পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা] গোরস্থানের অভাব,কারখানায় অত্যাচার, কয়লার খনিতে পাশৰিকতা ইত্যাদির কথা পাঠ করিলে বুঝা যায় যে, অকস্মাৎ বা অতিক্রত গঠিত কারখানাপ্রাধান্তের ফলে खाडौद्ध औद८मन्न कि निमोक्र१ श्रृंब्रिषडि इम्न । आमब्रा ভারতবর্ষের দারিদ্র্যের কথা ভাবিয়াই কারখানাবাদে বিশ্বাস করি। কিন্তু যদি বিজাতীয় মূলধনের সাহায্যে অতি দ্রুতগতিতে এই পরিবর্তন আনয়ন করা হয়, তাহা হইলে আমাদের “লাভের গুড় পিপড়ায় খাইবে” । অধিকন্তু त्रांकूषत्रिक . बचांष्क्रान्ला खांडौञ्च खौदन विशांख झझेब्र উঠিবে। তাই বলি যে, এইরূপ একটা বড় ব্যাপারে আরও গভীর চিস্তার প্রয়োজন আছে। ভারতবর্ষকে যে-কোন উপায়ে একটা চিম্নির বাগানে পরিণত করিয়া দিলেই যে ভারতবাসীর স্বর্থ-স্বাচ্ছন্দ্ব্য হঠাৎ খুব বাড়িয়া যাইবে, এরূপ কথা বাতুলেও বলিবে না। জাতীয় ধন সম্পদ বৃদ্ধি পাইবে তখনই, যখন সেই ধন-সম্পদউৎপাদনের প্রণালী দেখবাসীর পক্ষে অস্থখকর ও অসম্মানকর নহে। বাহিরের মূলধনের বন্যায় জাতীয় অর্থনৈতিক নিজীবতার সঙ্গে-সঙ্গে যদি স্বাধীনতা ও জীবন-যাত্রার লাবণ্যও ভাসিয়া যায়, তাহা হইলে শুধু অন্য দেশের সমান হইবার অর্থহীন আকাঙ্ক্ষার বশবৰ্ত্তী হইয়া কারখানা-গঠনে মাতিয়া উঠিবার কোন কারণ দেখি না। যদি মূলধনের স্বদ ও লাভ, পরিচালনার গৌরব ও মোট মাহিনী এবং অর্থনৈতিক প্রভুত্ব, এইসকলের প্রত্যেকটিই অথবা বেশীর ভাগই বিদেশীর হস্তে পড়ে, তাহ হইলে আমাদের পক্ষে নবীন না হইয়া প্রাচীন থাকাই ভাল। নিজের লাভের ও -গৌরবের জন্ত গোষান-চালনা কি অপরের স্ববিধা ও দাসত্বের জন্ত মোটরকার-চালনা অপেক্ষ অধিক বাঞ্ছনীয় নহে ? স্যার উইলিয়াম্ কারী বলিতেছেন—“একসটী মিষ্ট রাজনীতিবিদগণ আমাদিগকে (অর্থাৎ ইংরেজদিগকে ) বিদেশী ভাবিয়া ভীষণ ভুল করিতেছেন।” তাহার একথা বলার উদ্দেশ্য বোধ হয় এই যে, ইংরেজগণ বিদেশী হইলেও ভারতবাসীদিগের প্রতি তাহাদের অধিক ভালোবাসা থাকাতে তাহাদিগকে আমাদিগের স্বদেশীয় বলিয়া মানিয়া লওয়াই উচিত। ভারতবর্ষের অর্থনীতিক ও রাজনীতিক ইতিহাস পাঠ করিলে স্যার উইলিয়ামের সহিত মতদ্বৈধ বিবিধ প্রসঙ্গ-বিজাতীয় মূলধন চাই বি না। Ե-8Գ হইবার সম্ভাবনাই অধিক । আজ যদি আমরা বাহিরের মূলধন অবাধে ভারতবর্ষে প্রবেশ করিতে দিই, তাহ। হইলে আমাদের পরাধীনতার পৃথল আরও কঠিন হইয়া উঠিবারই কথা। চীনের ইতিহাসে এই কথার প্রমাণ রহিয়াছে। চীন "স্বাধীন” দেশ, কিন্তু বাহিরের মূলধনের অবাধ প্রবেশে তাহার আজ দুর্দশার অন্ত নাই। বাহিরের মূলধন সেই-দেশই নিরাপদে গ্রহণ করিতে পারে, যেদেশের বন্দুক, কামান, যুদ্ধ-জাহাজ ও সৈন্তবল আছে। দুৰ্ব্বলের পক্ষে কাবুলীওয়ালার নিকট ঋণ-গ্রহণও অসামরিক জাতির পক্ষে বিজাতীয় মূলধন গ্রহণের ফল কখনই ভালো হয় না। আমরা যেটুকু ব্রিটিশ মূলধন লইয়াছি, তাহার ফলেই আমাদের কোন দিন পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ অদৃষ্টে আছে কি না সন্দেহ ; ইহার উপর বোঝা সাবও বাড়াইলে কি যে হুইবে তাহা না বলিলেও চলে ! আর-একটি কথা এই যে, ভারতবর্ষের নিজস্ব মূলধন যত অল্প বলিয়া বাহিরে প্রচার, তাহা ততটা অল্প নহে। অল্পতা অপেক্ষ নিরাপদে লৌহসিন্দুকে বাস করিবার অভ্যাসই ভারতীয় মূলধনের বড় ব্যাধি। এই ব্যাধি দূর করিবার উপায়—বিজাতীয় মূলধন অবাধে দেশে প্রবেশ করিতে দেওয়া নহে । সংরক্ষণনীতি প্রয়োগ ও শিল্পের উন্নতির সঙ্গে-সঙ্গে মূলধনলব্ধ লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পাইতে আরম্ভ করিলে, নিজ হইতেই ভারতীয় মূলধন সজাগ ও সহজলভ্য হইয়া উঠিবে। কিন্তু প্রথম হইতেই বাহিরের মূলধন দেশে অবাধে প্রবেশ করিলে, সংরক্ষণ ও শিল্প-প্রচারের স্বফল হইতে মন্দগতি ভারতীয় মূলধন বঞ্চিত হুইবে ও বিদেশী ক্ষিপ্র-হস্তে সৰ্ব্বক্ষেত্রে লাভের অধিকাংশ আত্মসাৎ করিবে । এই বিপদ হইতে দেশীয় মূলধনকে বাচাইবার উপায় অধুনা কিছু কাল বিজাতীয় মূলধনের অবাধ প্রবেশে বাধা দেওয়া। মূলধনের । মালিকেরও সংরক্ষণ-নীতির আশ্রয় পাইবার অধিকার আছে। বিদেশী ধনিক সৰ্ব্বদা জাগ্রত ও ভারতে স্থান লাভ করিবার জন্ত লালায়িত। তাহার হস্ত হইতে দেশীয় ধনিককে বাচাইবার জন্য জাতীয় চেষ্টার প্রয়োজন। বাহিরের মূলধন যদি একান্তই আমাদের লইতে হয় তাহা হইলে সে মূলধন আহরণ করিবার অধিকতর নিরাপদ