পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিকিঙের পশ্চিম-মন্দিরে রবীন্দ্রনাথ বক্ততটুকরিতেছেণ প্রথম ঘাটে যেখানে নামূলুম, সে হচ্ছে ব্রহ্মদেশের রেঙ্গুন । আপনার সবাই জানেন, পৃথিবীর ইতিহাসে রেজুন ব্ৰহ্মদেশে নয়, সেখানে ব্রহ্মবাসা ছাড়া আর সব দেশের লোক আছে, অনেক চীনের লোক সেখানে আছে। যখন গেলুম, সেখানকার ভারতবাসীরা আমার সম্মান করেছিল, সেct না করলেও ক্ষতি ছিল না। তার পর আমাকে যখন চীন-বন্ধুরী (চীনের ) আমন্ত্রণ করলেন, তখন আমি মনের ভিতর তৃপ্তিলাভ করলুম। এই প্রথম আমার চীনের সঙ্গে পরিচয় । সেখানে চীনবাসীদের একটা বিদ্যালয় আছে, সে-বিদ্যামশিয়ের অধ্যক্ষ আমাকে সম্বৰ্দ্ধন করুলার জন্যে দেখানে নিমন্ত্রণ করলেন। তাতে বড় আনন্দ লাভ করেছি। চীনের আতিথ্য প্রথম সেদিন লাভ করি। তারা আদর-অভ্যর্থনা করে বললে— তুমি কি বলবে আগে আমাদের বলে, কেননা আমাদের অনেকে ইংরেজী জানে না। তুমি যা বললে, আমরা তখনি তা চীন-ভাধায় অনুবাদ করব। আমি বললুম, তা ত ঠিক বলতে পারিনে, কি বল্ব । তবে মোটামুটি কথা হচ্ছে—আমি দেশ-বিদেশে গিয়েছি,নিমন্ত্রণ পেয়েছি,বক্তৃত৷ করেছি, সন্মান-সমাদর লাভ করিনি তা নয়, কিন্তু একটা কথা জানিনি, সেটা জানবার জন্যে চীনে যাচ্ছি, সেইজন্যে তার আকর্ষণ বেশি । সেটা কি ? আমি জানি এখানে মানুষের স্পর্শে অনেক হয়, আমাদের প্রাচ্য দেশে যখন নিমন্ত্রণ পেয়েছি, তখন সত্যিকার আতিথ্য লাভ করব। গৃহস্বামী, যারা নিমন্ত্ৰণ-কৰ্ত্ত তাদের হৃদ্যতা লাভ করল, শুধু করতালি লাভ করব না। তাদের কাছে আর্থিক পুরস্কার শুধু লাভ করব না, আমি তাদের হৃদয় লাভ করতে পারব, এ-কথা মনে করে এসেছি। তোমাদের চীন ও জাপানে ভ্রমণবিবরণ

ඥI

যার শ্রোতা, হীরা জামাকে সন্মান করতে এসেছে তাদের এ-কথা জানিয়ে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক ব্যারণ হল্‌ষ্টাইন, অধ্যাপক সেন ও গুt: নাগ