পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե8Ն বাংলার ব্যবস্থাপক সভার সভ্যদের भूषा নবাববাহাদুর অপেক্ষ যোগ্য লোক আছেন। e শাসনসংস্কার অনুসন্ধান কমিটি · রিফমস ইনকোয়ারি কমিটির অর্থাৎ শাসনসংস্কার অমুসন্ধান কমিটির রিপোর্টু প্রকাশিত হইয়াছে। অধিকাংশ সভ্যের মতে এক-আধটু জোড়াতালি দিলেই চলিবে, অন্য সভ্যেরা সংস্কারের পথে গবন্মেণ্টকে আরও অগ্রসর হইতে বলেন। কমিটির রিপোর্ট এইরূপ হইবে, এইরূপ অনুমান অনেকেই আগে হইতে করিয়াছিলেন। বলা বাহুল্য, প্ৰভু ইংরেজরা অধিকাংশের মতের দিকেই ঝুকিবেন । বিজাতীয় মূলধন চাই কি না ভারতবর্ষে বাহিরের মূলধন অবাধে প্রবেশ করিতে দেওয়া হইবে কি না, এই প্রশ্নের মীমাংসা করিবার জন্য দিল্লীতে একটি কমিটি বসিয়াছে । এই কমিটি হইতে একটি প্রশ্ন-তালিকা প্রস্তুত করিয়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যক্তিসংঘের নিকট হইতে উত্তর সংগ্রহ করা হইতেছে ; উদ্দেশু—স্থবিচারের জন্য দেশবাসীর মত-নিৰ্দ্ধারণ । বেঙ্গল চেম্বার অভ কমাসের মতে যে-কোনপ্রকার বিজাতীয় মূলধনই অবাধে দেশে প্রবেশ করিলে ভারতবর্ষের লাভ বই ক্ষতি নাই । এইপ্রকার মত পোষণের কারণ দেখানো হইয়াছে অনেকগুলি , তাহার মধ্যে বেশীর ভাগই অতি পুরাকাল হইতে শুনিয়া আসিতেছি। যথা, বাহিরের মূলধন না পাইলে ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক উন্নতির পথে বিঘ্ন ঘটিবে, সবুকারী ও বেসরকারী কাৰ্য্যের জন্য ঋণ করিতে হইলে অধিক স্বদ দিতে হইবে, শেয়ারের বাজারে বাহিরের ক্রেতার অভাব উপস্থিত হইয়া শেয়ারের মালিকদিগের ক্ষতি হইবে, ভারতের মূলধন পরিমাণে অল্প ও তদুপরি সহজলভ্য নহে ইত্যাদি। ' নূতন-প্রকার কথাও শুনিতেছি। যথা, বিজাতীয় মূলধনের সঙ্গে বিজাতীয় শিল্পজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক কারখানা পরিচালনা প্রণালী প্রভৃতিও নাকি দেশে আসিবে এবং প্রবাসী-চৈত্র, ১৩৩১ [ २8न छांश, २ग्न थ७ ফলে দেশের উৎপাদনীশক্তি প্রভূত-পরিমাণে বুদ্ধি পাইবে । সকল কথা শুনিয়া আমরা দেখিতেছি যে বিজাতীয় মূলধনের অবাধ-প্রবেশ-নীতির অনুগামীদিগের মতামত মূলতঃ একটি স্বত্রের উপরই নির্ভর করিতেছে। সেটি এই –ভারতবর্ষের পক্ষে কারখানা-প্রধান অর্থনীতিই প্রয়োজন ; কারখানা উত্তমরূপে গড়িতে ও চালাইতে হইলে ষে-পরিমাণ মূলধনের প্রয়োজন ভারতবর্ষের তাহা নাই ; স্বতরাং বাহির হইতেই ভারতবর্ষকে মূলধন সংগ্ৰহ করিয়া লইতে হইবে। ধরা যাউক যে ভারতবর্ষের পক্ষে কারখানাপ্রধান অর্থনীতিই শ্রেষ্ঠ । কিন্তু অর্থনৈতিক জীবনে এই কারখানা-প্রাধান্ত কি অতিক্রত জামাদিগকে গড়িয়া তুলিতে হইবে, না এই গঠন-কাৰ্য্য ক্রমশ সহজগতিতে সম্পাদন করিলেই ভালো ? যাহারা বাহিরের মূলধন (অর্থাৎ নিজেদের মূলধন ) ভারতে নিযুক্ত করিতে ব্যগ্র, তাহারা একবাক্যে বলিবেন, শুভস্য শীঘ্রম। কিন্তু “শীঘ্রমূ” স্পর্শে “শুভ” যদি অশুভরুপ ধারণ করে, তাহা হইলেও কি ‘শুভস্য শীঘ্রম’ নীতি একইভাবে প্রযোজ্য ? যে-সকল দেশে কারখানা-জীবন বিশেষরূপে বাড়িয়া উঠিয়াছে, সেইসকল দেশের অর্থনীতিক ইতিহাসে দেখা যায় যে জাতীয় জীবনে কোনো গভীর পরিবর্তন দ্রুত বেগে আসিয়া পড়িলে তাহাতে লাভ অপেক্ষ ক্ষতিই অধিক হয় । ইংলণ্ডের ইতিহাসে দেখা যায় যে, নূতন গঠিত কারখানাবহুল সহরগুলিতে টাইফয়েড, কলেরা ও বসস্ত অতিরিক্ত মাত্রায় বর্তমান ছিল । জরের প্রকোপে শ্রমিকগণ চিরদারিদ্র্যে মগ্ন ছিল। মানুষের জীবনকাল খুবই কমিয়া গিয়াছিল ; যথা ১৮৩৭–৪৩ খৃঃ &ন্ধে সাধারণত ভদ্রলোকে ৪৭৩৯ বৎসর, ব্যবসাদারের ৩১৬৩ বৎসর ও শ্রমিকের ১৮২৪ বৎসর বাচিত । ভদ্রলোকদের মধ্যে ৫ বৎসরের অধিক বয়সে মারা যাইত ৮২'৪৩ জন, ব্যবসাদারদিগের মধ্যে ৬১-৭৮ ও শ্রমিকদিগের মধ্যে ৪৪re৮।” ৫ বৎসরের অল্প বয়সে মারা যাইত ভদ্রলোক ১৭:৫৭, ব্যবসাদার ৩৮২২ ও শ্রমিক ৫৫-৪২ ( অর্থাৎ অর্ধেকের অধিক শ্রমিক-শিশু ৫ বৎসর বয়স্ক হুইবার পূর্বেই মারা যাইত)। ইহা ব্যতীত ময়লা, জলকষ্ট,অল্পাহার,