পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b^ర్చి - প্রবাসী—লৈ,১৩৬১ : [ २8नं छां★, २ग्न थ७ ভারতবর্ষের সকল রেলওয়ে লাইনে ইহার প্রচলন श्हेबांग्रह, ७ष९ क्रणः बांना cखनैौद्ध ८णांक निक्रशांच्च श्रेष्ठा হওয়া উচিত। * e কৃষক ও সাধারণ মজুরের ইতিপূর্বেই সংখ্যাৰহল দলকে তৃতীয় শ্রেণীর সকল গাড়ীতে পাখিানা ও তাহাড়ে এচুর জলের বন্দোবস্ত থাকা উচিত। অনেক গাড়ীতে পায়খানা থাকে না। তৃতীয় ও মধ্য শ্রেণীর অনেক পায়খানা অত্যন্ত নোংরা অবস্থায় থাকে, জল প্রায়ই থাকে না। অনেক পায়খানায় রাত্রে আলো থাকে না। সকল ষ্টেশনে তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের জন্ত বিশ্রামের ঘর থাকা উচিত। বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের কোন-কোন ষ্টেশনে তৃতীয় ও মধ্যম শ্রেণীর ধাত্রীদিগকে অনাবৃত স্থানে রোদেকুষ্টিতে দাড়াইয়া টিকিট কিনিতে হয়। কোম্পানী টিকিটঘরগুলি নিৰ্ম্মাণ করাইবার সময় ইহা বিবেচনা করেন নাই যে, তৃতীয় ও মধ্য শ্রেণীর যাত্রীরা মাহুৰ, গাছপাথর নহে। লিখিতে যাইতেছিলাম, “কুকুর বিড়াল নছে", কিন্তু মনে পড়িল, গ্রীষ্মের রোদ ও বর্ষার জল কুকুর বিড়ালও পরিহার করে। যাহার জেন্টলমেন, অর্থাৎ পাজামা-হাটুকোটু-পরিহিত নহেন, তাহাদের জন্ত ষ্টেশনসকলে যেসব পায়খানা আছে. তাহা সচরাচর এরূপ অপরিষ্কৃত থাকে, যে, তাহা পশুরাও পরিহার করিবে, মানুষের কথা ত দূরে থাক্ । নূতন রেলওয়ে লাইন | রেলওয়ে দ্বারা দেশের কোন স্থবিধা ও উপকার হয় নাই, এমন নহে ; কিন্তু অনিষ্ট এবং ক্ষতিও অনেক হইয়াছে। রেলওয়ে দ্বারা জল বাহির হইবার স্বাভাবিক পথ বন্ধ হওয়ায় অনেক প্রদেশে ম্যালেরিয়ার উদ্ভব ও বুদ্ধি হইয়াছে এবং অনেক প্রদেশে মারাত্মক জল-প্লাবন হইয় থাকে। রেলওয়ে থাকায় প্লেগ, ইনফ্লুয়েঞ্চ, প্রভৃতি সংক্রামক পীড়ার আক্রমণ সহজে বহুব্যাপী হইয়া যায়। বিদেশী কারখানায় কলে নিৰ্ম্মিত নানা পণ্যদ্রব্য সস্তায় দেশের ছোট-ছোট গ্রামে পৰ্য্যন্ত নীত হইয়া দেন হস্তনিশ্বিত নানা পণ্য-দ্ৰব্যকে প্রতিযোগিতায় পরাস্ত করায় দেশী প্রাচীন বহু পশ্যশিল্প লুপ্ত ৰিম্বা প্রায় লুপ্ত भूहे कब्रिब्रांटष् । डांश८७ चनघ्नन, चर्षानन ७ छूर्डिक বাড়িয়াছে। রেলওয়ের সাহায্যে দেশের , খাদ্য নানা শত এত বেশী ব্লপ্তানি হয় যে, দেশের লোকদের জন্ত যথেষ্ট শস্ত দেশে থাকে না, এবং যাহা থাকে তাহাও স্থমূল্য হয়। এই রপ্তানি ও স্থমূল্যতার স্ববিধা কৃষকের পূর্ণ মাত্রায় বা যথেষ্ট পরিমাণে পাইলে অবস্থাটা কিয়ৎপরিমাণে মনোর ভাল বলিয়া গ্রহণ করা যাইতে পারিত, কিন্তু তাহা তাহারা পায় না । রেল বিস্তার হওয়ায় দেশের জল-পথ-সমূহ নানা অঞ্চলে অবহেলিত এবং কোথাও কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হইয়াছে। তাহাতে দেশের স্বাস্থ্যহানি, এবং অন্তবাণিজ্যের ক্ষতি হইয়াছে। অনেক-রকম জিনিষের বাণিজ্য আছে, যাহাতে খুব দ্রুত মাল বহিবার প্রয়োজন নাই ; সেইসব মাল দেশী নৌকায় জলপথে লইয়া গেলেও চলে। বহিবার কাজটি দেশী নাবিকদের হাতে থাকিলে তাহার দ্বারা উপার্জনের একটি পথ দেশী এক-শ্রেণীর লোকদের হাতে থাকে ; তা-ছাড়া নৌকা-নিৰ্মাণ-শিল্পটিও জীবিত থাকিয় এক-শ্রেণীর লোকের জীবনধারণের উপায় হয়। এইজন্ত জল-পথ-সকল স্বসংস্কৃতভাবে থাকা দরকার। রেলওয়ের দিকে গবর্ণমেন্টের বেণী ঝোক থাকায় জল-পথের প্রতি অবহেলা হইয়াছে । এইসব কারণে আমরা মূত্ৰ-তত্র অবিচারিতভাবে রেল-লাইন বিস্তারের পক্ষপাতী নহি । রেলওয়ের যে-সব অনিষ্টকারিতা দেখাইয়াছি, তাহা না বাড়াইয়া যে-সব অঞ্চলে রেলপথ বিস্তৃত হইতে পারে, তাহা হউক। কিন্তু তাহারও আগে তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের সমুদয় অস্থবিধ দূর করা একান্ত আবগুক । রেলে দেশী কৰ্ম্মচারী রেলওয়ে বোর্ডের সভ্যদের মধ্যে . একজনও দেশী লোক নাই। দেশী লোক নিযুক্ত করিবার জন্ত গবন্মেষ্টকে আম্বরোধ করায়, গবশ্লেষ্ট পক্ষ হইতে বলা ।