পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] জার-কোনো প্রশ্ন না করিয়া নিজের মন্তব্য ব্যক্ত করিল, “আমার মনে হচ্ছে মাধবী, এই কয়েক মাসে বিমান যে এই সম্পূর্ণ নূতন মূর্তিটি ধারণ করেছে, এর মধ্যে তোর কল-কৌশল চালানো আছে । বল সত্যি কি না ?” স্বরেশ্বরের দিকে পিছন করিয়া থাকিয়াও মাধবীর মুখ আরক্ত হইয়া উঠিল। কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সংযত করিয়া লইয়া সে একটু বেগের সহিত বলিল, “কলকৌশল চালাবার উপায় থাকূলে নিশ্চয়ই চালাতাম । তবে এখন থেকে চালাবো । বাপ রে ! তোমার হুকুমের জন্যে কারে সঙ্গে ভালো করে” কথা কওয়ারই উপায় ছিল না তা আবার কল-কৌশল চালানো ! এক-একসময়ে দম আটকে যাবার মতন হ’ত! কাল স্বমিত্রার সঙ্গে ত রীতিমত অভদ্র ব্যবহার করে এলাম !” দ্বিপ্রহরে স্বরেশ্বর মাধবীর নিকট সুমিত্রার জন্মদিনের বিস্তৃত বিবরণ শুনিয়াছিল। মৃদ্ধ হাসিয়া বলিল, “অভদ্র ব্যবহারের মধ্যে ত দেখলাম আসবার সময়ে • স্থমিত্রার কাছ থেকে একরাশ সুতো নিয়ে বাড়ী ফিরেছিলে!” স্বরেশ্বরের কথা শুনিয়া চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া মাধবী বলিল, “তুমি যে শাড়ী স্থমিত্রাকে দিয়েছিলে, তা’র হিসাবে স্বতো নিয়ে আসাতেও একেবারে মহাভারত অশুদ্ধ হ’য়ে গেল ? এ কিন্তু তোমার বড় বেশী বাড়াবাড়ি, দাদা !” স্বরেশ্বর সহাস্যমুখে বলিল। “একটুখানি স্বত্র অবলম্বন করে কত বড়-বড় ব্যাপার বেড়ে চলে, মাধবী, আর তুইত একরাশ স্বতে নিয়ে এলি ! তা আবার শাড়ীর বদলে ধুতির স্বতো! প্রতিশ্রুতি না থাকূলে এর বেশী আর কি কবৃতিসূ শুনি " | মাধবীর মুখে দুষ্টমির মিষ্ট হাস্য ফুটিয়া উঠিল, বলিল, “ত হ’লে কি আর ও-স্থতো দিয়ে তোমার ধুতি করতে দিতাম ? একেবারে গাঁটছড়া করাতাম।” "একেবারে গাঁটছড়া r একখানা, না এক-জোড়া রে " বলিয়া স্বরেশ্বর উচ্চস্বরে হাসিতে লাগিল। “ষাও, ষাও দাদা ! বেশী ফাজলমি কোরে না। ভাত হ’য়ে গেলে ভাকুব, তখন এসে " বলিয়া মাধবী তাহার রাজপথ ዓ8ፃ হাস্যোম্ভাসিত মুখ লুকাইযুর জন্ত তাড়াতাড়ি পিছন ফিরিয়া পাক-পাত্ৰে মনোনিবেশ করিল। সুরেশ্বরও হাসিতে-হাঁসিতে প্রস্থান করিল। উপরে বারাগুয়ে তারাস্বন্দরী বটুয়াছিলেন। আজ সকালে স্বরেশ্বর বাড়ী আসা পৰ্য্যস্ত তাহার মনটা এমনএকটা অপ্রত্যাশিত আনন্দের হিল্লোলে আলোড়িত হইয়া রহিয়াuছ যে দৈনন্দিন কোনো কাজ-কৰ্ম্মে তাহা যথারীতি নিবিষ্ট হইতেছিল না ; এমন-কি, সন্ধ্যার পর জপমালার সাহায্যেও যখন তাহ লৌকিক আনন্দকে অতিক্রম করিতে পারিল না, তখন অগত্যা মালা মস্তকে স্পর্শ করিয়া রাখিয়া দিয়া তারাসুন্দরী স্বরেশ্বরের আগমন প্রতীক্ষায় বারাণ্ডায় আসিয়া বসিলেন। মনে করিলেন, রাত্রি বেশী হইলে মনের নিশ্চিন্ত অবস্থায় জপে বসিবেন। 参 স্বরেশ্বর উপরে আসিলে তারান্বন্দরীজিজ্ঞাসা করিলেন “হঁ্যারে স্বরেশ, আত হাসছিলি কেন ? কি হয়েছে ?” স্বরেশ্বর স্মিতমুখে বলিল, “কিছু হয়নি, মা ; তোমার মেয়েটির আবোল-তাবোল কথা শুনে হাসছিলাম।” তাহার পর তারামুন্দরীর দেহের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া বলিল, “গাঘুে কিছু না দিয়ে বসে রয়েছ মা ? তোমার দুৰ্ব্বল শরীর, এমন করে’নুতন হিম লাগানো উচিত নয়।” বলিয়া ঘর হইতে একটা গাত্ৰ-বস্ত্র আনিয়া সযত্বে তারাशमब्रौ चरण छप्लाइंबा निद्रा ठाशत्र भाई बनिद्या পড়িল । তারামুন্দরী সম্বেহে স্বরেশ্বরের পৃষ্ঠে হাত বুলাইতেবুলাইতে স্মিতমুখে বলিলেন, “তুই আজ নূতন এলি বলে’ কি আমার শরীরও আবার নূতন করে দুৰ্ব্বল হ’ল, স্বরেশ ? আর আমার একটুও দুর্বলতা নেই।” স্বরেশ্বর বলিল, “না মা, অত্যন্ত দুৰ্ব্বল অবস্থা থেকে এখন অনেকটা সেরে উঠেছ বলে’ তোমার মনে হয় ম্বে আর দুৰ্ব্বলতা নেই। কিন্তু আমি আজ প্রথম তোমাকে দেখছি বলে’ বেশ বুঝতে পারছি, কত দুৰ্ব্বল তুমি এখনও আছ ।” দুই-চারিট অন্তান্ত কথার পর স্বরেশ্বল্প মাধবীর বিবাহের কথা তুলিল। বলিল, “আমার কিছু ঠিক নেই,