পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা শক্তি এত বেশী যে বনের পশুপক্ষী পৰ্য্যন্ত স্তব্ধ হ’য়ে যায়। সাওতাল জাতটা একটা অম্বল্পত জঙ্গলী জাত,—এদের লেখবার কোনো ভাষা নেই, পড়াশুনার তোয়াক্কা এর মোটেই রাখে না অথচ গানের ছড়াছড়িটা এদের মধ্যে খুব বেশী। ফুলের মতন গানটাও এদের একটা অত্যন্ত প্রিয় জিনিষ। • সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির মাঝেও একটু অবসর পেলেই এরা একতার বাজিয়ে গান করতে থাকে। এদের মেয়েরাও খুব গানের ভক্ত। এটা তাদের মুখে চব্বিশ ঘণ্টাই লেগে আছে। গানের তাদের সময়-অসময় নেই। এমন গানে-পাওয়া জা’ত জগতে বোধ হয় আর একটি নেই। মাট কাটছে, গাইতী চালাচ্ছে, তা’র মাঝেও তা’র দু-তিনজনে মিলে আনমনে গান আরম্ভ করে দেয়, বোধ হয় খাটুনিকে লঘু করবার জন্তে । রাস্তায় চলে’ যাবে, বসে একটু জিরুবে, বা কাজ করবে তা’র মাঝেই তা’রা মিহিন্বরে গান গাইতে স্বরু করে। আমার মনে হয়, তাদের অনাড়ম্বর, সরল জীবনের অভিব্যক্তিই হচ্ছে তাদের এই গানে। পৃথিবীর সকল জাতের গানের স্বরই আলাদাআলাদা। প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বর্তমান । এক-জা'তের গানের স্থর অপর জা’তের গানের মধ্যে প্রায় খুঁজে পাওয়া যায় না। এই বিশিষ্টতা সাঁওতালী গানেও পূর্ণমাত্রায় বর্তমান আছে। সাওতালী স্বর পৃথিবীর আর কোনো গানের ভিতর বোধ হয় খুজে পাওয়া যায় না। এর মধ্যে সবটাই তাদের নিজেদের, পরের কাছ থেকে আমদানি করা কিছু নেই। গানের সঙ্গে বাজনা থাকলে গানটা যে আরও মধুর হয়, সেটাও এরা বেশ বুঝেছে ; তাই এদের বাজনার মধ্যেও সাওতালী বিশিষ্টত। বেশ দেখতে পাওয়া যায়। এদের যেসব বাজনা আছে, তা এদের নিজেদেরই। হাতে বাজাবার যন্ত্র, তারের যন্ত্র, আর হাওয়ার যন্ত্র—সবই এদের আছে, তবে খুব নীচু হরের । মাদল ত' এদের একচেটে বাজনা, তার পর একতারা, বাশের বাণী তাও এদের নিজেদেরই তৈরী। সাওতালী গান శిలిసి এদের গানের স্বর সব একঘেয়ে। কেবল নাচের গান ছাড়া আর দোসর স্বর এদের নেই। কোলেদের মধ্যে দেখতে পাই অনেক-রকমের স্বর আছে, কিন্তু এদের এক বাধা স্বর । এদের আর-একটা বিশেষত্ব এই যে, পুরুষ বা মেয়ে যেই গান করুক না কেন সবই চাপা গলায় মিহি স্বরে গাইবে, গলা ছেড়ে গান করার চলন এদের মধ্যে একদম নেই। কোন কবি যে এদের গান বাধে তা ঠিক জানিনে, তবে গান এদের অজস্র। আমাদের দ্বিজেন্দ্রলাল বা, রবীন্দ্রনাথের গানের মতন এদের কবিদের এক-একটা গীন প্রায় সকল সাওতালের কাছেই প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। তবে অধিকাংশ গানই এক-জায়গার সাওতালের রাজ্য ছাড়িয়ে অপর-জায়গার সাওতালের কাছে পৌছায়নি। মুখে-মুখে শিখেই এদের গান বরাবর চলে আসছে। আজকাল অন্ত-জা'তের সঙ্গে মেলামেশার দরুন অনেক-ধরণের উড়িয়া গান এদের মধ্যে এসে পড়েছে। আমাদের মধ্যে যেমন বিভিন্ন পৰ্য্যায়ের গান আছে, এদের মধ্যেও তেমনি বিভিন্ন পৰ্য্যায়ের গান আছে। সেই সব গানের নমুনা নিয়ে দিলাম। গানের সাওতালী পরিভাষা হচ্ছে সেরেই ৷ লাগড়ে সেরেই—অর্থাৎ সকল সময়ের গান বা সকলের কাছে গাইবারগান। এটা শুধু বাংলা ভাষাতেই झुम्न । গান । পাশে পাশে ঘর দিদি, কবে লো কৰে দিদি জাতি বুঢ়াল, বুটগড় মাঝে ঝড়াডিটেশন রাস্ত সহরে ,

  • টোর ছোড়া সঙ্গে গাড়ীর উপর বসিয়া গেল ।

বীর সেরেই—অর্থাৎ জঙ্গলের গান। এইটাই এদের যুবক-যুবতীর প্রেমের গান। এর অধিকাংশই অল্পীল,—আর এমন জল্লীল যে, শুনলে কানে আঙুল দিতে হয়। এগুলি সবই সাওতালী ভাষায় । গান ৷ হাতোমূ গড় দিব, হাতোমূ সালাম দিৰ হাতোমূদিকু কোড়, হাতোমূপিরীত মিনায়। গানের অর্থ :–পিসী তোমায় আমি প্রণাম কচ্চি, একটা বিদেশী যুবকের সঙ্গে আমার প্রণয় কুয়েছে।

  • ঢ়োর অর্থে কেওই ।