পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃፃ: প্রবাসী-চৈত্র, ১৪৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড সে উপরে যাইয়া মুখ ভারী করিয়া শাস্তিকে কহিল, “দিদি, কানাই-ল খাবে না " বিক্ষিত হইয়া শান্তি বলিল, “খাবে না কেন ?” বলাই কহিল, “নীচের ঘরে কেবল দাদা-বাবুকে আর আমীকে ভাত দিয়েছে, কানাই-দা খাবে কখন ?" একটু চুপ করিয়া থাকিয়া শান্তি কহিল, “সে ত তোমাদের সঙ্গে বসতে পারবে না—তাই দেয়নি। আর কোথাও হয়ত দিচ্ছে—গিয়ে দেখ ।” বলাই নীচে নামিয়া আসিল । নৃপতি এতক্ষণ তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছিলেন । এইবার বলিলেন, “এস— বোসো ।” একটু কুষ্ঠিতভাবে বলাই জিজ্ঞাসা করিল, “কানাইদাকে দেওয়া হয়েছে ?” - “ই, তাকে এখুনি দেবে, এস, আমরা বসি ।” বলাই আহারাদি করিয়া বাহির-বাড়ীতে আসিয়া দেখিল, কানাই শুল্কমুখে সেইখানে সেইভাবে বসিয়া রহিয়াছে। সে জিজ্ঞাসা করিল, “খেয়েছ ?” কানাই কহিল, “না।” বলাই চোখ বড়-বড় করিয়া বলিল, “সে কি ! দাড়াও, আমি আসি।” কানাই উঠিয়া যাইয়া তাহার হাত ধরিয়া বসাইল । শান্তভাবে কহিল, “এই ত জল খেলাম। তুই আমন ছেলে-মামুষি করিসূনে, কুটুম্ব বাড়ী যে !" বলাই আর উচ্চবাচ্য করিল না। দুই ভ্রাতা সেইখানে চুপচাপ বসিয়া রহিল। বন্ধক্ষণ পরে কানাইলালের ডাক পড়িল । কানাই ভিতরে গিয়া দেখিল, টেকিঘরে তাহাবই জন্য কদলীপত্রে অল্পমগুপটি ভাগে-ভাগে তরকারীপত্রে মেশামিশি হইয়া চিত্র-বিচিত্র হইয়া রহিয়াছে। তাহাকে যাহা দেওয়ার, একেবারেই একপাত্রে ঢালিয়া দেওয়া হইয়াছিল । সুতরাং সে উপস্থিত হইলে তাহার खश्च श्राश्रक कब्रिवांद्र बांद्र ८कट्ठे डथंॉम्न ब्रश्लि नां । কানাইলাল সেই পাচ-মেশালি তরকারীর দ্বারা অল্পকয়টি কোনো রকমে উদরস্থ করিয়া আবার বাহিরের ঘরে আসিয়া বসিল, কোনো কথা বলিল না । বাড়ীতে মহেশ্বরী তখনও পৰ্য্যস্ত পাতের গোড়ায় বসিয়া তাহাকে মাখিয়া জুকিয়া না দিলে তাহার খাওয়াই হইত না। মহেশ্বরী অঞ্চলের বাহিরের স্থানটি যে এমন ফাক৮—এমন মমত হীন, এমন বেদনায় ভরা—ভাবিয়া তাহার চোখে কোণে দু ফোটা জল আসিয়া জমিল । শান্তির ননদ টেকিশালায় গিয়া দেখিলেন বালক তাহার উচ্ছিষ্ট রাখিয়া গিয়াছে। তিন চারিীি কাক লভ্যসামগ্ৰী লইয়া বিবাদ করিতে-করিতে এটো কাটা সমস্ত ঘরময় হইয়া পড়িয়াছে। টেকিশাল সকৃড়িতে একাকার হুইয়া গিয়াছে। নৃপতির দিদি নাসিক কুঞ্চিত করিয়া সেখান হইতে নৃপতিকে ডাকিয় বলিলেন,— “দাদা দেখে যাও, দেখে যাও, ছোড়াটা কি করে’ গেছে ।” ভগিনীর ডাকে নৃপতির সঙ্গে-সঙ্গে বলাইও সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইল। শান্তি তখন রান্নাঘরে ছিল । কথা শুনিয়া সে সেখান হইতে ঘোমটার কাপড় ঈষৎ তুলিয়া দেখিল এবং সমস্ত বুঝিতে পারিল । নৃপতি কহিলেন,— "ছেলেমানুষ, বোঝে না, একজনকে দিয়ে ডেকে পাঠাও-পরিষ্কার করে দিয়ে যাবে।” এই বলিয়া তিনি চলিয়া গেলেন । শাস্তি আসিয়া কহিল, “দিদি, আমি এটোটা পরিষ্কার করে’ গা ধুয়ে আসি, ও থাক, ওকে ডেকে না।” তাহার ননদ ভ্ৰকুঞ্চিত করিয়া কহিলেন “হ্য—তুমি এখন পাঁচজনকে দেবে-থোবে, তুমি যাবে এখন এইসব ছুতে ? বলিহারি তোমার বুদ্ধিকে !” শাস্তি কহিল, "তাড়াতাড়ি করে ডুব দিয়ে এলেই ত হবে।” “ন গো, এখন এসকল ছোয়া-ছুয়ি লেপালেপি করতে পারবে না।” শান্তি ভাবিল,—“একটার জায়গায় না হয় পাচটা ডুবই দিতাম, তবুও কি শুদ্ধ হ’তে পাবৃতাম ? কিন্তু সে আর-কিছু বলিতে সাহস না করিয়া চলিয়া গেল। তাহার ননদীর অনুমতিক্রমে চাকরটি গিয়া, কানাইলালকে ডাকিয়া আনিল । ননদ ঠাকুরাণী আঙুল নাচাইয়া,