পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>సెB ( San ) কালু-বৈশাখী বৈশাপ ও জ্যৈষ্ঠ মাসের বৈকাল বেলায় মাঝে মাঝে ভয়ানক ঝড় জল হয়—ইহাকে কাল-বৈশাখী বলে । এই কাল-বৈশাখী কেন হয় ? এস্থলে ‘কাল’ শব্দটির অর্থ কি ? শ্ৰী জগদীশচন্দ্র দে ( ఫిur } প্রাচীন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচীন ভারতে আমরা তিনটি শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখিতে পাই। যথা-—নালঙ্গ, ভক্ষশিলা ও বিক্রমশিল বিশ্ববিদ্যালয় । তন্মধ্যে তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয় কখন কাহা দ্বার সংস্থাপিত হয় ? এবং উহার অবস্থান বা কোথায় ছিল ? বৰ্ত্তমানে উহার নাম কি ? ঐী রমেশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তী ( పిసిసి ) . প্রাচীন বাংলা ভাষায় “ঢোল সহরত" এই শব্দটি নানা স্থানে পাওয়া যায় ; বর্তমান সময়েও কোন কোন লেখক এই শব্দটির ব্যবহার করেন : ‘সহরত’ এই শব্দটির অর্থ কি ? এবং ইঙ্গ। কোন ভাষা হইতে বাংলা ভাবার প্রবেশ লাভ করিয়াছে ? ঐ অবনীমোহন দাশগুপ্ত ( २०० ) খন্দরের কাপড়ের পাড়ে যে স্থায়ী কালো রংএর ছাপ দেওয়া হইতেছে-- (বাহ পূৰ্ব্বে বৃন্দাবনী কাপড়ে ব্যবহৃত হইত) ঐ রং কোথায় প্রাপ্তব্য বা উহ! প্রস্তুত-করার উপায় কি ?--ঐ কাৰ্য্যে ব্যবহৃত কষ্ঠের ছাপ কোথায় পাওয়া যায় ? - ঐ মহেন্দ্রনাথ করণ ( لا هة ) বাঙালী সেনার যুদ্ধ * আমাদের সেন যুদ্ধ করেছে সজ্জিত চতুরঙ্গে, ধশাণনজয়ী রামচন্ত্রের প্রপিতামহের সঙ্গে ।” 酶 — ৮ সতেন্দ্রনাথ দত্ত দশাননজর রামচন্দ্রের প্রপিতামহ কে ? তাহার সহিত বাঙালী সেনার যুদ্ধ হইবার কারণ কি? ইহার কোনও বিস্তারিত ইতিহাস পাওয়া যায় কি ? শ্ৰী দুর্গাচরণ রায় চৌধুরী ( ૨૦૨ ) পুরাধামে রথযাত্রা নাকি প্রাচীন বৌদ্ধ রথযাত্রার বংশধর, এটা অনেক ঐতিহাসিক বলে থাকেন। রথের দেবতা জগন্নাথ। এজস্য সব জায়গাতেই রথের সময় জগন্নাথ মুক্তিই রথে চড়েন। যেখানে জগন্নাথ নেই সেখানে অমুকল্পে শালগ্রাম বা ঐরুপ অঙ্ক কোন দেবতার ব্যবস্থা করা হয়। এই রথ আবাঢ় মাসের উৎসব। যদি বা কাৰ্ত্তিক মাসে ঐকৃষ্ণের রথযাত্ৰা” বলে আর-একটা পৰ্ব্ব আছে সেটা অতি জগত অখ্যাত। সম্ভবতঃ এই রধ-যাত্রারই ভিন্ন-সাময়িক সংস্করণ । ৰাই হোক সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে শাস্তিপুরের রথযাত্রা। সেখানে জগন্নাথ বা শালগ্রামাদি রথের দেবতা নন। রখের দেবতা হচ্ছেন রঘুনাথ। এই রঘুনাথ মূৰ্ত্তি প্রকাও, বীরাসনে উপবিষ্ট। তার যদি রং সবুজ না হয়ে পীত হ’ত তবে জবিকল বুদ্ধমূৰ্ত্তি হ’য়ে দাড়াত, অথবা সিংহলের দু একটা বুদ্ধমুর্ভিকে যদি সবুজ বর্ণ করা হয় তবে মূর্তিগুলি একবায়ে শান্তিপুরের রঘুনাথ হয়ে দাড়ায়। প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, Oම්) [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড এখন জিজ্ঞাস্ত যে—শান্তিপুরে রঘুনাথের