পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છઠ્ઠ નવr ' বিবিধ প্রসঙ্গ—জনৈক কৃর্তী প্রবাসী বাঙালী tyరిలీ হইয়াছে, যে, ঐরুপ পদের জন্ত যথেষ্ট জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাশালী দেশী লোক নাই । কিন্তু এরূপ যোগ্য কয়েকজন লোকের নাম অনেক খবরের কাগজে প্রকাশিত হইয়াছে। তা-ছাড়া, সাধারণভাবে ইহা বলা যাইতে পারে, যে, মৈশূরের সমুদয় রেল-পথের কাজ দেশী লোকের, কর্তৃত্বাধীনে পরিচালিত হয়, ঐ রাজ্যে রেলের সব শ্রেণীর কাজ যদি দেশী লোকে করিতে পারে, তাহ হইলে ব্রিটিশশাসিভ ভারতে কেন পরিবে না ? মৈশূরের ভূতপূৰ্ব্ব দেওয়ান স্যার মোক্ষগুগুম্‌ বিশ্বেশ্বর আইয়া একজন বড় এঞ্জিনিয়ার ; তিনি রেলের কাজও জানেন । রেলওয়ে বোর্ডের সভ্যেরা তাহার মত লোকদের চেয়েও যোগ্য, বলা হাস্যকর । স্যার চালস্ ইনস বলেন, রেলের উচ্চতম কাজসকলে দেশী লোক ষে বেশী-পরিমাণে এখনও দেখা যায় না, তাহার কারণ দেশী লোকেরা উচ্চ-শ্রেণীর গেজেটেড কাজে বহুপূৰ্ব্বে নিয়োগ লাভ করেন নাই, অল্পকাল পূৰ্ব্বে করিয়াছেন ; এইজন্ত, উন্নতিলাভ করিতে-করিতে উপরে উঠতে র্তাহীদের দেরী লাগিবে। কিন্তু দেশী লোকের ধে বহুপূৰ্ব্বে গেজেটেড, শ্রেণীর কাজে নিযুক্ত হন নাই, কিম্বা তাহার কোন-কোন কাজে নিযুক্ত হইতে হইলে যেরূপ শিক্ষার দরকার তাহার ব্যবস্থা তাহাদের জন্য করা হয় নাই, সে-দোষটা দেশের লোকদের নছে—দোষ গবন্মেন্টের ও রেলওয়ে কোম্পানীসকলের । নীচের দিকের কাজসকলে দেশী লোক যে খুব বেশী নিযুক্ত হইয়াছে, তাহ দেখাইবার জন্ত স্যার চালর্স ফিরিঙ্গীদিগকেও ভারতীয় বলিয়া ধরিয়া লইয়াছেন । ফিরিঙ্গীর অবগু দেশী লোক বটে। কিন্তু যখন তাহদিগকে ভলান্টিয়ার বা সখের সৈন্ত করা হয় ও বলুকাদি দেওয়া হয়, যখন তাহীদের জন্য রেলে তৃতীয় শ্রেণীর গাড়ী রিজার্ড রাখা হয়, তখন তাহারা ইউরোপীয় বলিয়া বিবেচিত হয়। বাছুড়ের ডিম হয় না, একেবারে ছানা হয়। সেইজন্য তাহারা পাখী নয়, অথচ তাহারা অন্য অনেক স্তন্যপায়ী জীবদের মতন ডাঙায়ও নামে না। এইজন্ত তাহারা কোন দলেই আমল পায় না। ফিরিঙ্গীদের বুদ্ধি থাকিলে তাহারা বাহুড়ের অবস্থা পছন্ম করি ও না, వెఱ=ఆఆ এবং বুঝিতে পারিত, যে, ইউরোপীয়ের বস্তুতঃ তাহ দিগকে অবজ্ঞা করে, কিন্তু কেবল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্ত তাহাদিগকে অধিকাংশ ভারতীয় হইতে পৃথক্ করিয়া রাখিয়াছে। স্যার চালর্সএর জানা উচিত, যে, রেলের অনেক বিভাগ ফিরিঙ্গীদের একচেটিয়া আছে বলিয়াই আমরা মনে করিতে পারি না, যে, তাহাতে ভারতীয় লোকেরা যথেষ্ট সংখ্যায় প্রবেশ লাভ করিয়াছে । তাহাকে দেখাইতে হইবে, ঐসব বিভাগে অস্তান্ত শ্রেণীর ভারতীয়ের তাহাদের সংখ্যাবাহুল্য-অনুসারে স্বীন পাইয়াছে, এবং ফিরিঙ্গীরা তাহাদের সংখ্যার অল্পপাত-অম্বুসারে অল্প ংখ্যায় কাজ পাইয়াছে । 酸 জনৈক কৃতী প্রবাসী বাঙালী । “প্রবাসী"তে আমরা বিস্তর প্রবাসী বাঙালীর সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত ছাপিয়াছি এবং তাহদের কৃতিত্বের কথা লিখিয়াছি। তাহাদের মধ্যে যাহারা সরকারী চাকরি করিতেন, তাহাদের কথা সে-কারণে “প্রবাসী’’ হইতে বাদ দেওয়া হয় নাই। স্যার অতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাঙালী ; বাংলা দেশেই তিনি জন্মগ্রহণ ও শিক্ষা লাভ করেন। বিলাতের সিবিল সাবিস পরীক্ষায় ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই সৰ্ব্বাগ্রে প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেন। তাহার পর ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসিয়া তিনি আগ্রা-অযোধ্যা প্রদেশে এবং পরে দিল্লী ও সিমলায় নানা রাজ-কার্ধ্যে নিযুক্ত থাকেন। কয়েক মাস পূৰ্ব্বে তিনি ভারতবর্ষের হাই কমিশনার নিযুক্ত হইয়। সিবিল সার্বিসে পদত্যাগ করিয়া বিলাতে গিয়াছেন। সেই উপলক্ষে গত ডিসেম্বর মাসে এলাহাবাদের দৈনিক “লীডার” যাহা লিখিয়াছিলেন, তাহ নীচে উদ্ধৃত করিতেছি। লীডার বাঙালীর কাগজ নহে, এবং উহার সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদকগণও বাঙালী নহেন। এইজন্য ঐ কাগজের মন্তব্য নিরপেক্ষ বলিয়া বিবেচিত হইতে পারে। লীডার যখন এই মন্তব্য প্রকাশ করেন, তখন চট্টোপাধ্যায় মহাশয় স্যার উপাধি লাভ করেন নাই ; এইজন্ত তিনি মিটার বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছেন।