পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆR–, లిరి) [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড { জিনিসইত মনের মধ্যে চেপে ধরে থাকা যায় না, তাই ছেড়ে দিলাম। মাজুযে কি সহজে ছাড়ে ?” 變 কোথা হইতে একটা তীক্ষ অভিমান আসিয়া মাধবীর মনের মধ্যে কাটার মতন বিধিতে লাগিল। একটু কঠিনস্বরে সে বলিল, “কিন্তু আমি যতটা জানি, আপনি ত কতকটা সহজেই ছেড়ে দিলেন—অন্ততঃ শেষের দিকৃটা ।” হঠাৎ মাধবীর মুখের উপর বিহ্বল দৃষ্টি স্থাপিত করিয়া বিম্মিতভাবে বিমান বলিল, “তুমি কার কথা বলছ ? স্বমিত্রার ?” ততোধিক বিস্মিতভাবে মাধবী বলিল, “আপনি তবে কার কথা মনে করছিলেন " কিন্তু প্রশ্ন করিয়াই তাহার সম্ভাবিত উত্তর মনে করিয়া মাধবীর মুখ বিমানবিহারীর দৃষ্টির সম্মুখেই একেবারে লাল হইয়া উঠিল! এতই অন্তর্কিতে ব্যাপারটা ঘটিয়া গেল যে সে অন্যদিকে भूक्ष ফিরাইয়া লইবার সময় পৰ্য্যস্ত পাইল না। বিমানবিহার শাস্ত অথচ দৃঢ়স্বরে বলিল, “আমি কার কথা মনে করছিলাম, সে-কথা নাই বললাম, কিন্তু স্থমিত্রার কথা যে মনে করিনি, তা তোমাকে জানাচ্ছি। তার পর তোমাকে অকুরোধ করছি, যে আমাকে জড়িয়ে স্থমিত্রার বিষয়ে এধরণের আলোচনা তুমি আর কোরো না ; কারণ, যে ব্যাপার একবার শেষ হ’য়ে চুকে গেছে সে-বিষয়ে বারম্বার এ-রকম অনাবশ্বক আলোচনা করলে যে-ব্যাপারটা আরম্ভ হয়েছে, সেটা বাধা পায়। স্বরেশ্বরের সঙ্গে স্বমিত্রার বিয়ের ব্যাপারে তুমি যে আমার সহায় হবে না বলেছ, তাই যথেষ্ট—তা’র বেশী আর কিছু কোরো না, মাধবী !” - এই অঙ্গুযোগ এবং ভৎ সনার মধ্যে যতখানি অভিমান ছিল, সবটাই মাধবী অনুভব করিল, তাহার পর যতটা রক্ত তাহার মুখমণ্ডলে ক্ষণপূৰ্ব্বে সঞ্চিত হইয়াছিল, নিমেষের মধ্যে তাহা কোথায় অদৃপ্ত হইয় গেল। একটু চুপ করিয়া থাকিয়া পাংশুমুখে নতনেত্রে সে বলিল, “আপনি যখন এ-বিষয়ে আমার সাহায্য চেয়েছিলেন, তখন আমার ইচ্ছা থাকৃলেও সাহায্য করবার উপায় ছিল না। এখন কিন্তু এ-বিষয়ে আমি আপনার সবরকম আদেশ পালন করতে প্রস্তুত আছি। বিস্মিত হইয়া আগ্রহভরে বিমান জিজ্ঞাসা করির “তখন উপায় ছিল না, কেন ?” কেন ছিল না, তাহা মাধবী স্বরেশ্বরকে জানাইল । उनिञ्च विभांनदिशंद्रौ रछक छ्हेग्नां ऋ*कांल भाथरौौः দিকে চাহিয়া রহিল, তাহার পর প্রগাঢ়স্বরে বলিল “তোমার দাদার আর তোমার পরিচয় কিছুদিন থেবে পেয়েছি, কিন্তু তোমরা যে এত মহৎ তা জানতাম না তোমাদের কাছে আমি কত সামান্ত, কত ক্ষুদ্র ! তোমার বিষয়ে আমি মনে-মনে যে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করুজ্জাম, আর একদিন যা ইঙ্গিতে তোমার কাছে প্রকাশ করতে চেষ্ট করেছিলাম তা’র জন্তে আমি লজ্জিত মাধবী ! তুমি আমার সে-থুষ্টত ক্ষমা কোরো ? প্রতিবাদ করিবার যথেষ্ট কারণ থাকিলেও, মাধবীর মুখ দিয়া কোনো কথা বাহির হইল না। হেমন্ত-প্রভাতের অব্যাহত রশ্মিজালের মধ্যে তাহার ব্যথিত-বিহবল মূৰ্ত্তিটি সকরুণ চিত্রের মতন প্রতিভাত হইয়া রহিল, এবং দুইটি নেত্রপ্রান্তে উচ্ছলিত দুইবিন্দু অশ্র তাহার নিৰ্ম্মল অন্তঃকরণের অনিৰ্ব্বচনীয় বেদন ব্যক্ত করিল। বিমানবিহারী বিমুগ্ধ নিৰ্ণিমেষ-নেত্রে একমুহূৰ্ত্ত মাধবীর এই অপরূপ রূপমাধুরীর প্রতি চাহিয়া রহিল, তাহার পর যুদ্ধস্বরে ডাকিল, “মাধবী |" মাধবী ধীরে-ধীরে বিমানবিহারী প্রতি একবার চাহিয়া দেখিল । একটা কথা বলব, মাধবী ?” কিন্তু মাধবীরও উত্তর দেওয়া হইল না, বিমানবিহারীরও কথা বলা হইল না, অকস্মাৎ সুরেশ্বর কক্ষে প্রবেশ কাঞ্চল এবং উভয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া ভ্ৰকুঞ্চিত করিয়া কহিল, "দুজনে মিলে একটা কোনো ষড়যন্ত্র চলছিল বুঝি ? - স্বরেশ্বরের আকস্মিক প্রবেশে বিমানবিহারী এবং মাধবী উভয়েই এমন বিমূঢ় হইয়া গিয়াছিল যে কাহারে মুখ দিয়া কোনো কথা বাহির হইল না । স্বরেশ্বর সহাস্তে বলিল, “আমি না হ’য়ে যদি কোনো সি আই ডি অফিসর ঘরে ঢুকৃত, তা হ’লে কোনো কথা জিজ্ঞাসা না করে তোমাদের দুজনকে পত্রপাঠ একসঙ্গে চালান করে দিত। কি চক্রান্ত চলছিল বলে দেখি ?