পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] আমাদের দেশী লোককে বাছিয়া-ৰাছিয়া অফিসার কর, ১•৷১৫২৫ বৎসর ভারতবর্ষের সৈন্তদল কেবল মাত্র দেশী অফিসারদের দ্বারা চালিত হউক । ইংরেজ তাহাতে রাজী নয়, ইংরেজ বিলাতী স্তাও হাষ্ট্রের মত সামরিক শিক্ষালয় এদেশে স্থাপিত করিতে রাজী নয় । কেনই বা হইবে। সিবিলিয়ানদের মধ্যে কালক্রমে অর্ধেক দেশীলোক হইবে, এইটুকু পৰ্য্যস্ত কাগজে-পত্রে ইংরেজ অগ্রসর হইয়াছে ; সর্বোচ্চ হইতে সৰ্ব্বনিম্ন শাসনকৰ্ত্তা ভারতীয় হইয়া যাইবে, এ-রকম পাগলের স্বপ্ন ইংরেজের কাছে প্রশ্ৰয় পাইতে পারে না। ফৌজের উপর হইতে নীচে পৰ্য্যস্ত সব ভারতীয় লোকে পূর্ণ হইবে, এ ত আরো উৎকট স্বপ্ন। কেন না, সৰ ইংরেজ জানে, তাহাজের ব্ৰহ্মাস্ত্র হইতেছে জেনারেল ডায়ার এবং জালিয়ানওয়ালাবাগ। সেইজন্ত সেদিন সেনাপতি রলিন্সন ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছেন, “ভারতীয়ের একটা নেখন নহে, স্বতরাং ভারতবর্ষের ফৌজে স্বাদেশিকতা খাটিতে পারে না—উহার সৈন্যদলকে এখন আগাগোড়া ভারতীয় করা যাইতে পারে না।” ইহাতে কোন-কোন ভারতীয় সভ্য উত্তেজিত হইয়া প্রতিবাদ করেন ; কেহ কেহ জিজ্ঞাসা করেন কত দিনে সৈন্যদলের vētrŝą si ritwa (Indianisation) strē otrā i তাহাতে রললন অবজ্ঞা বা ব্যঙ্গের স্বরে প্রশ্নকারীকেই তাহা অনুমান করিৰার বরাত দেন । , ইংলও ও ইউরোপের অধিকাংশ জাতি যে-অর্থে নেগুৰু ভারতবর্ষে আমরা সে-অর্থে নেগুন নহি, ইহা সত্য কথা । কিন্তু প্রাচীন কালে কোন-কোন গুপ্ত-বংশীয় সম্রাটদের আমলেও ভারতবর্ষে নানা জাতি ও নানা ভাষা ছিল ; তাহাতে নিজস্ব একটা সৈন্যদল ভারতবর্ষের থাকিবার পক্ষে বাধা ঘটে নাই। মধ্যযুগে আকবরের সময় হইতে দীর্ঘকাল ভারতবর্ষের অধিকাংশ ভূখণ্ড এক-সম্রাটের অধীন ছিল, এবং তখনও এদেশে নানা জাতি ও নানা ভাষা ছিল। প্রাচীন কালে ও মধ্যযুগে ভারতবর্ষে সেরূপ বৈবাহিক আদান-প্রদানও ছিল না, যেরূপ এখন ইউরোপে আছে। অর্থাৎ প্রাচীন কালে ও মধ্যযুগে ভারতীয়ের সোথে নেখন ছিল না, যে অর্থে ইংরেজ, ফ্রেঞ্চ, ۹ لاستیاس-۹ وق বিবিধ প্রসঙ্গ-নেশ্যনত্ব ও ফৌজী স্বাদেশিকতা Ե-83 ইটালিয়ান, জামানরা নেগুন । কিন্তু তথাপি প্রাচীন কালে ও মধ্যযুগে ভারতবর্ষের নিজের সৈন্যদল ছিল। অতএব, আধুনিক ইউরোপীয় অর্থে কোন জাতি নেগুন না হইলেই যে তাহার একটি স্বদেশী ফৌজ থাকিবে না, এমন कषां नांदें । প্রকৃত কথা এই, যে, আমরা অধীন জাতি বলিয়া যেকোন-রকম যুক্তি সঙ্ক করিতে বাধ্য। বর্তমান কালে রুশিয়ায় নানাভাষাভাষী নানাধৰ্ম্মাবলম্বী নানা জাতির বাল ; কিন্তু সে-কারণে তাহান্ধের পুরা দেশী ফৌজ৯ “থাকিতে পারে না, বিদেশী অফিসারেরা আসিয়া তাহাজের সৈনিকদের উপর কর্তৃত্ব করিবে, একথা কেহ বলে না । কেননা, তাহারা স্বাধীন ; গুরূপ কুযুক্তি শুনিবার মত দুর্দশা তাহাদের হয় নাই। t আমেরিকার ইউনাইটেড ষ্টেটুস বা যুক্ত-রাষ্ট্রে নানাভাষাভাষী নানাধৰ্ম্মাবলম্বী নানা জাতির বাস ; অনেক ৰা অধিকাংশ রাষ্ট্রে নিগ্রোর সহিত শ্বেতকায়ের বিবাহ আইনবিরুদ্ধ এবং কোথাও-কোথাও দণ্ডনীয় (ভারতবর্ষে এরূপ কোন আইন নাই)। তথাপি ইউনাইটেড ষ্টেটুসের নিজের সৈন্তদল আছে । to ভারতবর্ষের নিজের সৈন্তদল নাই বলিয়া ভারত স্বরাজের উপযুক্ত নহে ও স্বরাজ পায় নাই ; না, ভারতের স্বরাজ নাই বলিয়াই উহার নিজের ফৌজ নাই, এবিষয়ে বেশ একটা তর্ক চলিতে পারে। কোন কথাটা সত্য । তাহা নিৰ্দ্ধারণ করিবার চেষ্টা না করিয়া, ইহা বেশ স্পষ্ট করিয়াই বলা যাইতে পারে, যে, ইংরেজরা আমাদের পুরাপুরি দেশী সৈন্যদল হওয়ার বিরোধী এইজন্ত, ষে, তাহা হইলে আমরা স্বরাজ বা স্বাধীনতা অর্জন করিয়া ফেলিতেও পারি। নেশুন কথাটার বাচ্য আমরা নাই হইলাম, কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন-একটা সাদৃশু সারা দেশময় ব্যাপিয়া আছে, যে, তাহা বিদেশীদের চোখে পড়ে। নানা ভাষার, ধর্শ্বের, জাতির, পরিচ্ছদের অস্তিত্ব এই সাদৃশ্যকে ঢাকিয়া রাখিতে পারে না । সেইজন্ত বিলাতের ম্যাঞ্চে ষ্টার গার্ডিয়ান লিখিয়াছেন – “If you travel through India from north to south, you must recognize an underlying unity as remark