পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ول\ eبb প্রবাসী-চৈত্র, ১৩৩১ [ २8* छां★, २ग्न थं७ পক্ষান্তরে ঐসমস্ত গোড়া ধৰ্ম্মমতের যথার্থ বিচার সহ করা ও প্রচার করা নিতাস্ত প্রয়োজন। অবশু জাতিগঠন করিবার চেষ্টা করা যাহার পেশ তাহার পক্ষে ঐক্কপ করা যুক্তিযুক্ত নহে। জাতীয়তা ও আন্তজাতিকতা—উভয় দিক হইতেই সাম্প্রদায়িক শিক্ষাগার স্থাপন ও তথায় ধৰ্ম্ম-শিক্ষার নামে যে-শিক্ষা দেওয়া হয় আমরা তাহার বিরোধী। ঐসমস্ত শিক্ষালয় এবং ঐধরণের শিক্ষা অতি সঙ্কীর্ণ গোড়ামির স্বষ্টি করে। র্যাহারা ঐসমস্ত স্কুল ও কলেজ স্থাপন করিয়া ঐধরণের শিক্ষা প্রবর্তনের প্রয়াসী, তাহারা তাহাদের সম্প্রদায়ের গোড়াদল ভুক্ত। এই প্রবন্ধে কোনো গোড়া ধৰ্ম্মমত বা চলিত ধর্শ্বের বিরোধী কোনো মতের আলোচনা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয় । কিন্তু গোড়ামি হিন্দুর হউক অথবা মুসলমানের হউক, যুক্তি দ্বারা ইহার শেষ পৰ্য্যস্ত বিচার করিতে গেলে দেখা যায় যে, তাহা জাতীয় একতার বিরোধী। একজন যথার্থ গোড়া, নিজের সম্বন্ধে সচেতন হিন্দু ও একজন গোড়া অনুরূপ মুসলমান একস্থত্রে বাঁধা থাকিতে পারে না। মিঃ গান্ধী ও মৌলানা মহম্মদ আলি ও সৌকত আলির দৃষ্টান্ত দেখাইয়া কেহকেহ আমাদের এই মত খণ্ডন করিতে চাহিবেন । কিন্তু মহাত্মা গান্ধী প্রকৃত হিন্দু হইলেও কোনো ক্রমেই গোড় নহেন। যদি হিন্দু ও মুসলমানে মিলিয়া এক সম্মিলিত জাতি হইতে চায় তাহদের পরস্পরকে কতকগুলি গোড়া মত ও সংস্কার বর্জন করিতেই হইবে। আমরা অনেক সংস্কার ও আচারকে ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি, তথাপি এরূপ কথা বলিতে বাধ্য হইতেছি । যদি ভারতবর্ষ কেবলমাত্র হিন্দু কিম্বা শুধু মুসলমানের বাসভূমি হইত, তাহা হইলেও আধুনিক অর্থে কার্যক্ষম জাতি গঠিত হইতে পারিত না, যদি না তাহার কতকগুলি গোড় সংস্কার পরিত্যাগ করিত। তথাকথিত অস্পৃশু জাতি উচ্চ জাতিদিগের সহিত একত্রে কাজ করিতে পায় না । গান্ধীজির মতামুযায়ী অস্পৃশ্বতা নিবারিত হইলেও কিছু ভরসা হয় বটে, কিন্তু শিক্ষিত ও নিজেদের অবস্থা-সম্বন্ধে সচেতন অস্পৃশুজাতির লোকেদের স্বাভাবিক দাবি-অনুসারে তাহাও যথেষ্ট নহে। যদি ধরিয়া লওয়া হয় যে, গান্ধীজির কথা অস্থযায়ী অস্পৃশুদিগকে কতকগুলি স্থর্বিধা দেওয়াতে তাহার সন্তুষ্ট হইল, তবুও মহারাষ্ট্র ও দাক্ষিণাত্যের ব্রাহ্মণেতর জাতিদিগকে সন্তুষ্ট করা হইবে কেমন করিয়া ? তাহারা ত অস্পৃগু নহে ; অথচ, ব্রাহ্মণের সকল মুখ ও স্থবিধার অধিকারী বলিয়া তাহারা আপত্তি করিতেছে। "ইহা কেবল মাত্র রাষ্ট্রীয় বিরোধ নহে, সামাজিক ও ধৰ্ম্মবিষয়ক বিরোধও বটে। ইহাদের মধ্যে কেহু-কেহ সকল ধর্শ্বকাৰ্য্য ও পূজা-পাৰ্ব্বণে ব্রাহ্মণদের পৌরোহিত্য বর্জন করিতে চাহিতেছে । স্বতরাং কেবলমাত্র গান্ধীজির কথাকুযায়ী চলিলে হিন্দুর গোড়ামি অংশতঃ বর্জিত হইবে বটে, কিন্তু তাহাতে যথার্থ রোগোপশম হুইবে না । জাতিভেদের ভূত পুরাপুরি ছাড়াইতে হইবে । হিন্দুদের গোড়ামি রক্ষা করিতে গেলে তাহা সম্ভবপর নহে । মুসলমানদের গোড়ামি-সম্বন্ধে আমরা বেশী-কিছু অবগত নহি । তবে আমরা এইটুকু জানি যে, স্বাদেশিকতায় উদ্বোধিত হইয়া যে-সমস্ত নরনারী নবীন তুর্কীস্থানকে জগতের রাষ্ট্ৰীয় ইতিহাসে গণনীয় করিয়া তুলিয়াছেন তাহারা গোড়া নহেন। বস্তুতঃ তুরস্কের নারীজাতিও মুসলমান-গোড়ামির বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিয়াছেন, অথচ ইহা সৰ্ব্বজনবিদিত যে নারীজাতি পুরুষ অপেক্ষা বেশী ধৰ্ম্মপরায়ণ ও রক্ষণশীল। ইজিপ্টকেও যথেষ্ট গোড়া বলিয়া মনে হয় না ; কারণ, মৌলানা মহম্মদ আলি অসুযোগ করিয়াছেন যে, ইজিপ্টবাসীদের স্বধৰ্ম্ম অপেক্ষ স্বজাতীয়তার দিকে দৃষ্টি বেশী। এইসকল জাতির দৃষ্টান্ত দেখিয়া ইহাই মনে হয় যে, ভারতবর্ষ যদি সম্পূর্ণ বা মুখ্যতঃ মুসলমান রাজ্য হইত, তাহা হইলেও কতকগুলি অন্ধ সংস্কার ও আচার বর্জন না করিলে কৰ্ম্মক্ষম জাতি বলিয়া ভারতবাসীরা গণ্য হইত না । আফগানিস্থানে গোড়ামির দরুন আহম্মদীয়া-মত-বিশ্বাসী একজন নিরীহ ব্যক্তিকে লোষ্ট্রাঘাতে হত্যা করা হইয়াছে এবং এই বৰ্ব্বরতা প্রকাশ্যে কয়েকদল ভারতবর্ষীয় মুসলমান কর্তৃক সমর্থিত হইয়াছে। অবশু কেহ-কেহ ইহার নিন্দাও করিয়াছেন । ইহাতেই বুঝা যাইতেছে যে, যদি ভারতবর্ষীয় মুসলমানেরা আপনাদের গোড়ামি