পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] রাজপথ এবার বিমানবিহার কথা কহিল ; স্বিতমুখে বলিল, “চক্ৰত অনেক দিন থেকেই চলছে, এখন সেই চক্র কি করে থামানো যায় তারি চক্রান্ত চলছিল।” “কি ঠিক হ’ল ?” "ঠিক এখনও তেমন কিছু হয়নি। বেলা নটার সময়ে স্ত্রী এবং কন্যার সহিত প্রমদাচরণ বাবু তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন ; আশা করি তখন সব ঠিক হ’য়ে যাবে।” বলিয়া স্বরেশ্বরের মুখের দিকে চাহিয়া বিমানবিহারী হাদিতে লাগিল। கு স্বরেশ্বর মনে-মনে একটা কথা ভাবিয়া লইল, তাহার পর সহসা গম্ভীর মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া বলিল, “কিন্তু তুমি দেখো, কোনো মীমাংসাই এ-বিষয়ে হবে না যতক্ষণ না একটা-কথার মীমাংসা হচ্ছে।” উদ্বেগের সহিত বিমানবিহারী জিজ্ঞাসা করিল, “কোন কথার ?” “বলেছি ত, যতক্ষুণ না আমি নিঃসংশয়ে জান্‌ছি, যে স্বমিত্রার সঙ্গে তোমার বিবাহ না হ’লে তুমি দুঃখিত হবে ন, ততক্ষণ এ-বিষয়ে কোনো কথাই হবে না।” ব্যগ্রভাবে বিমান বলিল, “কি আশ্চৰ্য্য। আমি ত সেকথা তোমাকে কতবার বলেছি।” স্বরেশ্বর বলিল, “শুধু তুমি কেন, তোমার চক্রান্তের সহযোগিনীটিও আমাকে সে-কথা অনেকবার বলেছে । কিন্তু, শুধু মুখের কথা এ-বিষয়ের প্রমাণ হতে পারে না।” বিমানবিহারী উৎফুরনেত্রে একবার লঙ্গানতনেত্রে মাধবীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিল। তাহার পর একটু বিরক্তিভরে বলিল, “দেখ স্বরেশ্বর, নর্থক গোলযোগের স্বটি কোরো না ।” 爱 সুরেশ্বর মৃদু হাসিয়া বলিল, “গোলযোগের স্বষ্টি আমি করছিনে, তুমিই করছ।” নানা-প্রকার অনুরোধ-উপরোধ, যুক্তি ইত্যাদির দ্বারা বিমানবিহারী স্বরেশ্বরকে বুঝাইবার চেষ্টা করিল, কিন্তু কোনো ফল হইল না। স্বরেশ্বর তাহার প্রতিজ্ঞায় অবিচলিত রহিল । o उथन भूथ बझ कत्रिबा दियानविशत्रौ दनिन, कि, করলে তোমার মনে সে-বিশ্বাস হবে শুনি " ૧es . মৃদ্ধ হাসিয়া সুরেশ্বর বলিল, “কি কবুলে সে-বিশ্বাস হবে, তা, বিশ্বাস হবার আগে নিশ্চয় করে বলা कठेिन !” ক্ষণকাল স্বরেশ্বরের দিকে নিৰ্ব্বাকৃহইয়া চাহিয়া থাকিয়া বিরক্তি-ব্যঞ্জক-স্বরে বিমান বলিল, “তোমার এ-আচরণে আমি একটুও মুগ্ধ হচ্ছিনে, স্বরেশ্বর। এর দ্বারা তোমার একটুও মহত্ব প্রকাশ পাচ্ছে না।” মনে-মনে যথেষ্ট পুলকিত হইয়া স্বরেশ্বর বলিল, “তবে কি প্রকাশ পাচ্ছে ?” “বুদ্ধিহীনতা, ছেলেমান্থষি । স্বমিত্রার প্রতি তোমার, কৰ্ত্তব্য কি এতই সামান্য মনে করে, যে আর্মার মনে আঘাত লাগবে কি লাগবে না, তার উপর তোমার এতট। মনোযোগ দেওয়া চলতে পারে ?” কোনোপ্রকারে হাসি চাপিয়া রাখিয়া স্বরেশ্বর বলিল, ‘এ-যুক্তি নূতন নয়, একটু আগেও ত এই তর্ক তুমি ভুলেছিলে ।” তখন নিরুপায় হইয়া বিমানবিহারী মাধবীর দিকে চাহিয়া দেখিল। দেখিল, ভূমিনিবন্ধ দৃষ্টি হইয়া মাধবী মুছমৃদ্ধ হাস্ত করিতেছে । তাহার মুখের সে আনন্দ-অভিব্যক্তি দেখিয়া বিমানবিহারী মনে-মনে আশ্বাস লাভ করিল। ধীরেধীরে আসন ত্যাগ করিয়া উঠিয়া সে মাধবীর সন্নিকটে গিয়া দাড়াইল ; তাহার পর অবিচলিতভাবে বলিল, মাধবী একটু আগে তুমি আমাকে বলছিলে ষে এখন তুমি এ-বিষয়ে আমাকে সবরকমে সাহায্য করতে প্রস্তুত আছ । সুরেশ্বর নিজের মনে ষে-বিশ্বাস পেতে চায়, অনেক-রকমে চেষ্টা করেও আমি তা উৎপন্ন করতে পারলাম না । এ-দিকে প্রমদাবাবুদের আসবার সময় হ’য়ে এসেছে । তাদের সামনে এই ব্যাপার নিয়ে যদি একটা গোলযোগ উপস্থিত হয় তা হলে সমস্তাটা ভবিষ্যতের জন্তে হয়ত আরও জটিল হ’য়ে দাড়াৰে । এ-সঙ্কটে আমি দেখছি তোমার সহায়তা ভিন্ন আর অন্ত উপায় নেই । সেইজন্তে তোমার সাহায্য পাবার আশায় আমি একান্ত ভাবে তোমার কর প্রার্থনা করছি। বলিয়া সে তাহার দক্ষিণ হস্ত মাধবীর দিকে অসঙ্কোচে প্রসারিত করিয়া দিল । বিমানবিহারীর কথা শুনিতে-শুনিতে মাধবীর মুখ