পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సాషి ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS nulnit থেকে জ্ঞানের শিলাবৃষ্টি বর্ষপ করতে চাইনে, সে-ক্ষমতাও নেই, সে প্রত্যাশ কোরো না। তারা বললে, তুমি ভারতবর্ষের লোক, কত যুগ-যুগাছের তত্ত্বজ্ঞানের বোঝা ঘাড়ে এনেছ। আমি বললুম তত্ত্বজ্ঞান আমি কিছুই জানিনে, মানুষের অন্তরের ভিতর, মানব-প্রকৃতির ভিতর প্রবেশ করবার একটা পাখেরও জামি পাইনি, ভগবান ষে-পাথেয় দিয়ে পাঠিয়েছেন, তার দুয়ার যদি কৃদ্ধ হয়, আমার আর কোন সম্বল নেই। - সেখানে যাওয়ার পূর্বে পশ্চিম দেশ থেকে বড়-বড় তত্ত্বজ্ঞানী বৈজ্ঞানিক নান-রকম শিক্ষক, অধ্যাপক নিমন্ত্রিত হয়ে সেখানে গিয়েছেন, বার্টাও, রাসেল, ডিউরি ও আরো অনেককে তারা নিমন্ত্রণ করেছে, তারা নানারকম জ্ঞান-বিজ্ঞানের অর্থ্য আহরণ করে চীন-দেশে তা প্রচার করতে গিয়ে তাকে ছাত্রের মত দেখেছেন, তারা গুরুগিরি করতে গিয়েছেন, বড়-বড় কথা, পরামর্শ উপর থেকে স্কুল মাষ্টারের চেয়ারে বসে বলেছেন, পিকিঙের পঞ্চচুড় মন্দির-পঞ্চদশ শতাব্দীতে বাঙ্গালীগণ কর্তৃক নির্শিত আমাকে যখন নিমন্ত্রণ করূলে, ভাবনা হ’ল, সে-আসনে গিয়ে কি দেবে: আমি বল্লুম, আমি তা দিতে পারব না, আমার কাছে যা পাওয়া সম্ভব, তা নিতে হ’লে তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমার হৃদয়ে তোমরা এস, কবির সঙ্গে তোমাদের মালোর বিনিময় হটক। আমি বার-বার বলেছি, ভারতবর্যের তত্ত্বজ্ঞান, সেখানকার ঋষিদের বড়-বড় বাণী বহন করবার শক্তি আমার নেই, আমি তা পারব না। তারা আমাকে স্বীকার করে নিলে, খুলী হ’ল,বললে—বীচলুম। তাদের একটা ভাবনা মাথার উপর থেকে চলে গেল। হঠাৎ যখন কোন মানুষকে মনে করি, সে অমানুষ হয়ে আমাদের মধ্যে এসেছে, তাঁর ভয়ঙ্কর জ্ঞান, সে urophet, তখন কোন মানুষই তার সঙ্গে স্বাভাবিক সম্বন্ধ স্থাপন করতে পারে না, তাকে দূরে রাখে, কথা কইতে ভয় করে, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে ভয় পায়, তাকে ঘরে আনতে ভয় হয় । আমি ছদ্মবেশী নই। তত্ত্বজ্ঞানের মুখোষ নিয়ে আসিনি, আমি তোমাদের আপনার লোক, কোন উদেষ্ঠ নিয়ে আসিনি। বার-বার একথা বলেছি, জামি তোমাদের মাঝখানে থাকৃব, তোমাদের মধ্যে আমাকে গ্রহণ করে। প্রবাসী—কার্তিক, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড - - ---- ت - ت - ت - ت ------ কুমারী লিন, কবীন্দ্র রবীন্দ্রনাথ ও মিঃ স্ব (চীন-ভ্রমণের পথপ্রদর্শক ) আর যদি সে-সৌভাগ্য আমার হয়, তোমরা আমাকে বলে—তুমি কেবল ভারতবর্ষের কবি নও, এসিয়ার কবি, চীন-জাপানের কবি, একথা যদি বলতে পারে, সকলের চেয়ে বড় পুরস্কার আমি পাবে। আমাকে গুরগিরি কবৃতে বল্‌লে আমি পাৱব না। আমার প্রথম কাজ ভূমিকা, আমি এই ভূমিক মনের মধ্যে রেখে কাজ করেছি। অনেক চীন-দেশীর যুবক যারা আমার সঙ্গে-সঙ্গে ছিল, অল্প তাদের বয়স, তারা আমাকে বয়স্ত বলে জেনেছে, সেটা আমার সকলের চেয়ে সৌভাগ্য। তার খবর পায়নি, আমার ৬৪ বৎসর বয়স । অতি সহজে তারা আমাকে ভালোবেসেছে, যথার্থ অন্তরঙ্গ বলে’ - " , মাষ্টার বলে’ জানেনি, সেটা আমি সকলের চেয়ে বড় সফলতা বলে মনে করি। আপনার বলবেন, এ ত ভুমিকা হ’ল । সেখানে কি দেখলুম, কেন গিয়েছিলুম ! আমাকে যার ডেকেছিল, তার বলেছিল কিছু বক্তৃতা দিতে হবে। আমি যখন এদেশে ছিলুম ভাবলুম, সেখানে বড়-বড় ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা গিয়েছেন বক্তত ভালেকরে ভেবে-চিত্তে লিখে নিয়ে যেতে হবে, যেন একান্ত অপদস্থ না হ’তে হয়। মনে ভারি সংকোচ, ভয়, উদ্বেগ ছিল। বাবার পূৰ্ব্বে এমুনি একটা মুস্কিলে পড়েছিলুম, মন স্থির করতে পারছিলুম না। সে-সময় দিনের পর দিন প্রতিদিন কিছু-না-কিছু গানের নেশ আমাকে পেয়ে বসেছিল, ১।২৩ করে গানের বোঝা আমি শেষ করতে পারছিলুম না বলে ক্রমশঃ দিন পিছিয়ে যাচ্ছিল। শেষে যেদিন জাহাজে উঠি দেখলুম কিছুই হয়নি । যারা সমুদ্রযাত্রা করেছেন, তারা জানেন জাহাজের ক্যাবিল্‌-এ বসে রচনা কি দুঃসাধ্য কাজ। সে-কৃচ্ছ সাধনও করতে করতে গিয়েছি, তাই মনে-মনে সাহস ছিল আমাকে একেবারে অপ্রস্তুত হতে হবে না ।