পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ আর দ্রষ্টা বলা হইত না, সে হইত দৃষ্ট বস্তু। এইরূপ দ্বিতীয় দ্রষ্টার যদি একজন দ্রষ্ট স্বীকার করা যায়, তাঙ্গহইলে দ্বিতীয় দ্রষ্টাকেও দৃষ্টবস্তু বলিয়া স্বীকার করিয়া লইতে হয়। আমরা এইরূপ যতই অগ্রসর হই না কেন, সৰ্ব্বোপরি একজন দ্রষ্ট থাকিবেষ্ট ; এ দ্রষ্টার আর দ্রষ্টা নাই । দ্রষ্টীকে কে দেখিতে পারে ? যিনি দেখিবেন তিনিই যে দ্রষ্ট । এইরূপ আত্মাই শ্রোতা মস্ত ও বিজ্ঞাতা, ইঙ্গার তার শ্রোত। মস্ত ও বিজ্ঞাত নাই । অশ্বগবাদিকে দৃষ্টি শ্রতি মনন ও জ্ঞানের বিষয়ীভূত করা যায়, কিন্তু সেভাবে আত্মাকে বিষয়ীভূত করা যায় না। যিনি বিষয়ীভূত করিবেন তিনিই যে আত্ম।। আত্মা বিষয় মঙ্গে, আত্ম নিত্য বিষয়ী । বর্তমান যুগে কেহ কেহ মনে করেন যে মানবের একটি তাত্মা আছে এবং পরমাত্মা এই মানবাত্মার অন্তরাত্মা । কিন্তু যাজ্ঞবল্ক্য এপ্রকার স্বীকার করেন না । তিনি বলেন, প্রত্যেক মানবের যাঙ্গ আত্মা তাঙ্গাই সৰ্ব্বভূতের অস্তুরায় । এই আত্মাই পরব্রহ্ম। ইঙ্গাই উযস্ত-ত্রাঙ্গণের সিদ্ধাস্থ । ২। কহোল-ব্রাহ্মণ ( বৃহঃ ৩৫ ) ‘কহোল-ব্রাহ্মণ’ নামক অংশেও যাজ্ঞবস্কোর ব্ৰহ্মবাদ ব্যাখ্যাত হইয়াছে। এস্থলে প্ৰষ্ট কৌষীতক-পুত্ৰ কহোল ; তিনিও যাজ্ঞবল্ক্যকে এই প্রশ্ন করিয়াছিলেন – “যিনি সাক্ষাৎ অপরোক্ষ ব্রহ্ম, যিনি সৰ্ব্বভূতের অস্থরাত্মা, হে যাজ্ঞবল্ক্য ! তিনি কে ? আমাকে বল |” যাজ্ঞবল্কা বলিলেন—“তোমার আত্মাই সেই সৰ্পণাস্তুর আত্মা ।” কহোল পুনৰ্ব্বার জিজ্ঞাসা করিলেন— “কোনটা সেই সৰ্ব্বান্তর আত্মা ?” স্বাঞ্জবন্ধ্য বলিলেন— “যিনি ক্ষুধা তৃষ্ণ শোক মোহ জরা ও মৃত্যু অতিম করিয়াছেন । তিনিই সৰ্ব্বাস্তর আত্মা)। ব্রাহ্মণগণ এই আত্মাকে অবগত হইয়। বিষ্ট্রৈষণা লোকৈষণ পরিত্যাগ কনিয়া ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করেন " যাজ্ঞবল্ক্য যাহা বলিলেন তাহার স্টল এই— [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড মানবে যাঙ্গ আত্মা, তাঙ্গষ্ট সৰ্ব্বাস্তুর আত্মা অর্থাং আত্মাই ব্ৰহ্ম । কিন্তু সাধারণতঃ লোকে মনে করে আত্মারই ক্ষুধা তৃষ্ণ শেfক মোত জরা ও মুতু্য । এইজন্য যাজ্ঞবস্ক্যের উপদেশ এই যে—এসমুদায় মানবের ধৰ্ম্ম বটে, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে আত্মা এসমুদায়ের অতীত। মানবাত্ম, ক্ষুধা তৃষ্ণ শোক মোহ জর ও মরণের অধীন হইয়া রহিয়াছে এক্টপ্রকার মনে হয় বটে কিন্তু প্রক্লত পক্ষে আত্মা এসমুদায়কে অতিক্রম করিয়াছে । “কঠোল-ব্রাহ্মণ” আলোচনা করিয়া ও দেখা গেল যে, মানবের আত্মাই ব্ৰহ্ম, কিন্তু লোকে মানবাত্মীকে যে-ভাবে কল্পনা করে মানবের আত্ম। সে প্রকার মঙ্গে ; এই আত্মা দেহধৰ্ম্মের অতীত । অন্তর্যামি-ব্ৰাহ্মণ ( বৃহঃ ৩৭) অন্তর্যামি-ব্রাহ্মণে, প্রশ্ন করিতেছেন উদ্ধালক আরুণি ; এবং উত্তর দিতেছেন বাঙ্গবন্ধ্য। উদালকেব প্রশ্ন এই :-- “সেই অন্তর্যামী কে, যিনি তাম্বরস্থ থাকিয়৷ ইহলোক পরলোক ও সৰ্ব্বভূতকে নিয়মিত করিতেছেন।” “অন্তর্যামী” শব্দের একটা ভুল অর্থ প্রচলিত আছে । অনেকে মনে করেন, “গিনি অস্তরের সমুদায় কথা জানেন, তিনিই অন্তর্যামী|” কিন্তু ইহার প্রকৃত অর্থ এই :-— “যিনি অন্তরকে নিয়মিত করেন, কিংবা অন্তরস্থ থাকিয়৷ ভূতদিগকে নিয়মিত করেন, তিনিই অন্তর্যামী।" এস্থলে এই অর্থেই ‘অন্তর্যামী’ শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে। উদালক প্রশ্ন করিয়াছেন—“অন্তর্যামী কে ?” ধাজ্ঞবল্যের উত্তর এই – “যিনি পৃথিবীতে অবস্থিত, অথচ পৃথিবী হইতে পৃথক, পৃথিবী র্যাহাকে জানে না কিন্তু পৃথিবী যাহার শরীর এবং পুথিবীর অভ্যন্তরে থাকিয়া যিনি পুথিবীকে নিয়মিত করিতেছেন, তিনি তোমার আত্মা, তিনিষ্ট অন্তর্যামী ও অমৃত ।" পৃথিবী বিষয়ে এষ্ট মস্ত্রে যাহা বলা হষ্টল, ইহার পরবর্তী ২০টি মন্ত্রে অন্যান্য আধিদৈবিক, সমুদায় আধিভৌতিক এবং আধ্যাত্মিক বস্তু বিষয়েও ঠিক এই কথাই বলা হইয়াছে। ১১টি স্ত্ৰ আচে । ১২টি Sy এবিসঘে মে!ট ইঙ্গার মধ্যে