যাজ্ঞবন্ধ্যের ব্রহ্মবাদ এক সময়ে জনকরাজার সভাতে অনেক ব্রাহ্মণ সমবেত হইয়াছিলেন। ইঙ্গাদিগের • মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান ছিলেন যাজ্ঞবল্কা । ইহার সহিত ব্ৰহ্মতত্ত্ব বিষয়ে অনেক ব্রাহ্মণের রিচ্যুর-ইইয়াছিল । এই সময়ে যাজ্ঞবল্ক্য ব্রহ্মবিষয়ে সাঙ্গ। বলিয়াছিলেন, তাহাই অদা আলোচিত হইবে । উষস্তব্রাহ্মণ ( বৃহঃ ৩৪ ) বৃহদারণ্যক উপনিষদের উমস্ত-ব্রাহ্মণ নামক অংশে লিখিত আছে ধে উমস্ত যাজ্ঞবল্ক্যকে এই প্রশ্ন করিয়া ছিলেন – “ঙ্গে ধাজ্ঞবল্ক্য । X | যিনি সাক্ষiং অপরোক্ষ ব্রহ্ম, ধিনি সৰ্ব্বাস্তুর আত্মা, তাহার বিষয়ে বল " ~ “সৰ্ব্বান্তর আত্ম।” “সৰ্ব্বভূতের অন্তরাত্ম।" | এখানে প্রশ্ন হইল “ব্রহ্ম কে ?" সূৰ্ব্বভূতের অন্তরাত্ম কে ? هاه প্রশ্ন ইষ্টতেই বুঝা যাইতেছে সে যিনি সৰ্ব্বভূতের অক্ষ অর্থ র। স্কু।, তিনিই ব্ৰহ্ম । ষ্টতার উত্তরে ধাজ্ঞবল্কা বলিলেন— " এই তোমার আত্মাই সৰ্ব্বা স্তর আত্ম। " প্রশ্নের উত্তরে বলা. হঠল—মাৰবে যে আত্মা, সেই আস্থাই সুৰ্ব্বভূতের অন্তরাত্ম। ষ্টতাতে উমস্ত সন্তুষ্ট হইলেন না । সেই জন্য আবার প্রশ্ন করিলেণ— “ঠে যাজ্ঞবল্ক্য ! কোনটি সৰ্ব্বত্বের ?” জিবন্তু বললেন— “খিনি প্রাণ দ্বার। নিশ্বাসাদির কার্য্য করেন, তিনিই যিনি অপান দ্বার অপশনাল কার্য্য করেন, তিনিই তোমার তাত্ম। গু সৰ্ব্বাস্তর । যিনি বান দ্বারা ব্যানাচিত কাৰ্য্য করেন, তিনিই তোমার হাত্মা ও সৰ্ব্বাস্তর । ধিনি উদান দ্বার। aউদানেীচিত্ত কার্য্য করেন, তিনিই তোমার আত্ম ও সৰ্ব্বাস্কর P এখানে প্রাণ তাপান. ব্যান ও উদানের কথা বলা হইল ; এম্বয়দায়ই প্রাণের ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশ। ধাজ্ঞবুদ্ধা তোমার আত্মা ও সৰ্ব্বাস্তর । বলিলেন—“যিনি এই-সমুদায় দ্বারা কাৰ্য্য করেন, তিনিই আাক্স ও সৰ্ব্বাস্তুর (” * * এখানে মানবের আত্মাকেই যে সৰ্ব্বভূতের অন্তরাত্মা বলা হইল, সে-বিষয়ে আর কোন সন্দেহ নাই । কিন্তু যাজ্ঞবল্ক্য মে-ভাবে মানবের আত্মাকে বর্ণনা করিলেন, উমস্ত তাহাতে প্রীত হইলেন না । সেইজন্য তিনি সাজ্ঞবল্কাকে সম্বোপন করিয়া বলিলেন— "লোকে যেমন বলে—‘ঐ প্রকার বস্তু গরু’, ‘ঐ প্রকার বস্তু অশ্ব’, তোমার উপদেশ ও হইল সেই প্রকার । যাহা সাক্ষাং তাপরোক্ষ ব্রহ্ম, যাহা সৰ্ব্বাস্তর আত্মা, তাহাক্ট আমাকে বল ।” গে, অশ্ব প্রভৃতিকে যে-ভাবে দেখা আত্মাকে ও সেক্টভাবে দেপিতে চায়। ভাবেই আত্মাকে দেপিতে চাহিয়াছিলেন । প্রথমে যে উত্তর দিয়াছিলেন এলfর ও সেই বায়, লোকে উমস্ত ও এইকিন্তু যাজ্ঞবল্ক্য হরক্ট দিলেন । তিনি বলিলেল— “তোমার এই আত্মাই সেই সৰ্ব্বাস্তর ।” উযস্ত এবার ও বলিলেন—“হে ধাজ্ঞবল্ক্য ! কোনটি সব্বাস্থর ?" এবার ধাজ্ঞবল্ক্য বলিলেন—“দৃষ্টির দ্রষ্টাকে দেখিতে পারিপে না, শতির শ্রোতাকে শ্রবণ করিতে পরিবে না, মনের মননকৰ্ত্তাকে মনন করিতে পারিবে না, বিজ্ঞানের বিজ্ঞাতাকে যুনিতে পারবে না। তোমার এই আত্মাই সৰ্বল ত্বর ” ঋমি এস্থলে বলিতেছেন, আত্মাই দ্রষ্ট শ্রোতা মস্থা ও বিজ্ঞাত । দ্রষ্টাকে দেখা যায় না, শ্রোতাকে শ্রবণ করা যায় না, মস্তাকে মনম করা যায় না এবং বিজ্ঞাতাকে জানা যায় না | i. ঋষি কেন এপ্রকার ধfলরাছেন, তাহ। “উপনিষদের ব্রঙ্গ” নামক প্রবন্ধে আলোচিত হইয়ছে। দ্রষ্টার যদি দ্রষ্টা থাঙ্কিত, তাহা হইলে প্রথম দ্রষ্টাকে
পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।