রধ, কেন আর কোন পুথির বিধানে হয় ? এবং জগন্নাথের রথযাত্র জার রঘুনাথ ও বুদ্ধমুৰ্ত্তি এই তিনটির মধ্যে কোন কুটুম্বিত আছে কি না, থাৰুলে ত৷ কতদিনের ? শ্ৰী নিতানন্দবিনোদ গোস্বামী (২০৩ ) পাটে পোক পাটে ‘ছটুক পোকা লেগে পাটের পাতা ও ভগ থেয়ে নষ্ট করে । এই পোকার হাত হ’তে কি ক’রে অব্যাহতি পাওয়া যায় ? মহম্মদ মনসুর উদ্দীন শাহজাদপুরী ( २०8) হরিদ্র। হিন্দু বিবাহে হরিদ্র অতিশয় শুভজনক বলিয়৷ বিবেচিত হয় কেন ? নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে লীপঞ্চমীর দিন ও কান্তিক-সংক্রাস্তিতে গাত্রে হদ্রি। অনুলেপন করিয়া স্নান করার প্রথা দৃষ্ট হয়। ইহাকে প্রাদেশিক ভাষায় “ছিরি তোলা” ( ঐ তোলা ) অর্থাৎ সৌন্দৰ্য্য-বৰ্দ্ধন করা বলে । উৎকল প্রদেশেও অনেক নরনারী শরীরের স্ত্রীবর্দ্ধনের আশায় গাত্রে হরিদ্র লেপন করিয়া স্নান করিয়া থাকে। সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে “গাশী” পর্বের পরদিবস মধ্যাহ্নে পর্ধ্বে-ব্যবহৃত হলুদ গায় মাথিয়া স্নান করার রীতি আছে, কিন্তু সেটা দেহের সৌন্দয্যের জন্য নয়, চৰ্ম্মরোগ নাশের জঙ্ক । জ্যোতিব-শাস্ত্রে হরিদ্রাকে সৰ্ব্বৌষধির মধ্যে গণণা করা হয় কেন ? শ্ৰী জগচ্চন্দ্র পোদ্ধার মীমাংসা ( ه • ډ ) (ক) কাশ্মযোড় পরগণা মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত । (খ) মেদিনীপুর জেলায় তমলুক মহকুমায় যে কাপযোড়া নামক স্থান আছে তাহার সহিত সম্বন্ধ নাই । (গ) কাশষোড়ার রাজা নরনারায়ণ রায়ের মৃত্যুর পর ১৭৫৬ খৃঃ তদীয় জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজনারায়ণ রায় রাজপদে অভিষিক্ত হন। তিনি রাজবল্লভপুর নামক গ্রাম স্থাপন করিয়া তথায় গড়যেষ্টিত বাসভবন নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। ১৭৬৬ খৃঃ y রঘুনাথ জীউর মুৰ্ত্তি স্থাপনপূর্বক স্থানটি রঘুনাথ-বাট নামে অভিহিত করেন। ১৭৭০ খৃঃ রাজনারায়ণ রায়ের মৃত্যু হয়। a ( ১৬৩ ) - “রামাভিষেক" “সতীনাটক” “পদ্যমালা” ”বক্ততা-মালা” “হিন্দু আচার ব্যবহার” প্রভূতি বিবিধ গ্রন্থ-প্রণেতা, তাৎকালিক গণ্যলেখক স্বর্গগত বাবু মনোমোহন বস্ত্র ১২৭৯ সালের ১লা বৈশাখ হইতে “ মধ্যস্থ” নামে পত্র সম্পাদন ও প্রচার করেন । বঙ্গীয় পাঠ্যসমাজের সকলেই জানেন, যে, এই ১২৭৯ সালের বৈশাখ মাস হইতে বঙ্কিম-বাবুর “বঙ্গদর্শন" প্রচার হয়। এই সময়ে আদি ব্রাহ্মসমাজের নেতা মহর্বি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও অন্ত অনেকের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ার জন্ত কেশব-বাৰু নববিধান ব্রাহ্মসমাজের স্বষ্টি করেন। নববিধান ব্রাহ্মসমাজের এই বাড়াবাড়ি মতের বৃদ্ধি ও গোলযোগ নিবারণের জন্ত জাদি ব্রাহ্মসমাজ এবং প্রাচীন হিন্দুসমাজ বিধিমত চেষ্টা করেন । শোভাবাজার রাজবংশের রাজা কমলকৃষ্ণ দেব, কালীকৃষ্ণ দেব, পাথুরেঘাটার ঘোষ বংশের প্রধানগণ ও জঙ্ক অনেক হিন্দু,