইতেছে, তাহ নির্দেশ করিবার জন্য বংগরে-বৎসরে সাহিত্য-পঞ্জিকা বাহির করিতে হইবে। অধ্যাপক যোগীন্দ্রনাথ সমাদার এই কার্ষ্যে পথ প্রদর্শন করিয়ছিলেন । ব্যক্তিবিশেষের দ্বার। এই কাৰ্য্য সিদ্ধ না হইলে সাহিত্যপরিষংকেই এই কার্ষের ভারও গ্রহণ করিতে হইবে। বর্তমানে প্রতিবৎসর বঙ্গীয় সাহিত্যসম্মিলনীতে যে-সকল প্রবন্ধ পঠিত হয়, তাহার একটা বিস্তারিত তালিকাও সৰ্ব্বসাধারণের গোচরীভূত ६ध नां । সাঁওতালী গণন শ্ৰী কালীপদ ঘোষ গানটা যেন মানুষের একটা স্বাভাবিক প্রেরণা হ’তে উৎপন্ন, কারণ দেখতে পাই যে এটা ছনিয়ার সব জাতির মধ্যেই আপনার আসন আদিযুগ থেকে পেতে বসে’আছে । গানের প্রাণ হচ্ছে তার স্বর, পৃথিবীর সকল মানুষের হৃদয়ের তার এই একম্বরে বাধা । এক জায়গায় এর একটা ঝঙ্কার উঠলে, সকল মানুষের হৃদয়ই ত’তে সাড়া দেয় । গানের কাছে ধরা দেয় ন৷ এমন প্রাণ বোধ হয় পৃথিবীতে অল্পই আছে ; পণ্ডিত, মূৰ্খ, সকলেই স্বরের কাছে মাথা নত করে, অবশু সে-স্বরের যদি প্রাণ থাকে। স্বরের প্রাণষ্ট গানের erfs-gsafs স্বরকে ঠিকভাবে জাগাতে না পারলে সেট। গান হ’ল না সেটা হ’ল একটা গোলমাল। স্বরের বিভিন্ন স্তরের শৃঙ্খলিত মিলনের মধ্যে একটা নেশা আছে, ষা মানুষকে অভিভূত করে ফেলে। তা’র त्रांक६१ी