পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե8Յ थबाजी-व्ज, లిల్ని [રકન જ્ઞાન, ૨૪ વજ গান্ধী কেন গবম্মেটিকে শয়তানী বলেন ভারতবর্ভূসম্পৃক্ত কিরূপ মিথ্যা কথা বিদেশে প্রচারিত হয়, তাহার একটা মাত্র নমুনানিতেছি। আমেরিকায় নিউইয়কৃ"টাইম্স নামক একটা দৈনিক আছে। সেটা ইংরেজ পক্ষের কাগজ ; সম্ভবতঃ ইংরেজের টাকা খায়। উহার একজন প্রতিনিধিকে বোম্বাইয়ের অটো রথফেল্ড (Otto Rothfeld) নামক একজন ইউরোপীয় সিবিলিয়ান আমেরিকায় বেড়াইতে গিয়া বলিয়াছেন – “Gandhi's main principle was a revolt against capitalism and industrialism. To him the British Governmont was Satanic simply because it supported or tolerated factories and banks.” উদ্ধৃত দ্বিতীয় বাক্যটির মানে এই, ষে, মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশ গবষ্মেন্টকে শয়তানী গবন্মেণ্ট কেবলমাত্র এই কারণে বলিয়াছিলেন, যে, ঐ-গবষ্মেন্ট কলকারখানা ও ব্যাঙ্কের সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক, অস্তুতঃ ঐ-জিনিষগুলাকে তিষ্ঠিতে দিয়াছেন। অর্থাৎ গবয়েন্টকে শয়তানী বলিবার কোন রাজনৈতিক কারণ মহাত্মা গান্ধীর ছিল না। এ-রকম একটামিথ্যাকথাও আমেরিকায় বিনাপ্রতিবাদে প্রচারিত হুইয়াছে। ইহা শুধুষে মিথ্যা তাহা নহে, ইহার এমন একটি অনিষ্টকারিত আছে, যাহা সহজে চোখে পড়ে না । আমেরিকায় মহাত্মাঞ্জির বহু ভক্ত আছে ; আবার আমেরিকা কলকারখানা ও ব্যাঙ্কের দেশও বটে। মহাত্মাজি আমেরিকানদের এমন প্রিয় জিনিষগুলির বিরোধী তাহা ভাবু করিয়া প্রচার করিয়া তাহার প্রতি ও হার দেশ ভারতবর্ষের প্রতি বিরাগ উৎপাদনের মংলব সিবিলিয়ান রথফেল্ডের ছিল কি না কে বলিতে পারে ? ভাল কথা—ঐ-ব্যক্তি কাহার টাকায় আমেরিকায় বেড়াইতেছে ? ভারত গবন্মেন্টের টাকায় নয় কি ? বঙ্গের লাটের একৃটিনি বড়লাট ছুটি লইয়া গেলে বঙ্গের লাট লিটন তাহার .জায়গায় একৃটিনি করিবেন, এবং ষ্টেটসম্যান কাগজ প্রথমে গুজব রটাইয়াছিল, যে, লাট লিটনের জায়গায় বঙ্গের শাসনপরিষদের পুরাতনতম মেম্বর স্তার আবার রহিম বঙ্গের লাটগিরিতে একটিনি করিবেন। পরে শুনা যাইতেছে, যে, একটিনিটা তার অদৃষ্টে নাই, উহা একজন ইংরেজ মেম্বরের ললাটে লিখিত আছে। ধিনিই একৃটিনি করুন, তাহাতে দেশের হিতাহিতের বেশী প্রভেদ হইবে না। কিন্তু অন্ত কারণে আমরা স্তার আব্দর রহিমের নিয়োগের পক্ষপাতী। তিনি দেশী লোক বলিয়া তাহার বেলায় পুরাতনতম মেম্বরের একৃটিনি লাটগ্নিরিপ্রাপ্তির নিয়ম বদলিয়া যাওয়া উচিত নয়। তা-ছাড়া, তিনিবিদ্যাবুদ্ধি অভিজ্ঞতা হিসাবেও অযোগ্য লোক নহেন। অবশু তাহার রাজনৈতিক ভেদবুদ্ধির ও সাম্প্রদায়িক দলাদলির আমরা বিরোধী। কিন্তু এরূপ ভেদবুদ্ধি ও দলাদলি ইংরেজ লাটরাও প্রকাশ্বে বা গোপনে করিয়া থাকেন, স্থতরাং ইহা তাহার নিজস্ব একচেটিয়া ক্রটি नांश् । তাহার একৃটিনিগিরির সমর্থন করিবার আর একটা কারণ আছে। বুদ্ধিমান মুসলমানেরা দেখিতে পাইবেন, যে, ২৪ জন চাকরি-প্রার্থী-ছাড়া দেশের সব লোকের বা সব মুসলমানের কোন কল্যাণ তিনি লাট হইলেও করিতে পারিবেন না ; সেরূপ কল্যাণ দেশের শাসনপ্রণালীর পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে, এবং সেরূপ পরিবর্তন হিন্দু মুসলমান ও অন্য সব ধর্থের লোকদের সমবেত চেষ্টায় ভিন্ন হইবে না । কলিকাতার ইম্পরিয়্যাল লাইব্রেরী আগে একবার কথা উঠিয়াছিল, কলিকাতার ইস্পীরিম্যাল লাইব্রেরী দিল্লীতে স্থানস্তরিত হইবে। আবার সেই গুজব রটিয়াছে । উহার নাম আগে ছিল পাব্লিক লাইব্রেরী এবং উহা মেটকাফ হলে অবস্থিত ছিল। পরে উহা লর্ড কার্জন ইস্পীরিয়্যাল লাইব্রেরীতে পরিণত করেন। উহার জন্ত বাঙ্গালী কত টাকা ধিয়াছে ও কত শ্রম করিয়াছে, গবন্মেণ্ট কত ব্যয় করিয়াছেন, এবং সেই জন্য বাঙ্গালীর উহাতে দাবী কতখানি, সে-সব কথা তুলিতে চাই না। কারণ, এরূপ প্রশ্নের ঠিক মীমাংসা করিবার মত উপকরণ আমাদের কাছে নাই।