পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-Հ বিবাহ করিয়াছিলেন। বাল্য-কালে ৰুপন তাহার বিচার করিবার ক্ষমতা ছিল না তখন, কিম্বা তাহার অনভিমতে, কেত তাহার বিবাহ দেন নষ্ট । ভাঙ্গার বিবাহ ঠাহার সম্মতিক্রমে হুইয়াছিল--তাঙ্গর জীবন-চরিতে লিপিত আছে, সে, তাঙ্গারই নির্দেশ অনুসারে পত্রিী নিৰ্ব্বাচন হইয়াছিল। কিন্তু তিনি একদিকে গেমন পত্নীকে লইয়। সাধারণ গুপ্তস্থের ন্যায় ঘর করেন নাই, ঠাঙ্গর সহিত কখন কোন দৈহিক সম্বন্ধ হয় নাই, অন্য দিকে আবার তাঙ্গকে পরিত্যাগও করেন নাই ; বরং তাঙ্গকে নিকটে রাখিয়! স্নেহ, উপদেশ ও নিজের দৃষ্টান্ত দ্বারা তাঙ্গকে নিজের সহধৰ্ম্মিণীর মত করিয়া গড়িয়৷ তুলিমাছিলেন। ইঙ্গ তাহার জীবনের একটি বিশেষত্ব । কিন্তু বিশেষত্ব কেবল রামকৃষ্ণের মচে । তাঙ্গার পত্নী সারদামণিদেবীরও বিশেষত্ব আছে . সত্ৰা বটে, রামকৃষ্ণ সারদামণিকে শিক্ষাদি দ্বারা গড়িয়া তুলিয়াছিলেন ; কিন্তু যাহাকে শিক্ষা দেওয়া হয়, শিক্ষা গ্রহণ করিয়া তাছার দ্বার। উপরুত ও উন্নত হুইবার ক্ষমত। তাহার থাক চাই । একই সুযোগ্য গুরুর ছাত্র ত অনেক থাকে, কিন্তু সকলেষ্ট জ্ঞানী ও সং হয় না। সোন হষ্টতে যেমন অলঙ্কার হয়, মাটির তাল চক্টতে তেমন হয় না । এইজন্য সারদামণি দেবীর জীবন-কথা পুস্থান্তপুঙ্খরুপে জানিতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তাঙ্গার কোন জীবনচরিত নাই। পরমহ’স দেবের জীবন-চরিতে প্রসঙ্গক্রমে সারদামণি দেবী সম্বন্ধে স্থানে স্থানে অল্প অল্প যাঙ্গ লিখিত আছে, তাঙ্গ দ্বারাই কৌতুহল নিবৃত্ত করিতে হয় । সম্ভব হইলে, রামকৃষ্ণ ও সারদামণির ভক্তদিগের মধ্যে কেহ এই মহীয়সী নারীর জীবন-চরিত ওঁ উক্তি লিপিবদ্ধ করিবেন, এই অনুরোধ জানাইতেছি । হয় ত একাধিক জীবনচরিত লিখিত হইবে। তাহার মধ্যে একটি এমন হওয়া উচিত, যাহাতে সরল ও অবিমিশ্রভাবে কেবল তাহার চরিত ও উক্তি থাকিবে, কোন প্রকার ব্যাপা, টাকা টিপ্পনী, ভাষা থাকিবে না। রামকৃষ্ণেরও এইরূপ একটি জীবন-চরিতের প্রয়োজন । ইহা বলিবার উদ্দেশ্য এই, যে, রামকৃষ্ণমণ্ডলীর ' বাহিরের লোকদিগেরও রামকৃষ্ণ ও সারদামণিকে স্বাধীন ভাবে নিজ নিজ জ্ঞান-বুদ্ধি অনুসারে বুঝিবার হযোগ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড পাওয়া আবশ্বক। মণ্ডলীভুক্ত ভক্তদিগের জন্য অবশ্য অন্যবিধ জীৱন-চরিত থাকিতে পারে। গুপ্তস্তাশ্রমে রামকৃষ্ণের নাম ছিল গদাধর । “সাংসারিক সকল