পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী-চৈত্র, ১৩৩১ [ २8* छां★, २ग्न धंe وهما আমাদের নয়নের সম্মুখে ভাসিতে লাগিল । সকলেই স্থানটি ঠিক এইরূপ রহস্তপূর্ণ—তাহার অস্তিত্ব অবাক ও স্তম্ভিতভাবে এই অভূতপূৰ্ব্ব দৃপ্ত দেখিতে লাগিল ! এখন পৰ্য্যন্ত কেহ জানিতে পারে নাই। জোকার বলিল,—“এ যে কর্সিকা দ্বীপ । এমন আশ্চৰ্য্য জিনিষ আর কি আছে ? এই দ্বীপটি বছরে দু-তিন বারের বেশী দেখা যায় না। কতকগুলি প্রাকৃতিক বিশেষ নিয়ম এবং বায়ুমণ্ডলের গুরুত্ব-অনুসারে কখনও-কখনও কুজ ঝটিকার আবরণ ভেদ করে দেখা দেয়। তা নইলে বরাবর কুয়াসা-যবনিকার অন্তরালেই থাকে। আমি আরও শুনেছি যে, কর্সিকার পর্বত-শ্রেণীর মধ্যেও বিশেষ বিশেষত্ব আছে।” জোকারের কথা শুনিয়া আমরা অবাকৃ হইয়া সমুদ্রোখিত হঠাৎ-আবির্ভূত এই অভূতপূৰ্ব্ব দৃপ্ত দেখিতে লাগিলাম। কিছু দূরে একটি বৃদ্ধ বসিয়াছিল। এতক্ষণ বৃদ্ধটি আমাদের–উচ্ছম্বল যুবকদের–কথা যোগ দেয় নাই ; একদৃষ্টে আমাদের তর্ক-যুদ্ধের অভিনয় দেখিতেছিল। বৃদ্ধটি এতক্ষণ পরে গা ঝাড়া দিয়া ধীরে-ধীরে বলিল, “দেখ, এই কর্সিকা দ্বীপ-সম্বন্ধে আমি কিছু জানি ; শোনো বলিতেছি। প্রথমেই বলিয়া রাখি কিন্তু ষে-কথাগুলি আজ তোমাদিগকে শুনাইব, সে অনেকদিনের কথা— আমাকে স্মরণ করিয়া বলিতে হইবে । যাহা লইয়া এতক্ষণ তোমরা মাতামাতি করিলে এটিও সেইরকম একটি প্রেমের ঘটনা। তোমরা বোধ হয় শুনিয়া মুণী হইবে, আমার এই গল্পের মাস্থ্য-দু’টির প্রেম সত্যই চিরস্থায়ী হইয়াছিল। আজ এই যে দ্বীপটি আমাদের সম্মুখে ভাসিয়া উঠিয়াছে আমার কিন্তু মনে হইতেছে ওটি তোমাদের এই তর্কের মীমাংসার জন্যই আবিভূত হইয়াছে। আরও আমার মনে হয়, আমার যৌবনের সেই বিশেষ স্বভিটিকে জাগাইবার জন্তই যেন ও মূৰ্ত্তিমান হইয়া আসিয়াছে।” বৃদ্ধ বলিতে লাগিল – “আমি যৌবনে একবার এই কর্সিকা দ্বীপে গিয়াছিলাম। তখন এই অৰ্দ্ধসভ্য দ্বীপবাসীদের কথা কচিৎ-কখনো শুনিতে পাওয়া যাইত। আজ আমরা ফ্রান্সের তটগ্রান্ত হইতে কলিকাকে যেমন নিকটে দশন করিতেছি, বাস্তবিক কিন্তু এই অৰ্দ্ধসভ্য দ্বীপটা এত নিকটে নহে—আমেরিকার · অপেক্ষাও দূরবর্তী ! - এমন একটি জগৎ কল্পনা করে, ষে कङक●लि ठौष* *ांक्षांफ़ कझनां क८ब्र, उांशांब्र চারি ধারে প্রবাহিত ঘূণীর স্রোত ; বাগোপযোগী সমতল ভূমির লেশমাত্র নাই—শুধু চারি ধার লতা গুল্ম ও বাদাম বৃক্ষে আচ্ছন্ন। প্রথম দর্শনেই মনে হইল, এই স্থানটির" ভূমি উর্বরতাশূন্ত, আকৰ্ষিত, অবহেলিত ; মনুষ্য-বসবাসের চিহ্নস্বরূপ এই দুর্গম অরণ্যে দু’একখানি কুঁড়ে ঘর দেখিতে পাওয়া যাইবে ; আর দেখিতে পাইবে পৰ্ব্বত-শিখরে জুলীকৃত শিলা কাঠ। এই অসভ্য দ্বীপবাসীদের কোনোপ্রকার শিল্পনৈপুণ্য কিছুই নাই। ইহার কখনও শিল্পীর মানসিক প্রতিভাও পরিশ্রমের ফল—কারুকার্য্যময় খোদিত প্রস্তর বা কাঠফলক দেখে নাই। মানুষের কল্পনা প্রতিভা ও মনীষা যে শিল্প-দ্রব্য স্বষ্টি করিতে পারে,এ-সংবাদ তাঁহাদের স্বপ্নের অগোচর। তাহারা চিরদিনই আদিমনিবাসীর মতন অৰ্দ্ধসভ্য—যেন যুগযুগান্তর হইতে বংশানুক্রমে বাস্তব জগতে বাস করিয়াও পার্থিব বিষয়ে উদাসীন । “ইতালী –কি স্বন্দর, কি স্বসভ্য এই ইতালী ! সভ্য জগতের শিরোমণি ইন্দ্রভবন ইতালীতে যাও। সেখানে দেখিতে পাইবে, দীন দরিদ্রের পর্ণ কুটীর হইতে রাজার রাজ-প্রসাদ প্রতিভা শালী শিল্পীর কলানৈপুণ্যে মণ্ডিত । চারিধার সভ্য জগতের প্রাণের রুচির নিদর্শনে ভূষিত । অনন্ত সৌন্দৰ্য্যময়ী ইতালী প্রকৃতই স্থকুমার শিল্পকলার চরম নিদর্শন ! মনে হইবে, ইতালীই যেন শিল্পীর মানসকল্পনা-প্রস্থত স্বকুমার শিল্পক্সবা-বিশেষ ; কলালক্ষ্মীর জন্ত আনন্দভবন । ইহার পাশ্বে অসভ্য কর্সিকা ?—স্বৰ্গ আর নরক ।” বৃদ্ধ নাসিক কুঞ্চিত করিয়া ঘৃণাবাঞ্চক মুখ ভঙ্গী করিল। সজোরে ফুসফুস সঞ্চিত বাতাস ছাড়িয়া বৃদ্ধ পুনরায় বলিতে লাগিল—“অতি প্রাচীন যুগ হইতে আজ পর্য্যন্ত এই দ্বীপবাসীরা সভ্য জগতের সম্মুখে আপনাদিগকে দাড় করাইতে পারিল না ; চিরদিনই অসভ্য অবস্থাতেই রহিয়া গেল । সেখানকার অধিবাসীর নিজ জীবিকা ও কলহ ছাড়া জগতের আর সকল বিষয়ে উদাসীনের মতন, সামান্ত অবস্থাতেই কাল কাটাইতেছে ।