পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৫২ . প্রবাসী—চৈত্র, రీతి) [ २8ं एठांशं, २ग्न क्षं রক্তবর্ণ ধারণ করিয়াছিল এবং দেহ মৃদু-মৃদ্ধ কঁাপিতেছিল। কিন্তু বিমানবিহারীর হস্ত যখন ঐকাস্তিক প্রার্থনা লইয়া তাহার দক্ষিণ করতলের অতি নিকটে উপস্থিত হুইল তখন ভাবাবেশে মাধবীর সকল অনুভূতি প্রায় লুপ্ত হইয়া গেল। একবার অপাঙ্গে সে বিমানবিহারীর মুখে দৃষ্টিপাত করিল, তাহার পর হঠাৎ দেখা গেল কোন এক অনতিবর্তনীয় মুহূর্তে তাহার দক্ষিণ করতল বিমানবিহারীর করতলের মধ্যে আশ্রয় পাইয়াছে । নিকটে দাড়াইয়া স্বরেশ্বর পুলকিত-চিত্তে এই অপূৰ্ব্ব মিলনের ক্রমবিকাশ লক্ষ্য করিতেছিল । সে উভয়ের বাদল-প্রিয়া যুক্ত কর নিজ হন্তের মধ্যে চাপিয়া ধরিয়া প্রসন্নমুখে বলিল, “বেশ । বেশ । আমি ঠিক এইটেই ভালো করে জানতে চাচ্ছিলাম। আমি আশীৰ্ব্বাদ করছি ভাই, তোমাদের এ-মিলন সব দিক্ দিয়ে শুভ হোক ৷” - 嶺 鬱 臺 彎 বাহিরে রাজপথে স্বরেশ্বরদের গৃহ-সম্মুখে একটা মোটরকার দ্বারে আসিয়া দাড়াইল । স্বরেশ্বর চাহিয়া দেগিল তদুপরি পিতামাতার মধ্যবৰ্ত্তিনী স্থমিত্রার সকরুণ মূৰ্ত্তিখানি ঠিক তপস্তা-কুশ পাৰ্ব্বতীর মতন দেখাইতেছে। সমাপ্ত ঐ অচিন্ত্যকুমার সেন গুপ্ত বাদল-প্রিয়া, মেঘলা মেয়ে, , শাঙন-সাকী, জায়লো আয়, " কাজল-দেশের স্বপন-সখী আয়লো মৃদুল দোদুল পায় ! হাতছানি দেয় বাউয়ের শাখা চাতক মেলে তাতল পাখা, মাছরাঙারা কাতর-চোখে আকাশ পানে ঝিমিয়ে চায়, আয়লো বাদল, ঘুম-কিশোরী, আয়লো শীতল আদুল গায় ! তোর ডাগর কালো চোখের তারায় হাতুক চিকুর পুলক-ভরে, সেই নয়নের লাজুক কোণে কাপ্পা ঝরুক অঝোর-ঝরে ! মেঘের জটা উড়ুক পিঠে, মেঘ-বরণী মুখটি মিঠে, মেঘের মতন বুকটি কাপুক মলিন মাটির মিলন-তরে, তোর ভোম্র-কালো চটুল চোখে তড়িৎ নাচুক চমক-ভরে। জোয়ার-লাগা গাঙের মতন গাটি দুলাও ঠমকৃ-দোল, চপল পায়ে ঝবুঝরানির ঝর্ণ-ঘুঙুর ছন্দ তোল! হাওয়াতে স্থান হাতের তালি, খুীর মাতাল মাক্তন খালি, তোর মোহন মেহর মেঘ-মোলায়েম নিটোল বাহুর আগল খোল, আবছা চুমায় নে ভরে তোর মেঘলা কোমল গালের টােল! ফিঙে শুামা বুলবুলি গায়, কানাকানি লাগল ঘাসে, হাস্ক হানা জুই কদমের আগ ডালেতে খবর আসে ! পথের বঁাকে আমের শাখে, বউ-কথা কও ডাকৃতে থাকে, শাল-হিজলের পাতার বীণ! বাজল রে তোর স্ববাস-শ্বাসে, চাপা তাহার ঘোমটা খোলে তোর চুমনের পরশ-আশে । পায়জোরে তোর কঠিন ভুয়ের থিতিয়ে-পড়া পরাণ মাত, আলগোছা তোর আঙুল ছোয়ায় করলে উতল তেঁতুল-পাতা ! দাদুরীর দাদরা স্বরে তোর বরণের বাজনা জুড়ে, শু্যাম-তুলিকায় লেখ কবিতা ধরণী হোকৃ সবুজ খাত, আমূলকী-বন ঘুমায় চুপে, নাম লো, তাহার পরাণ মাতা । সরম-ভরা রূপের গরব ছড়িয়ে দিয়ে ডাইনে-বায়, আয় রূপসী, এই উপোসী ডাকৃচে, বাদল ; আয় লো আয় ! চষা ক্ষেতের গন্ধখানি, সঙ্গে করে আয় উজানী, . শিথিল করে” নীল আঙিয়া, দিল-দুলানো অলস-পায়, বাদল-প্রিয়া মেঘল। মেয়ে - শাওন-সাকী, আয়ুলো আয় !