পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| - -|

| | . -

o কলকাতার আস্বার পর থেকে আমি কতকগুলি নারীসমিতিতে যোগ দিয়েছি, অনেক ইংরেজ মহিল। আর * কয়েকজন ভারতীয় মহিলা এ বিষয়ে খুব চমৎকার কাজ কবৃছেন দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু যেটুকু করা হচ্ছে দেখেছি -- আর শুনেছি, তা’র বেশীটুকুই কলকাতার অধিবাসীদের জন্যই হচ্ছে। এটা বে একটা খুব দরকারী কাজ, আর এটা যে করা চাই, এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। এরূপ কাজে সাহায্য করবার জন্য আমার শক্তিতে যা করতে পারা যায়, তা আমি কবৃতে পারলে খুবই আনন্দিত হবে । কিন্তু আমার মনে হয়, সেইসঙ্গে যাতে পল্লীগ্রামের বা মফঃস্বলের ৪ সাহায্য হ’তে পারে সে রকম কাজ আমাদের মধ্যে কারো-কারে হাতে নেওয়া উচিত। এ-কাজটি বড় কঠিন, এতে সন্দেহ নেই, আর বোধ হয় কলকাতায় বাস করছেন এমন মহিলাদের অনেকেই - এর প্রয়োজনীয়তা বুঝবেন না। কিন্তু এটা একটা বড় দরকারী কাজ, আর আমাদের কেউ একাজ হাতে ন| নিলে দেশের যথার্থ উন্নতি হ’তে পারবে না। আমার জীবনের বেশীর ভাগ আমি মফঃস্বলেই কাটিয়েছি, আর বাংলার পল্পী ও গ্রাম জীবনের অনেককিছু দেখেছি। বোধ হয়, এই কারণেই মফঃস্বলের গ্রামেগ্রামে আমাদের যেসব বোনের অাছেন তাদের জন্য সহানুভূতি অনুভব করে আসছি ; তা'রা সবদিকেই কলকাতার লোকের চেয়ে পিছিয়ে আছেন, এবং আমার মনে হয় তাদের সাহায্য করা আমাদের কৰ্ত্তব্য। মফঃস্বলের যেসব গ্রাম আর সহরে আমি সেদিন পর্য্যস্ত বাস করে এসেছি, সেখানকার আমাদের ভগ্নীদের উন্নতির জন্য আমার নিজের সামান্য শক্তি-অনুসারে অল্প-কিছু করবার চেষ্ট৷ করেছি। মফঃস্বলের মেয়েদের প্রশস্ততর চিন্তা ও ভাবের সংস্পর্শে এনে, আর তাদেরকে স্ববিস্তৃতভাবে দেখবার শক্তি দিয়ে খুব ভূালো কাজ করতে পারা যায় ; আর আমার মনে হয়, জেলায়-জেলায় এখন যেসব ছোটোছোট প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলিকে সাগয্য করুবার জন্ত যদি কুলকাতায় একটি বড় সমিতি আমরা কবৃতে পারি তা হ’লে বড়ই কাজের হয় । - - আমাদের যে-সকল ভগিনী জীবনের বেশীর ভাগ ওসহরেই কাটিয়েছেন, বাংলার গ্রামে-গ্রামে আর সহরেসহরে কি যে বিরাটু কাজ করবার ক্ষেত্র 'ಡ್ಲೆ ಇಡ್ಲ -- এই প্ৰবন্ধটি লেখার পরে লেখিকার অপ্রত্যাশিত মৃত্যু ঘটে। ৮ই মার্চ তার শ্রাদ্ধ-বাসরে ওঁর স্বামী ঐযুক্ত গুরদাস দত্ত, আইপি, এস্ মহাশয় জানান, যে লেখিকার নির্দিষ্ট প্রণালীতে কোনো