পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] বেশী পরিমাণে বজের, একচেটা >>२०-२> जां८ल কাপাস-পণ্যন্ত্রব্যের উপর শুষ্ক আদায় হইয়াছিল ২,৩৯,৯২,৮৭০ টাকা , কিন্তু কাচা ও পণ্যদ্রব্যে পরিণত প:টের উপর শুষ্ক আদায় হইয়াছিল ৩,২১,১২,৬২৮ টাকা । অতএব এবিষয়েও গবষ্মেণ্টকে বাংলা অপেক্ষা বোম্বাই বেশী রাজস্ব দেয় নাই । বাংলাদেশকে অস্থবিধায় ফেলিবার ও জস্ব করিবার জন্ত কেহ ইচ্ছাপূর্বক কোন বন্দোবস্ত করিয়াছে, বলিতেছি না ; কিন্তু প্রাদেশিক গবশ্লেন্ট-সমূহকে ও ভারত-গবন্মেণ্টকে যে-ষে রকমের রাজস্ব দেওয়া হইয়াছে তাহাতে বাংলাদেশের অস্থবিধা হইয়াছে। জমির খাজনার বন্দোবস্ত বঙ্গে চিরস্থায়ী ; স্বতরাং উহা বিশেষ-রকম বাড়িতে পারে না। উহা প্রাদেশিক গবন্মেন্টের পাওনা। ১৯১৬-১৭ হইতে ১৯২৪-২১ সাল পর্য্যস্ত বঙ্গে উহার আদায়ের পরিমাণ ছিল ৩০৮৮৪ ১৮৪, ২৯৯৮১৫৮৭, ৩•৫৩০৭৯৬, ৩০ ১৯৬৫২৭, এবং ৩০৩৯১১৮৩ টাকা । ভিন্ন-ভিন্ন বৎসরে হ্রাস-বৃদ্ধি কিছু হইয়াছে, কিন্তু মোটের উপর বঙ্গে ভূমির রাজস্ব আগে যেমন হইত, এখনও সেইরূপ হইতেছে, বিশেষ-কিছু বাড়ে নাই। অন্ত দিকে, ইনকম্ ট্যাক্স ভারত-গবন্মেন্টের পাওনা, এবং তাহা ক্ৰমবৰ্দ্ধনশীল । ১৯১৬-১৭ হইতে ১৯২০-২১ পর্ষ্যস্ত বঙ্গে উহা কিরূপ বাড়িয়াছে দেখুন। ১৯১৬-১৭তে উহ ছিল ১৬৮৫৫৪২৮ টাকা । তাহার পর-পর বৎসর উহ! ફ્રેઃ ૭૭૨૭૦૨-૦, ૭૬૦ નાઇ૭8૨, ૨૬૩૨૭૭૭૧, બરડ ৮৩৯৭৫২৯১ টাকা । জল-সেচনের আয় প্রাদেশিক, কিন্তু অন্য অনেক প্রদেশের তুলনায় বঙ্গে উহার আয় অতি সামান্ত ; কারণ, জলসেচনের খাল প্রভৃতি বাংলাদেশে খুব কম আছে। যথা, বঙ্গে ২৩৬১৩৬ ; আগ্ৰা-অযোধ্যায় ১৪•২৮৭৬৭ ; পঞ্জাবে ৪৬৭e৫৮৯২ ; ব্রহ্মে ১৪০৪৮৪৩ ; विठ्ठांब्र-ऐंठ९क८ज २१९२s२१ ; भांटछांप्छ s२१७२88d ; বোম্বাইয়ে ২৬১৫১৬৩ টাকা । আবকারীর আয় প্রাদেশিক কিন্তু উহা দেশহিতৈষীরা সৰ্ব্বত্র কমাইবার চেষ্টা করিতেই বাধ্য। কোর্ট-ফীর আয় প্রাদেশিক; উহাও কমাইবার চেষ্টা করাই কৰ্ত্তব্য। কারণ মোকজমা করিবার প্রয়োজনও প্রবৃত্তি এবং উহার সংখ্যা যত কমিবে, ততই দেশের পক্ষে মঙ্গল । বিবিধ প্রসঙ্গ-বঙ্গে পুলিশের ব্যয় wరిగి কারণ যাহাই হউক, আমরা উপরে দেখাইলাম, যে, বাংলাদেশের লোক-সংখ্যা অন্য যে-কোন প্রদেশের লোকসংখ্যা অপেক্ষা বেশী হুইলেও উহার কাজ চালাইরে জন্য প্রাদেশিক গবন্মেন্টের হাতে পঞ্জাব, আগ্রা-অষোধ্যা, মান্দ্রাজ ও বোম্বাই অপেক্ষ মোট এবং জন প্রতি টাকা কম থাকে। সুতরাং সরকারী টাকার উপর দেশের উন্নতি যে-পরিমাণে নির্ভর করে, বাংলা দেশে তাহা অন্ত বড় প্রদেশগুলি অপেক্ষা কম হইবার তাহার মানে এই, যে, দেশের উন্নতির জন্ত বঙ্গের অধিবাসৗদিগকে নিজের উপরই অধিক নির্ভর করিতে হইতেছে এবং অদূর ভবিষ্যতেও তাঁহাই করিতে হইবে। দূর ও স্বয়ূর ভবিষ্যতে কি হইবে, তাহ বলিতে, পারি না । বাংলা দেশের প্রাদেশিক বজেটে যত টাকা আয় দেখা যায়, তাহ নানা বিভাগের নানা কাজে যেমন করিয়াই ভাগ করা যাক, কোনটির জন্যই যথেষ্ট হইবে না ; কারণ মোট টাকাটাই কম। এইজন্য বজেটের ভিন্ন ভিক্স বরাদের পরিমাণ-সম্বন্ধে আলোচনা যিনি যত করিতে চান করুন, কিন্তু বঙ্গের মোট আয়টা যাহাতে বাড়ে, ভারতগবষ্মেন্ট ও প্রাদেশিক গবন্মেন্টের মধ্যে টাকা বাটিবার নিয়মটা সেইভাবে পরিবর্তিত করিবার চেষ্টা করা একাত্ত অবিশু্যক । বঙ্গে পুলিশের ব্যয় ১৯২৪-১৯২৫ সালে বঙ্গে পুলিশের ব্যয়ের জন্ত যত বরাদ্দ ছিল, ১৯২৫-২৬ সালের বজেটে তাহা অপেক্ষা তিন লাখ টাকা বেশী বরাদ্ধ করা হইয়াছে। তা-ছাড়া, সাড়ে আট লাখ টাকা ধার করিয়া কলিকাতায় পুলিশের জন্য গৃহ নিৰ্ম্মণ করা হইবে। মানব-সভ্যতার বর্তমান অবস্থায় আইন ভঙ্গ অপরাধ নিবারণের জন্য এবং অপরাধীদিগকে ধরিয়া শাস্তি দিবার জন্য পুলিশের প্রয়োজন সকল দেশেই আছে। স্বতরাং পুলিশের জন্য ব্যয় করা উচিত নয়, কিম্বা উহ। প্রয়োজনমত বাড়ানোও উচিত নয়, ইহা বলা আমাদের অভিপ্রেত নহে । কিন্তু অপরাধ নিবারণের জন্ত আর-আর যে-সব উপায় অবলম্বন করা কর্তব্য, আমাদের দেশে ব্রিটিশ