পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છઠ્ઠ সংখ্যা] ‘श्रांश-श f’ इका छूःथर्ऽक भूर्भु-छत्रौ कब्रिबा रलिज, সাচ্ছ, আপনি সাইরেমন্টকে চেনেন কি ? . ‘হ্যা,—তাদের শেষ পুরুষ একজন সৈন্যদলে প্রবেশ করেছে ।" আমার কথা শুনিয়া যেন বৃদ্ধার হৃদয় কাপিয়া উঠিল। তোহার মুখ এবং চোখের ভঙ্গী দেখিয়া মনে হইল, এতদিন যে কথাগুলি তাহার হৃদয়ের গোপন প্রদেশে লুকানো ছিল—আজ সেই পুরাতন কথাগুলি বলিবার জন্ত বৃদ্ধ বড় ব্যগ্র হুইয়া উঠিয়াছে। 'দেখুন, এই হেনরী সার ডি সাইরেমন্টই আমার ভ্রাতা।” - বৃদ্ধার কখা শুনিয়া আমি মহা বিস্ময়ে তাহার মুখের দিকে তাকাইয়া রহিলাম। ক্রমে আমার মনে পড়তে লাগিল—অনেক দিন পূৰ্ব্বে—আমার যৌবনের প্রারম্ভে—লোরেনের এই সম্রাস্ত বংশে , কি যেন একটা গোলযোগ ঘটিয়াছিল । সব ঘটনা ঠিক মনে পড়িল না ; তবে এইটুকু আমার বেশ মনে পড়িল যে, এই বংশের স্বজেন ডিস্রামণ্ট নাম্নী এক কিশোরী এক সৈনিকের প্রেমে মুগ্ধ হয় । কিশোরীর পিতা এই সৈন্যদলের অধিনায়ক ছিল । আরও মনে পড়িল, এই সৈনিক পুরুষটি এক কৃষকের পুত্র। কিন্তু তাহাকে কৃষকের পুত্র বলিয়া চেনা যাইত না । সে অতিশয় স্ব-পুরুষ ছিল। তাহার উন্নত ললাট, বিরাট বক্ষঃস্থল, উন্নত নাসিকা ও দিব্য কাস্তি সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করিত। প্রতি অঙ্গভম্বী, কথা-বাৰ্ত্ত বীরত্বের পরিচায়ক ছিল। সৰ্ব্বদ মূল্যবান এবং নানাবিধ আড়ম্বরপূর্ণ পরিচ্ছদে তাহার দিব্যকান্তিপূর্ণ দেহ সজ্জিত থাকত। ইহা ছাড়া তাহার মানসিক প্রতিভাও যথেষ্ট ছিল। ঈশ্বর তাহাঁকে যেরূপ দেহ সৌন্দর্ঘ্যের অধিকারী করিয়া পাঠাইয়াছিলেন, তেমনি মানসিক সৌন্দর্ঘ্যেও মণ্ডিত করিয়া স্বজন করিয়াছিলেন। সৈনিক পুরুষ নিপুণ চিত্রকর ছিল। সে তাহার প্রিয়তমার চারু চিত্র নিজ হস্তে অঙ্কিত করিয়া তাহাকে উপহার দিয়াছিল। যে-ঘরে বসিয়া এইসব কথা ভাবিতেছিলাম, —সেই ঘরটিও নানা রঙের ছবিতে পূর্ণ ছিল। একদিন সন্ধ্যার পর শুনা গেল সৈনিক অদৃপ্ত –সৈন্ত্যাধ্যক্ষ-কস্তা প্রেমের কাহিনী b-్చలి श्रधनe चमृ* ! बिरठब्र अश्मकांन इझेल, ८काशांe তাহাদের সন্ধান মিলিল না। এরকমই যে হইবে ইহা তাহাঁদের স্বপ্নেরও অতীত ছিল । “কিছুকাল পরে সকলেই—মবশ্ব আমিও তাঙ্গদের মধ্যে একজন—ভাবিদ, স্বজেন মরিয়াছে। কিন্তু এখন, সেইসকলেরই মধ্যে একজন আমি দেখিতেছি, সেই কিশোরী স্বজেন এখন লোলচৰ্ম্ম। বৃদ্ধ ; এই জনমানব- * শূন্ত নিবিড় অরণ্য-মধ্যে তাহার প্রণয়াস্পদের সচিত বেশ স্বথে বাস করিতেছে! আর ঘটনাচক্রে পড়িয়া আমি डांशग्नड़े अङिशि !” - বৃদ্ধ গল্প বলিতে-বলিতে একবার থামিল। পকেট হইতে বাম হাত দিয়া নস্তদানি বাহির করিয়া আর-একবার বেশ তৃপ্তির সহিত নস্ত গ্রহণ করিল। আর বন্ধু পল চক্ষুদ্ৰ স্তু অৰ্দ্ধ-মিলিত করিয়া ভাবে বিভোর হইয়া মুখগহবরে সঞ্চিত ধূমরাশি ধীরে-ধীরে ছাড়িতেছিল। বৃদ্ধ পুনরায় বলিতে লাগিল,— “আমি বুদ্ধাকে বলিলাম,—“আপনিই তা ছু’লে সেই স্বজেন ? বৃদ্ধ অশ্রুভারাক্রান্ত চক্ষে ঘাড় নুড়িয়া জানাইল, ‘আমিই সেই ? আর ইঙ্গিতে বুদ্ধের দিকে তাকাইয়া বলিল, ইনিই সেই সৈনিক ? “আমি দেখিলাম বৃদ্ধ স্বজেন এখন পর্যন্ত তাহাকে ভালোবাসে, মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাহার দিকে তাকাইয়া থাকে। “আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, আপনারা বেশ স্বর্থী হয়েছিলেন ?” ‘হঁ্যা, নিশ্চয়ই—’বুদ্ধ গদগদ এবং গাঢ়স্বরে, যেন প্রাণের অস্তস্তল হইতেই বলিল, “আমরা অত্যন্ত স্বর্থী হয়েছিলাম । আমাকে উনি যথেষ্ট স্বধী করেছিলেন—কখনও আমাকে অমৃতাপ করতে হয়নি। বৃদ্ধার মুখে-চোখে উচ্ছসিত মোহময় যৌবনের নবাছুরাগের দীপ্তি যেন পুনরায় সগৌরবে ফুটিয়া ধীরে-ধীরে মিলাইয়া গেল। আমি প্রেমের মহিমময়ীশক্তির আকর্ষণ দেখিয়া মুগ্ধ হইলাম। বৃদ্ধার মুখের দিকে তাকাইতেই পুনরায় সে বলিল— ‘জীবনে যে-স্থখ ভোগ করেছি, তার তুলনা মেলে না। এই জীবন-সায়াহ্নেও আমরা বেশ স্বখে আছি। এখন কেবল পরপারের খেয়াঘাটে বসে ভাবছি যেন