প্রতিষ্ঠান হ’লে • তিনি তাতে • • • • টাকা দ্বান করবেন। - বাংলাদেশে নারীমঙ্গল-সমিতির প্রতিষ্ঠা তা তারা ধে ধারণাও করতে পাবেন, আমার তা মনে হয় না। এই কাজটি খুবই শক্ত নিশ্চয়, কিন্তু আমার মনে হয় এট। আমাদের হাতে নেওয়া উচিত। কারণ মফঃস্বলের সঙ্গর আর গ্রামের মেয়েদের শিক্ষা না দিলে এবং তাদের চিস্তার ক্ষেত্র ও মনোভাবকে প্রসারিত করে? না তুললে দেশের যথার্থ উন্নতি হ’ডেই পারে না । । জেলার ম্যাজিষ্ট্রেটের সহধৰ্ম্মিণী হিসাবে বাংলার তিনটি ভিন্ন-ভিন্ন জেলায় চারটি মহিলা সমিতি গড়ে তোলুবার স্থযোগ আমার ঘটেছিল । দুঃখের বিষয় তা’ল্প একটি এখন লোপ পেয়েছে। এর কারণ হচ্ছে এই যে,একে ধ{ড় করিয়ে দিতে না দিতেই আমার স্বামী সেখান থেকে বদলি হওয়ায় সে-জেলা ছেড়ে আমাদের চলে ধেতে হয়েছিল। আর তিনটি এখনও চলছে। এব মধ্যে একটি সৌভাগ্যক্রমে গুটিকয়েক মহিলা-কৰ্ম্মী পেয়েছে যারা বেশ উৎসাহের সহিত কাজ করছেন ; কিন্তু আর দুটি নাম-মাত্র টিকে আছে। এ-দুটির একজন করে সম্পাদিক। আছেন বটে, আর তিনি পরিশ্রম কবৃতেও প্রস্তুত বটে, কিন্তু পরামর্শ ও সাহায্যের অভাথে উারা কিছু কবৃতে পারছেন না । মহিলা-সমিতিগুলি বেশীর ভাগ রাঞ্জ-কুৰ্ম্মচারীদের পত্নীদের দ্বারা কোনো-না-কোনো সময়ে স্থাপিত হয়েছিল। একথাটা আমার বলে দেওয়া দরকার। এইজন্যই, যিনি একটি মহিলা-সমিতি স্থাপন করলেন ডিনি যেই সেজেলা থেকে চলে গেলেন, অম্নি সেখানকার কঙ্গের হানি হতে থাকে। অবশ্য যদি আর কোনো সহৃদয়া মহিলা এই কৰ্ম্মভার গ্রহণ করেন, তা হ’লে কোনো ক্ষতি হয় না –কিন্তু দুঃথের বিষয় সেটি খুবই কম দেখা যায়। বাংলার অনেক জেলাতে মহিলাসমিতি এখনই বৰ্ত্তমান আছে ! কতকগুলিতে বেশ কাজ হচ্ছে ; কিন্তু অন্যগুলি—বোধ হয় বেশীর ভাগই এই শ্রেণীর—খালি নামেই আছে,—তা’র কারণ এই যে উপযুক্ত সহায়ুভূতি বা যোগ্যতা যার আছে এমন কেউ পরিচালনা করবার নেই। এই হেতু আমি তাদের একটি কাৰ্য্যপ্রণালী স্থির করেছি, এটিকে যদি ঠিক-মত প্রয়োগ করা যায়, তা হ’লে এই কঠিন ব্যাপারটির সমাধান হবে এবং এইসব বিক্ষিপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে ও একটি কেন্দ্র-সমিতির সঙ্গে সংস্পর্শে থাকুতে সাহায্য করবে, ও তাদের যে পুরামর্শ ও পরিচালন আবশ্বক, তা’রও স্ববন্দোবস্ত হবে। ভালো করে গড়ে তুলতে পাৰ্বলে মহিলা-সমিতি জেলায় সদরে বা গ্রামে কি-কি কাজ কর্তে পারে সে-সম্বন্ধে ষে-সকল মহিলার বিশেষ-কোনো ধারণ নেই, তাদের বুঝিয়ে দেবত্ব- { -