বিয়ুয়ে তাঙ্গর পূর্ণমাত্রায় উদাসীনতা ও নিরন্তর উন্মন ভাব দূর করিবার জন্য” তাহার “স্নেহময়ী মাতাও । ঙ্গ গজ উপযুক্ত পত্রিী দেপিয় তাহার বিবাহ দিবার পরামর্শ স্থির" করেন । “গদাধর জানিতে পারিলে পাছে ওজর আপত্তি করে, এজন্ত মাতা ও পূত্রে পূৰ্ব্বোস্তু পরামর্শ অন্তরালে হইয়াছিল। চতুর গদাধরের কিন্তু ঐ বিষয় জানিতে অধিক বিলম্ব হয় নাই। জানিতে পারিয়াও তিনি উছাতে কোনরূপ আপত্তি করেন নাই ; বাটতে কোন একটা অভিনব ব্যাপার উপস্থিত হইলে বালক-বালিকার যেরূপ আনন্দ করিয়৷ থাকে, তদ্ধপ আচরণ করিয়াছিলেন ।” * চারিদিকের গ্রাম-সকলে লোক প্রেরিত হইল, কিন্তু মনোমত পাত্রীর সন্ধান পাওয়া গেল না । তখন গদাধর বঁকুড় জেলার জয়রামবাটী গ্রামের শ্রীরামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কন্যার সন্ধান বলিয়া দেন । র্তাহার মাতা ও ভ্ৰাত ঐস্থানে অঙ্গসন্ধান করিতে লোক পাঠাইলেন । সন্ধান মিলিল । অল্প দিলেই সকল বিষয়ের কথাবাৰ্ত্তা স্থির হইয়া গেল । সন ১২৬৬ সালের বৈশাপের শেষভাগে শীরামচন্দ্র মূগোপাধ্যায়ের পঞ্চমবঙ্গীয় একমাত্র কন্যার সহিত গদাধরের বিবাহ হইল। বিবাহে তিন শত টাকা পণ লাগিল। তখন গদাপূরেব বয়স ২৩ পূর্ণ হইয় চব্বিশ চলিতেছে । 鲁 গদাধরের মাত চন্দ্রাদেবী t “বৈবাহিকের মনস্তুষ্টি ও বাহিরের সন্ত্রম রক্ষার জন্ত জমাদার বন্ধু লাহ। বাবুদের বাট চইতে যে গহনাগুলি চাহিয়া বধূকে বিবাহের দিনে সাজাইয় আনিয়াছিলেন, কয়েক দিন পরে ঐগুলি ফিরাইয়া দিবার সময় যখন উপস্থিত হইল, তপন তিনি যে আবার নিজ সংসারের দারিদ্রাচিষ্ঠায় অভিভূত হইয়াছিলেন, ইহাও স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। নববধূকে তিনি বিবাহের দিন হইতে আপনার করিয়া লইয়াছিলেন। বালিকার অঙ্গ হইতে অলঙ্কারগুলি তিনি কোন প্রাণে খুলিয়া লইবেন এই চিন্তায় বৃদ্ধর চক্ষু এখন জলপূর্ণ হইয়াছিল। অণ্ডরের কথা তিনি কাহাকেও লা ললিলেও গদাধরের উহা বুঝিতে বিলম্ব হয় নাই । তিনি মাতাকে শাস্ত করিয়া নিদ্রিতা বধূর অঙ্গ হইতে গহনাগুলি এমন কৌশলে খুলিয়া লইয়াছিলেন যে, বালিকা উহ। কিছুই জানিতে পার নাই। বুদ্ধিমতী বালিকা কিন্তু নিদ্রাস্তঙ্গে বলিয়াছিল, “আমার গয়ে যে এইরূপ সল গহন ছিল, তাহ কোথায় গেল ?” চন্দ্রাদেবী সজলনয়নে তাঁহাকে ক্রোড়ে লইয়া সম্বন প্রদানের জন্য বলিয়া ছিলেন, ‘ম ! গদাধর তোমাকে ঐ সকলের অপেক্ষীও উত্তম অলঙ্কারসকল ইহার পর কত দিবে।" " "